আমার বাংলা ব্লগ কবিতা উদ্যোগ || অণু কবিতার আসর - ২৫১
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- অনু কবিতায় সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ সৃজনশীল একটি উদ্যোগ, যেখানে সবাই নিজের ভেতরের প্রতিভাবে একটু ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাবে। নিজের মনের ভাবকে একটু ছন্দময় কিংবা সহজভাবে কাব্যিক রূপে প্রকাশ করতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা নিয়ম মেনে অংশগ্রহণ করবে পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের দুই দিন যথাক্রমে শুক্রবার ও রবিবার দুটি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে লেখকের পছন্দ অনুযায়ী ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা সংযুক্ত থাকবে। তার সাথে কবিতা সম্পর্কে লেখকের অনুভূতি থাকবে, যাতে ইউজাররা কিছুটা আইডিয়া নিতে পারে কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে। তারপর ইউজারদের কাজ হবে অনু কবিতার লাইনগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে আরো ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা লেখা।
এখানে একটা বিষয় অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, শব্দের জটিলতা কিংবা অর্থের গভীরতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে হবে না বরং সহজভাবে আপনার মনের ভাবটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে এবং কবিতার বিষয়বস্তুর প্রতি লক্ষ্য রেখে কবিতাটিকে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা কঠিন কিংবা দুর্বোধ্য শব্দ দেখবো না বরং আপনি কবিতাটিকে কতটা সুন্দরভাবে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা দেখার চেষ্টা করবো। আশা করছি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমার বাংলা ব্লগের কবিতা উদ্যোগে সকলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
আজকের অনু কবিতা
জীবন সংসারে অভিনয়ের রঙ্গমঞ্চে
হৃদয়ের ভালোবাসা না পাওয়ার শূন্যতা,
জীবনের গতিপথে আলো আঁধারের খেলাতে
জীবনের ভাগ্য আকাশে বারবার ব্যর্থ পূণ্যতা।
লেখকঃ
লেখিকার অনুভূতি:
আমাদের এই জীবন হলো অভিনয়ের রঙ্গমঞ্চ যে যতো বেশি ভালো অভিনয় করতে পারে, সে ততো বেশি ভালো থাকে। মাঝে মাঝে জীবন ভালোবাসার শূন্যতা ভুগে। কিন্তু আবার না চাইলে জীবন ব্যর্থতায় পরিপূর্ণ হয়।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
জীবনের পথে একাকীত্বের ব্যথা,
আলোর মধ্যে ছায়া, ছায়ার মাঝে ছাড়া।
প্রত্যাশার সুরে বাজে অশান্তি,
বিধির খেলা, অমলিন আশা এক যন্ত্রণার সঙ্গী।
স্বপ্নের মাঝে চাঁদ যখন ম্লান,
বিশ্বাসের মেঘে পথ হারানো মন।
পথিকের হৃদয়ে নিঃশেষ অনুপ্রাণ,
যাত্রার শেষে ফিরে আসে কেবলই অভিমান।
দারুণ লিখলে। ভীষণ সুন্দর ভাবে অনুভবটা তুলে ধরেছ
ব্যর্থতায় ভরে গেল,
জীবনের সকল আশা।
তাইতো আজ পথ চেয়ে,
রয়েছি পাবো কি সুখের দেখা।
এভাবে যাচ্ছে আমার,
জীবনের মানে,
কবে খুঁজে পাবো আমি,
বেড়িয়েছি সুখের সন্ধানে।
অন্তরে তীব্র ব্যথা, মুখে হাসির মঞ্চে,
সবুজ ঘাসের মাঝে রক্তঝরা শীর্ণ সুখ।
সময়ের বুকে দীর্ঘ একশত ক্ষণ বেদনা,
তবুও আশা বাঁচে, যেন আকাশের সূর্য উঠ।
তবুও পথ চলে যায়, অজানার তলে,
রাতের আকাশে তারা হয়ে ঝরে পড়া মনের কষ্ট।
হৃদয়ের গহিনে, প্রিয় সুরের আকাশে,
জীবনের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যেতে চাই না একে।
জীবন নামক কুরুক্ষেত্রে জিতিবে তো সেই জন
করিতে পারিবে যে মিথ্যা নাটক আর অভিনয় ক্ষণ।
কিছু মানব রহিয়াছে যারা অতি নিষ্ঠাবান,
তাহারাই ভোগে শূন্যতায়, কারণ তাহারা তো সাধুবান।
বহু মানব চেষ্টা করেও ভুগে শূন্যতায়
বেলা ফুরাবার তরে তাহারা যায়,অন্ধকারের নিমজ্জতায়।
জীবন মানে থেমে থাকার নয়
জীবন সে তো চলছে দুর্বার গতিতে,
কখনো ভালো কখনো খারাপ,
অভিনয় ও একাকিত্বে
অচেনা পথিক হয়ে
বিশ্বাসের দরজা ভেঙ্গে,
নিঃশেষ করছে সহজ-সরল হৃদয়,
তবুও আনমনা মন প্রতীক্ষায় সর্বক্ষণ,
ভালোবাসার অভিমান স্বপ্ন নিয়ে
বেঁচে থাকা তোমারই জন্য।
আশার মাঝে নিরাশার বাঁশি
বাজায় কে, সে কি ভাগ্য নাকি?
জীবন বলে যাকে তুমি মঞ্চে দিলে ঠাঁই
নদী হয়ে বয়ে যায়, তার যে কেউ নাই
তবুও কেউ আসে, খানিক বসে পা ভেজায়
স্নান সেরে সুখ ভাসায় আপন খুশির ভেলায়
দিন ফুরলে ফিরে যায় সব জন
নদীরও খানিক ভার হয় মন
তারপরও সে বইতে থাকে থামায় আছে মানা
জীবন তো এরকমই সুখ দুঃখের অবাধ হানা।
অসাধারণ হয়েছে লেখাটা
ব্যর্থ হলে মেঘের কোণে হালকা জমে কথা
বৃষ্টি তুমি স্বপ্নে এসো, শোনাও সে ব্যর্থতা
তোমার সাথে ভিজব আমি, হয়ত প্রতি ভোরে
তখন রাতের মেঘলা আকাশ, সাক্ষী দেবে তোরে
আমার বুকে বাড়ছে চারা, নয়তো অভিমান
তোমার সাথে শেষ যে কদিন গেয়েছি প্রেমের গান।
হাসি মুখে ছিলাম তখনও,
যখন শুনেছি তুমি নেই।
যখন আমি বেকার হয়েছি,
তখনও হারাইনি খেই।
হাসি মুখে আছি এখনও,
যখন আমার শূন্য সব।
যদিও সব হয়ে যায় ধ্বংস,
থামবে না আমার কলরব।