সজিনা, আলু, পটল দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি (১০% 🦊🦊🦊)
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমাদের মাঝে মানুষের বিবেক দিন দিন যেন লোপ পাচ্ছে। তার মধ্যে অনেকে আছে যারা বিবেকের অর্থ জানেনা। বিবেক আমাদের প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আমাকে আলাদা করেছে। কিন্তু আপনার আমার যখন বিবেক বোধ লোপ পেয়ে যাবে পশু এবং আমাদের মাঝে আর পার্থক্য থাকবে না। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ছোট্ট ঘটনা শেয়ার করব। আমি সব সময় আমার রুমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করি। যদি রুমে কিছু খাই নিজে হাতে সে উচ্ছিষ্ট গুলো ফেলে দিয়ে আসি সাথে কিন্তু আমার খুবই খারাপ লাগে যখন আমারই কাছের কেউ আমাকে বিরক্ত করার জন্য আমার রুমে এসে সবকিছু এলোমেলো করে দেবে কিছু খেলে দেখবেন যে ছড়ায় ছিটায় দিয়ে গেছে পরে আমাকেই পরিষ্কার করতে হয়। এইভাবে প্রায় কয়েক মাস ধরে দেখতেছি সে অনবরত এই কাজগুলো করে যাচ্ছে। আমি অনেক বারণ করি তারপরেও বলে তোকে তো বিরক্ত করতেই আসি।এখানে বিবেক কাজ করার কথা তার তো বোঝা উচিত ছিল যে আমি যে এই কাজগুলো করে আসতেছি তার কষ্ট হচ্ছে সে তো বিরক্তবোধ করছে। তার পরেও কেন এমন করি। আসলে কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো কাউকে আপনি শিখাতে পারবেন না যদি না সে শিখে আসতে না পারে। আপনারা ভাববেন আপনার কাছের মানুষ সম্পর্কে এমন বলছেন কেন আসলে কাছের মানুষ থেকে কিন্তু আমরা হবে বেশি কষ্ট পাই।আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো কিন্তু কাছের মানুষ গুলোকে নষ্ট করে। যাই হোক আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ
- আলু
- করলা
- রুই মাছ
- সজিনা
- পেয়াজ
- হলুদ
- তেল
- লবণ
- আদা-রসুন বাটা
- মরিচ গুড়া
- ধনে পাতা গুড়া
ধাপ-১ |
---|
- প্রথমে ফ্রিজ থেকে সজিনা, পটল,করলা নিয়েছি।
ধাপ-২ |
---|
- এই পর্যায়ে আলু,পটল,করলা, সজিনা কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩ |
---|
- এই পর্যায়ে আদা-রসুন-পিয়াজ বাটা দিয়েছি সাথে হলুদ,ধনে পাতা গুড়া নিয়েছি।
ধাপ-৪ |
---|
- এই পর্যায়ে আমি আগে পিয়াজ ভেজে নিয়েছি আপনারা পরেও নিতে পারেন। এইভাবে নিলে রান্নার আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যায়।
ধাপ-৫ |
---|
- এই পর্যায়ে ভেজে নেওয়া পেয়াজের মাঝে সব উপকরণ গুল দিয়ে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৬ |
---|
- এই পর্যায়ে সামান্য পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিব।পানি শুকিয়ে গেলে বুঝব সিদ্ধ হয়েছে।
ধাপ-৭ |
---|
- যেহেতু পানি শুকিয়ে গেছে তার মানে সিদ্ধ হয়েছে।এখন এর মাঝে মাছ ভেজে নিয়ে দিব।
ধাপ-৮ |
---|
- এই পর্যায়ে কয়েকটি মাছের পিচ হলুদ,লবণ,ঝাল দিয়ে মেখে নিয়েছি। আসলে আমরা মাছ ভেজে নিয়ে খেতে বেশি পছন্দ করি।
ধাপ-৯ |
---|
- এই পর্যায়ে ফ্রাই প্যানে মাছ গুলো ভেজে নেওয়ার জন্য গরম তেলে ছেড়েছি।
ধাপ-১০ |
---|
- কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করার পর ভাজে হয়ে গেছে এখন এই ভাজা মাছ ৭ নং ধাপে মাঝে দিব।
ধাপ-১১ |
---|
- এই পর্যায়ে ভাজা মাছ ও সামান্য পানি ম ঝোল করার জন্য দিয়েছি। এখন কয়েকমিনিট চুলায় রাখলে আমাদের রেসিপি হয়ে যাবে।
ধাপ-১২ |
---|
- কিছুক্ষন রান্না করার পর আমাদের আলু,পটল,করলার দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি হয়ে গেছে।
ফাইনাল ধাপ |
---|
- এই পর্যায়ে আলু,সজিনা,পটলের ঝোল রেসিপি পরিবেশন করেছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
আপনার পোষ্টের শুরুতে সব সময় চমৎকার কিছু কথা দিয়ে শুরু হয়, এই ব্যাপারটা সত্যিই ভালো লাগে।
আর একটা মজার ব্যাপার হলো অনেকেই করলা খায় না। তেতো লাগে সে জন্য। কিন্তু আমার আবার ডাটা করলা দিয়ে এমন মাছের তরকারি বেশ লাগে খেতে। রান্না টা দেখে মনে হল একদম বাড়ির রান্না। খুব সুন্দর ছিল সব টা।
আপু ঠিক বলেছেন,আমাদের বিবেক গুলো দিন দিন যে কি হচ্ছে। যাই হোক এক সাথে পটল,সাজনা, ওকরল্লা এক সাথে সবজি খাওয়া হয় নি,রুই মাছ দিয়ে।তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু সজিনা আলু এবং পটল দিয়ে খুব সুন্দর করে রুই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। রুই মাছ আমার খুব ফেভারিট। যেটা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনার রেসিপি তৈরি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এটাই তো মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য যদি বিবেকী না থাকে তাহলে আমরা মানুষ হলাম কিসের।
সজনে ডাটা আলু পটল দিয়ে চমৎকার একটি রুই মাছের রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আসলে রুই মাছকে খুবই জনপ্রিয় একটি মাছ আমার কাছেও এটি অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
সজিনা আমি খেয়েছি বলে মনে হয় না। কখনো সজিনা দিয়ে কোন কিছু রান্না করা হয়নি। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব চমৎকারভাবে আপনি উপস্থাপন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা সত্যি আপু কেউ যদি নিজে থেকে শিখার ইচ্ছে না থাকে তাহলে তাঁকে কোনো ভাবেই শিখানো সম্ভব না, যাইহোক আপনার সজিনা, আলু, পটল দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনি অনেক মজাদার করে রেসিপি শেয়ার করেছেন, এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ, সেই সাথে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু মনি।
আপু আপনার আজকের সজিনা, আলু, পটল দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপিটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।মনে হয় খেতে অনেক দারুন ।আপু আমরাই প্রায় এমন করে বাড়ীতে রান্না কর এমন রেসিপি খাই।আপনি খুব সুন্দর প্রতিটি ধাপ তুলে ধরছেন।অনেক শুভ কামনা রইল।
আসলেই ঠিক বলেছেন আপু, অনেকেই আছে বিবেক কি এটাও জানে না। আপনার কথাগুলো শুনলে খুবই ভালো লাগে। তার কথা যাই হোক রেসিপি টা অনেক দুর্দান্ত তৈরি করলেন। এতগুলো উপকরণ দিয়ে রান্না করলে বেশ ভালই লাগে। তাছাড়া রুই মাছের যে কোন তরকারি খেতে খুবই ভালো লাগে। রুই মাছ দিয়ে অনেক সুন্দরভাবে একটা রান্না করেছেন।
সবসময় সজিনাডাঁটা মসুরের ডালের সাথে রান্না করে খেয়েছি। কখনোই সজনে ডাঁটা মাছের তরকারি হিসেবে খাওয়া হয় নি। এইবার দেখছি সাথে আপনি পটল ও দিয়েছেন। এমনিতে পটল তরকারি আমার খুব পছন্দের। তবে বুঝতে পারছিনা সাথে সজনে ডাঁটা দেওয়াতে খেতে কেমন লাগবে। যেহেতু আপনি শেয়ার করেছেন আশা করছি খুবই মজাদার হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু মানুষের বিবেক এমনই একটা বিষয় যা আপনি কখনো বলে কয়ে ধরিয়ে দিতে পারবেন না। যতক্ষণ তার বিবেক জাগ্রত হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত সে পশুর ন্যায় আচরণ করতেই থাকবে। আপনাকে বিরক্ত করার ছোট গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। কেউ যদি আপনার সাথে এরকম বিবেকহীন কাজ করে থাকে তাহলে তার সাথে পেরে ওঠা বড়ই দুষ্কর। আল্লাহ যেন আপনাকে এই বিরক্তিকর অবস্থা থেকে হেফাজত দান করেন এই প্রত্যাশা করছি। আপু আজকে আপনি যে সুস্বাদু রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন তা আমি আগে কখনো খাইনি। সজিনা আলু পটল দিয়ে রুই মাছের ঝোল সেই সাথে যোগ করেছেন করোলা সবজি এরকম সুস্বাদু খাবার খেতে পারলে বোধহয় ভালোই লাগতো। খুবই নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।