আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৪৬
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
রাজনীতি নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
দুইটি ইঁদুর একটা রুটি ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া লাগলো। তখন এক ইঁদুর বলল আমার এক রাজনীতিবিদ বড় ভাই আছে তাকে ডেকে আনি ভাগাভাগি করে দেয়ার জন্য। তখন রাজনীতিবিদ বড় ভাইকে ভাগাভাগি করার জন্য দিল। বড় ভাই তখন পাল্লায় উঠিয়ে মাপতে শুরু করে। যেদিকে বেশি সেদিকে এক কামড় দেয়। পরবর্তীতে অন্যদিকে বেশি হলে সে দিকে আরেক কামড় খেয়ে কমিয়ে দেয়।এভাবে খেতে খেতে রুটি একদমই শেষ করে ফেলে। অবশেষে দুই ইঁদুর জিজ্ঞাসা করলে, তাদেরকে রাজনীতিবিদ ইদুর বলে।এটাই হচ্ছে রাজনীতি তোমরা সাধারণ জনগণ মারামারি করবে আর এ ফাঁকে বেনিফিট লুটে নিব আমরা রাজনীতিবিদরা।
এক ভদ্রলোক তার বিপরীত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ভোটে দাঁড়ালেন।
ভদ্রলোকটি ভোটে হারার পর তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, আচ্ছা দাদা, আপনি কত ভোট পেয়েছেন?
লোকটি উত্তর দিল, তিনশ এক।
তা আপনি তো জানতেন যে কিছুতেই ওনার বিপরীতে জিততে পারবেন না, তাহলে দাঁড়ালেন কেন?
লোকটি শান্ত গলায় উত্তর দিলেন, আমি ভোটে জিতবার জন্য তো দাঁড়াইনি, আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম এই শহরে কত বোকা লোক আছে!
হাহাহা।।।ভালো লিখেছন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
কর্মী:বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে স্যার?’
নেতা:জানো না? আমাদের দল ছেড়ে যারা অন্য দলে যোগ দেয়, তারা বিশ্বাসঘাতক।
কর্মী:আর যারা অন্য দল ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগ দেয়?’
নেতা:তারা দেশপ্রেমিক।’
একলোক মরার পর নরকে গেল,গিয়ে দেখল সেখানে অনেক গুলো ঘড়ি আর কিছু ফ্যান।তখন সে অবাক হয়ে জমরাজ কে বলল এই ঘড়িগুলো কিসের?
জমরাজ:এগুলো সাধারণ ঘড়ি নয়।এগুলো মিথ্যার হিসেব রাখে। একটা মিথ্যা বললে একবার ঘোরে।
মানুষ: তাইলে ঐ ফ্যান গুলো কিসের?
জমরাজ: আরে বোকা ওগুলোও ঘড়িই,কিন্তু ওগুলো রাজনীতী বিদদের জন্য তাই অত জোরে ঘুরছে।😁
দুই দল বের হয়েছে। একদল ডান দিকে যাচ্ছে। আরেকদল বাম দিকে যাচ্ছে। কিছু রাস্তা যাওয়ার পর দুই দল সামনাসামনি হয়েছে। তখন একদল আরেকদলকে জিজ্ঞাসা করে তুমি কোন দল প্রথমজন বলে আমি বিশ্বাস দল।
দ্বিতীয় পক্ষের আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলো তুমি কোন দল। উত্তরে তারা বলল আমি ঘাতক দল। এর মাঝে থেকে হঠাৎ একজন বলল চলো দুই দল একসাথে মিলিত হই যা গিয়ে দাঁড়ায় বিশ্বাসঘাতক দল। 😁😁🤣
নিজে কোনদিন রাজনীতি করেনি তবুও রাজনীতি রিলেটেড একটি ঘটনা কয়েক বছর আগে আমার সাথে ঘটেছিল। আমার এক বন্ধু রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিল। সেই সময়টাতে তার বয়সও খুব একটা বেশি ছিল না। একদিন আমি আর সে সন্ধ্যার সময় রাস্তা দিয়ে ফিরছিলাম। এই সময় হঠাৎ দেখি পিছন থেকে কয়েকজন লোক আমাদের তাড়া করেছে। আমি তো হঠাৎ করে এর কারণে বুঝতে পারি না ! আমি কিছু না বুঝেই আমার বন্ধুর সাথে দৌড় শুরু করি। পরে বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম এই লোকগুলো কারা ছিল। বন্ধু যে দল করত তার বিপরীত দলের সমর্থক ছিল ওরা। ফাঁকা রাস্তায় আমাদের দুইজনকে পেয়ে দৌড়ানি দিয়েছিল সেই দিন। সেদিন তাদের হাতে ধরা খেয়ে গেলে হয়তো বন্ধুর চক্করে পিটুনিও খেতে হতো আমাকে বন্ধুর সাথে।
রাজনৈতিক নেতা পার্টির সভায় যোগ দিতে এসেই টেবিলের ওপর একটা চিরকুট পেলেন, তাতে লেখা—গাধা!
সভার বক্তৃতা দেবার সময় তিনি কথাটা ঘুরিয়ে বললেন, ‘এমন অনেক উদাহরণ আছে—মানুষ চিঠি লিখে তার তলায় নিজের নাম সই করতে ভুলে যায়। কিন্তু আজ আমি একটা নতুন জিনিস দেখলাম। এখানে এসে আমি একটা চিঠি পেলাম, তাতে লেখক নিজের নাম স্বাক্ষর করেছেন কিন্তু আসল চিঠিটাই লিখতে ভুলে গেছেন।
কিছু কৃষক গেছে কৃষিমন্ত্রীর বাড়িতে দেখা করার জন্য। কৃষকের পায়ে কাঁদা ছিল..
কৃষিমন্ত্রী-তোমরা কে..?
কৃষকের দল- বাপু, আমরা কৃষক ।
কৃষিমন্ত্রী- তোমাদের পায়ে কাঁদা কেন..?
কৃষকের দল- আজ্ঞে বাপু,আমরা জমিতে কাজ করি। তাই আমাদের পায়ে কাঁদা।
কৃষিমন্ত্রী- তোমরা সামনের বছর আমাকে ভোট দিয়ে পাশ করিয়ে দিবে,আমি তোমাদের জমিতে টাইলস লাগিয়ে দিবো। তাহলে পায়ে আর কাঁদা লাগবে।
কৃষকের দল- সেখানেই অজ্ঞান হয়ে গেছে,হা হা হা।😁😁😁
সরকারি দলের এক নেতা জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখছিলেন। বক্তৃতা শেষে হাত তুলল এক দর্শক।
‘আপনি কিছু বলতে চান?’ নেতার প্রশ্ন।
‘হ্যাঁ, আপনার বক্তৃতার প্রতিটি শব্দ একটি বই থেকে নেয়া।’
শুনে নেতা থতমত খেয়ে গেলেন। তোতলাতে তোতলাতে বললেন, ‘কী বলতে চান, আ-আপনি? কোন বই?’
‘বইটা আমার বাসায় আছে।’
‘আমি বইটি দেখতে চাই।’
‘বেশ আমি বাসায় গিয়ে বইটি পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
নেতা বইটি পেলেন কিছুক্ষণ পর। বইটি একটা বাংলা ডিকশনারি।
রাজনৈতিক জনসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্ব:
সাধারণ মানুষ : রাজনীতি কাকে বলে স্যার?
নেতা: মনেমনে বলতেছে এই মারছে রে প্রশ্নটা তো বেশ কঠিন করে ফেলছে 🥺 যাইহোক ছোটবেলায় আমার দাদুর মুখে শুনেছিলাম সেটা দিয়ে বুঝিয়ে দিই, রাজার নীতিকেই রাজনীতি বলে।
সাধারণ মানুষ: তাহলে আপনার নীতিকে কি চোরের নীতি বলে ?
নেতা প্রশ্ন শুনে বেহুশ 🤣🙃