ভ্রমণ পোস্ট: //শ্যামপুর টু তিন বিঘা করিডোর ভ্রমণ ২য় পর্ব//
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করবো শ্যামপুর টু তিন বিঘা করিডোর ভ্রমণ। আমি সব সময় নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি। আসলে আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
এত পরিমাণে কুয়াশা পড়তে ছিল যে সামনে দশ হাত জায়গা পর্যন্ত দেখা যাইতেছে আর দশ হাত দূরে কিছুই দেখা যাইতেছে না। তাঁরপর কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন দাঁড়ায়। তখন আমি বললাম যে ট্রেনের মনে হয় কিছু যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছে ওই জন্য মনে হয় ট্রেন দাঁড় করিয়েছে। তাঁরপর আমার এক বন্ধু বলতেছে যে এটা একটা স্টেশন, এর জন্য এখানে ট্রেন দাঁড় করিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ট্রেন ছেড়ে দিবে। তখন যেহেতু প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়তে ছিল স্টেশন দেখা যাইতেছিল না। তাই আমি আমার মোবাইল ফোনটা বের করে গুগল ম্যাপে প্রবেশ করলাম সেখানে দেখতে পেলাম যে আসলে কাউনিয়া জংশন। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দেয়। আবার ট্রেন ট্রেনের গতিতে চলতে থাকে, আর আমরা সবাই এক জায়গায় বসে গল্প গুঁজব করতে থাকি। আমি এমনিতে ট্রেনে করে কোথাও ভ্রমণ করলে ট্রেনের সিটে বসি না, আমি গেটে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করি। যখন দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে যাই, তখন একটু বিশ্রামের জন্য কিছুক্ষণের জন্য সিটে বসি। তাঁরপর ট্রেন তিস্তা নদী পাড়ি দিয়ে তিস্তা রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়ায়।
তাঁরপর কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ট্রেন ছেঁড়ে দেয়। আমি যেহেতু জানালার পাশে বসে ছিলাম, সেহেতু আমি বাইরের প্রকৃতি, আবহাওয়া, কুয়াশা সব উপভোগ করতে ছিলাম। তাঁরপর কিছুক্ষণ পর আবার কুড়িগ্রাম স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ায়। চার পাঁচ মিনিট পর আবার ট্রেন ছেঁড়ে দেয়। ট্রেন ট্রেনের গতিতে চলা শুরু করে। কিছুদূর যেতেই কে যেন এক পর্যায়ে গান বলা শুরু করে। তার গান শুনে তো আমার বন্ধু নাহিদ সেও তালে তাল মিলাচ্ছে। ঐ রকম করে চলতে চলতে আমরা তিন চারটা স্টেশন পার হয়ে কখন যে মহেন্দ্র নগর স্টেশনে পৌঁছেছিলাম আমরা কেউই টের পাইনি। মহেন্দ্রনগর স্টেশনে দুই তিন মিনিট ছিল। তাঁরপর আবার ট্রেন ছেড়ে দেয় । কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যায়। সেখানে আমরা সবাই নেমেছিলাম ফটোশুট করার জন্য। একজন একজনের পরে ফটো তুলে দিচ্ছিলাম তখন তো রোদ উঠেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেনের হর্ন দিয়ে দেয় তাঁরপর আমরা সবাই দৌড়ে ট্রেনে উঠে পড়ি।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।
X-promotion
ডেইলি টাস্ক প্রুফ :👇