আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -১৯
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
নিউটন দাদুর মাথায় আপেল পড়া নিয়ে কৌতুক বা মজার কোন অনুগল্প ।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
বউয়ের ঘ্যানঘ্যানানি শুনে ঘরে থাকতে না পেরে নিউটন দাদু গেছিলো আপেল গাছের নিচে রেস্ট নিতে। কিন্তুু সেখানেও শান্তি পেল না। মাথায় আপেল পড়লো। বউ আর আপেল গাছের সাথে রাগ করে আমাদের জন্য কঠিন কঠিন সূত্র তৈরী করলো। এখন আমি চিন্তা করি আপেলের জায়গায় যদি কাঠাল পড়তো তাহলে কত কঠিন সূত্র তৈরী করতো মাইরী।🤪🤪🤪
“নিউটনের গতিসূত্র আবিষ্কার”
প্রথম সূত্র—একটা ছাগল হাঁটছিল। নিউটন তাকে ধরে থামালেন।প্রথম সূত্র আবিষ্কার করে ফেললেন। —“একটি বস্তুকে যতক্ষণ পর্যন্ত থামানো না হয়, তা চলতে থাকে।”
দ্বিতীয় সূত্র—এর পর নিউটন ছাগলটিকে (F) বল-এ একটা লাথি মারলেন আর ছাগলটা বলে উঠল “ম্যাঁ” (ma)। আবিষ্কার হল দ্বিতীয় সূত্র—“F=ma”
তৃতীয় সূত্র—এরপরই ছাগলটি নিউটনকে কষে একটা গুঁতো মারল। আর নিউটন আবিষ্কার করলেন তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র—“সকল ক্রিয়ার সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে।”
সব দোষ ছাগলের। ছাগলটা যদি না থাকতো তাহলে এত সুত্র আবিষ্কার হতো না। আর আমাদেরকেউ মুখস্ত করতে হত না। 😅😅
স্যার আজ আমরা মহান বিজ্ঞানী নিউটন কে নিয়ে পড়ব।তোমরা কি কেউ জানো নিউওটন কে?
আমিঃ না স্যার।তবে নিউটন কে নিয়ে একটি কবিতা পড়েছিলাম।
স্যারঃবলো তো কবিতাটি
আমিঃ
কুকুরের গায়ে বাঘের ছাল
কাচা মরিচের বেজায় ঝাল
নিউওটনের মাথায় আপেল না পড়িয়া
যদি পড়িত তাল
তাইলে বুঝিত নিউটন
কতধানে কত চাল।
স্যার এখনো লাঠি নিয়ে আমাক খুজতেছে।
নিউটনের গতিসূএ নিয়ে কৌতুক।
১ম সূএঃএকটি ছাগল হাঁট ছিলো তখন নিউটন ছাগলের দড়ি ধরে টান দিল,এখান থেকে ১ম সূএ হয় আবিষ্কার হলো।কোন বস্তুকে যতক্ষন না থামানো যায় ততক্ষণ অব্দি চলতে থাকে😉।
২য় সূএঃ তখন নিউটন F বল প্রয়োগ করে ছাগল কে দিল ঘুষি ঠিক তখন ছাগলটি ম্যা (ma) করল উঠলো।তখনই দ্বিতীয় সূএ আবিষ্কার F =ma☺️😉
৩য় সূএঃ ঠিক তখনই ছাগলটি নিউটনকে লাথি দিয়ে ছুটে গেলো। তখনই ৩য় সূত্র আবিষ্কার হলো,তা হলো প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে😉😉
আহারে এই কবিতা যদি নিউটন শুনতো তাহলে আরও বোধহয় চারপাশটা সূত্র বের হয়ে যেত 🤪🤪। দারুন লাগলো ভাইয়া।
শিক্ষক ছাত্রদেরকে নিউটনের সূত্র পড়াচ্ছিলেন, শিক্ষক: নিউটনের মাথার উপর আপেল পড়েছিল সেই থেকে তিনি মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করেছেন।
ছাত্র: তাইতো বলি আমি আজ পর্যন্ত কোন সূত্রই আবিষ্কার করতে পারলাম না কেন।
শিক্ষক: তুই তো একটা গাধা। মাথায় সূত্র আসবে কি করে।
ছাত্র: সব দোষ বাবার।
শিক্ষক: কিভাবে?
ছাত্র: বাড়িতে আপেল গাছ না লাগিয়ে সুপারি গাছ লাগিয়েছে। তাইতো সুপারি পড়ার সাথে সাথেই দোকান নিয়ে বেঁচে বিড়ি খাই। আপেল গাছ লাগালে একদিন না একদিন তো মাথায় আপেল পড়তোই। তাহলে অন্তত আমিও সূত্র বানাতে পারতাম। 😅😅
নিউটন দাদুর মাথায় আপেল না পড়ে যদি বড় নারকেল পড়তো তাহলে আর নিউটনের উদ্ভব হতো না। নারকেলের আঘাতে নিউটনের দাদু পাগল হয়ে যেত, নিউটনের দাদু পাগল হয়ে গেলে আর বিয়েও করত না। এইভাবে ভাবলে দেখা যাচ্ছে নিউটনকেই পৃথিবীতে দেখা যেত না। এটা যদি হতো আমাদের এত কিছু পড়াশোনা করতে হতো না যে পড়াশোনা গুলো নিউটনের জন্য আমাদের করা লাগছে। এক দিক থেকে শিক্ষার্থীরা বেঁচে যেত!🤭
আপেল পড়ার পর যে সূত্র দিয়েছেন,সেই সূত্র তো আমার জীবনকেই কৌতুক বানিয়ে দিয়েছে ভাই।
আপেলের কাহিনী নিয়ে আমি আর কি কৌতুক শোনাবো!🙂।
একদম ভাই একদম।জীবন টাই কমেডি।
নিউটন দাদুকে আজ সরাসরি বলে দিলাম, দাদু আমার ব্ল্যাকবেরি নাহলে আপেল লাগব!!
নিউটন দাদু কিনা বলে, এখন আপেলের সিজন না মা কমলা খা।
নিউটন দাদুর মাথায় আপেল পড়ার পর প্রথমত গবেষণা করে একটা সূত্র বানালো। পরে এই আপেলটাকে নিয়ে চলে গেলেন একটা রেস্টুরেন্টে। সেখানে তাদেরকে বলল এটা দিয়ে আমাকে একটি আপেল জুস বানিয়ে দেন। সেই থেকে আপেল জুসের প্রচলন শুরু।🤣😃🤣