মানুষের জীবন খুব অদ্ভুত। যেখানের আঁকে-বাঁকে ভরপুর বিচিত্রতা। আর এই বিচিত্র জীবনে ঘটে অসংখ্য সব বিচিত্র ঘটনা। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, দুঃখ-সুখ, ভালো-মন্দের মিশেলে এগিয়ে চলে জীবন খরস্রোতা নদীর মতো। কখনো মুক্ত পাখির মতো, কখনওবা চুপসে যাওয়া ফুলের মতো। হারিয়ে যায় কত চেনা মুখ, কতশত স্মৃতি। নীল নীলিমায় দূরে কোথায় মন যে হারায় ব্যাকুলতায়। একটা কথা-ই মন জানতে চায়, ‘মন কেন স্মৃতির পাহাড় হাতড়াই’।

মানুষের জীবন তো একটাই। অথচ এ জীবনে কত কিছুই না ঘটে যায়। জীবনের একেকটা মুহূর্ত যেনো একেকরকম মনে হয়। কখনো জমাট বরফের মতো কষ্টগুলো বুকের মধ্যে জমতে থাকে। জীবনটা বড় অসহ্য মনে হয় তখন। মনে হয় এ জীবনের কী দরকার ছিলো? আবার কখনো জীবন ভরে যায় অনাবিল সুখ আনন্দে; তখন মনে হয় জীবন কেন দ্রুত ফুরিয়ে যায়! আসলে মানুষের এমন একটা সময় আসে,যে সময়টা সবার জীবনে আসে।ঐ সময়ে কোন বাঁধা মানে না। কিছু সময় হারিয়ে যায় অন্য কোন জগতে। আমরা সবাই জানি যে আঠারো বছর বয়সের ছেলেদের বাঁধভাঙা জীবন যাপন করে। যেখানে কোন বাঁধা ধরা মানে না। মন যখন চায় আঁকাশে উড়ে বেড়ায় তখন কোন কিছু মানে না। মন যেটা চায় সেটাই করে বেড়ায় তখন। আসলে ঐ বয়সটা ভোলার মতো না।ঐ বয়সে আমরা কম বেশি সবাই অনেক কিছুই করে ফেলি। আমরা গ্ৰামের ছেলেরা ঐ বয়সে একটু বেশি লাফালাফি করি, অনেক বেশি দুষ্টুমি করে থাকি। একদিন তো এমন হয়েছে যে আমরা রাতের বেলা আমাদের একটা টংগে বসে গল্প করতেছি।

আসলে আমরা আমাদের গ্ৰামের ছেলেরা ঐ টংগে বসে আড্ডা দেই গল্প করি। একদিন ঐ রকম আমরা চার ভাই মিলে গল্প করছিলাম রাতের বেলা।ঐ দিন রাতে কারেন্ট ছিল না তো তাই আমরা টংগে গিয়েছিলাম। আমরা আসলে কারেন্ট না থাকলে সেখানে সবাই একত্রিত হয়ে আড্ডা দেই।ঐ দিন ও রাতে কারেন্ট ছিল না তাই আমরা সেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম।গল্প করছিলাম তখন হঠাৎ করে আমার এক বন্ধু এসে হাজির হয়।ও এমনিতে একটু ফাজিল বেশি।ও আমাদের সাথে গল্প করতে করতে হঠাৎ করে বলতেছে যে এখন তো কারেন্ট নেই চল আজকে সবাই মিলে জাম্বুরা চুরি করে খাবো। তখন আমার এক ভাই বলতেছে যে অনেক দিন থেকে তো কোন কিছু চুরি করে খাওয়া হয় না, তাহলে চল আজকে জাম্বুরা চুরি করে খাবো। কিছুক্ষণ ভাবার সর আমি বললাম যে কার গাছে জাম্বুরা আছে। তখন আমার আরেক ভাই বলতেছে যে স্যারের গাছে জাম্বুরা আছে। খুব বড় বড় আর মিষ্টি ও খুব আর জাম্বুরার রস ও খুব। তখন আমরা সবাই মিলে স্যারের জাম্বুরা গাছের নিচে গেলাম। সেখানে গিয়ে যখন আমার বন্ধু গাছে চড়বে তখন একজন লাইট মারছে। তখন তো আমি ওদেরকে ইশারা দিলাম যে এখন চুরি করা যাবে না। তখন কেবল রাত ১০ টা বাজে। তাঁরপর আমরা আবার সেখান থেকে আমাদের ঐ টংগে গেলাম। ওখানে গিয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মতো গল্প করলাম।রাত যখন ১১ টা সাড়ে ১১ টা বাজছে। তখন আবার আমরা সবাই মিলে স্যারের জাম্বুরা গাছের নিচে গেলাম।আমি আর আমার এক চাচাতো ভাই মিলে আমরা রাস্তা পাহারা দিচ্ছিলাম।আর দুই জন ওরা গাছে চড়তেছিল। আমার ঐ বন্ধু সহ। আমার ঐ বন্ধু মূলত সব গাছে খুব তাড়াতাড়ি উঠতে পারে আবার নামতে ও পারে খুব তাড়াতাড়ি।

তাই আমরা সব সময় ওকে গাছে চড়তে বলি।ও খুব তাড়াতাড়ি জাম্বুরা গাছে চড়ে তিনটা জাম্বুরা পেড়ে গাছ থেকে নামে। এরপর আমরা সবাই মিলে একসাথে হয়ে আমাদের ঐ টংগে গেলাম ওখানে গিয়ে একজনকে বাসায় পাঠাই দিলাম চাকু আনার জন্য।ও কিছুক্ষণের মধ্যে চাকু নিয়ে আসলো। এরপর আমরা এক এক করে তিনটা জাম্বুরার খসা ছাড়াইলাম। এরপর এক এক করে তিনটা জাম্বুরা খাইলাম। জাম্বুরা গুলো খেতে সেই স্বাদ লেগেছিল। জাম্বুরা গুলোর বেশ বয়স হয়েছিল মানে পরিপক্ক হয়েছিল তো তাই খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।ঐ বছরে আমি এতো মিষ্টি জাম্বুরা খাইনি। এতো মিষ্টি, আসলে এ রকম সবাই মিলে চুরি করে যখন কোন কিছু খাওয়া হয় তখন খেতে ভীষণ ভালো লাগে আর অনেক মজাও হয়।এই ছিল আমাদের জাম্বুরা চুরি করে খাওয়ার গল্প।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।