সত্যি বলেছেন পৃথিবীতে বর্তমানে প্রমিথিউস কে ভীষণ দরকার যেসব অন্যায় অবিচার কে নিঃশেষ করে দিতে পারবে। আমি প্রমিথিউস নিয়ে অনেক বই পড়েছি। প্রমিথিউস ব্যাউন্ড নাটক আমি পড়েছি । তবে আমার কাছে মনে হয়েছে প্রাচীন যত গল্প ছিল তার মধ্যে গ্রিক এই প্রমিথিউজের গল্প মন কেড়েছে সবার। জিউস মানুষের কাছে থেকে আগুন তুলে নেয় যার ফলে ভীষণ চিন্তায় পড়ে উদ্বিগ্ন হয়ে যায়। তখন তিনি দেবতাদের কাছ থেকে আগুন চুরি করে নিয়ে এসে তিনি মানুষ কে দেন ।আর মানুষ যখন আগুন পেয়ে আত্মহারা হয়ে যায় রান্নাবান্না শুরু করে দেয়। প্রমিথিউসের এই আগুন পেয়ে মানব সভ্যতা দ্রুতবেগে উন্নতি করতে লাগলো। অপরদিকে জিউজ অলিম্পাস পর্বত থেকে মানুষের এই অগ্রযাত্রা প্রত্যক্ষ করলেন। জিউসের আর বোঝার বাকি রইল না এসবের পেছনে কার হাত রয়েছে ।দেবতাদের আরেকবার ধোকা দেওয়া হয়েছে ভেবে তিনি প্রমিথিউসকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবেন। শাস্তি হিসেবে প্রমিথিউসকে একটি পর্বতের সাথে বাধা হল প্রতিদিন একটি ঈগল তার কলিজা টুকরো করে খেত এবং রাতে আবার তার নতুন একটি কলিজা প্রতিস্থাপন করা হতো। যাতে পরদিন ঈগল এসে কলিজা খেতে পারে।পরবর্তীতে হারকিউলিস রাস্তা দিয়ে চলার সময় প্রমিথিউসকে দেখতে পায় তবে তিনি জানতেন না সে প্রমিথিউস ।তখন সে কলিজাখেকো ঈগল কে মেরে ফেলে এবং প্রমিথিউসকে মুক্তি দেয়। |
---|
আমাদের সমাজে এখনো সমাজের উচ্চ আসনে বসে থাকা লোকগুলি সমাজের নিম্ন শ্রেণীর সাধারণ মানুষগুলোকে চুষে খাচ্ছে তাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন মত কাউকে ভীষণ প্রয়োজন যে এসে দানবকে নিঃশেষ করে দেবে সকল অত্যাচারীকে ভষ্ম করে দেবে। প্রমিথিউস যেভাবে দেবতাদের কাছ থেকে আগুন চুরি করে এনেছিল মশাল হাতে নিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ থেকে মুক্তি দিয়েছিল। ঠিক একই রকম এক প্রমিথিউসকে আজ সমাজে ভীষণ দরকার।
দাদা এত সুন্দর একটি কবিতার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।