এবিবি ফান প্রশ্ন- ৪৫৩|যৌতুককে সবাই অপছন্দ করা সত্ত্বেও কেনো সবাই যৌতুক দেয়?
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
যৌতুককে সবাই অপছন্দ করা সত্ত্বেও কেনো সবাই যৌতুক দেয়?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আমার তো মনে হয় বেশিরভাগ সময় নিজের টাকা পয়সা দেখাতেই মানুষ এটা করে!
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
কিছু কিছু মেয়ের মা বাবাকে যৌতুক দিতে নিষেধ করা হলেও,নিজে থেকেই অনেক কিছু দিয়ে দেয় শুধুমাত্র শো অফ করার জন্য। যাতে করে আশেপাশের মানুষজন বাহবা দেয়😂।
0.00 SBD,
3.64 STEEM,
3.64 SP
যদিও সবাই যৌতুক অপছন্দ করে, তবুও এটি দেওয়া হয় সামাজিক চাপ, পারিবারিক চাপ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং প্রথাগত বিশ্বাসের কারণে। অনেক পরিবার এটি একটি বাধ্যতামূলক প্রথা হিসেবে দেখে, আর কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্যও যৌতুক দেয়া হয়।
যদিও যৌতুক নেয়া এবং দেয়া দুটোই দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে যৌতুক সবাই নেয় না। আবার অনেকেই নেয়।
আপনি ঠিক বলেছেন, সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্যও যৌতুক দেয়া হয়। কিন্তু এটা পরবর্তীতে সমাজের মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে রূপান্তরিত হয়।
একটা বিষয় আপু যদি কোন মেয়ের বাবার থেকে ছেলে পক্ষ চেয়ে নেয় বা দেওয়ার জন্য চাপ দেয় সেটা অপরাধ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু যদি মেয়ের বাবা নিজের ইচ্ছায় দিয়ে থাকে তখন আমার আপনার কী করার আছে বলেন। কিছুই না।
জি ভাই, যখন নিজেদের বড়লোক ভাব দেখানোর জন্য বর পক্ষকে অনেক কিছু দেওয়া হয় তখন তো আর আমাদের কিছু করার থাকে না।
আসলে এরকম অনেক বাবা আছে, শুধু যেন মেয়েটা ভালো থাকে তাই যৌতুক দিয়ে থাকে।
আমার মনে হয় ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষের উপরে প্রেসার তৈরি করে যেটা নেয় সেটা যৌতুক হিসেবে গণ্য হয়। তবে মেয়ে পক্ষ যদি স্বেচ্ছায় ছেলেপক্ষ কে কিছু দেয় সেটা যৌতুক হিসেবে গণ্য হয় না সেটা মূলত উপহার। বাবা তার মেয়েকে ভালোবেসে স্বেচ্ছায় কিছু দিতেই পারে।
বাহ খুব চমৎকার উত্তর দিয়েছেন ভাই।
জি ভাই, ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষের উপরে প্রেসার তৈরি করে যেটা নেয় সেটা যৌতুক হিসেবে গণ্য হয় তা বাস্তব।
জনসম্মুখে সবাই অপছন্দ করে কিন্তু মনে মনে কিছু মানুষ পছন্দ করে, কিছু লোক আছে বউয়ের কাছে যৌতুক নেওয়ার জন্য চাপ দেয় তখনই বউ এর বাপ যৌতুক দিতে রাজি হয় কিছু করার নাই যেহেতু মেয়ে দিয়েছে তাই যৌতুক দেওয়া লাগবে।
ঠিক বলেছেন ভাই।
যারা বউয়ের কাছে যৌতুক নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তারা অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধী মানুষ 😁😄।
কারণ মানুষের মুখের সঙ্গে কাজের মিল থাকে না।মুখে মুখে অপছন্দ করলেও কাজে তারা যৌতুক দিতে পছন্দ করে।
হ্যাঁ আমারও এটাই মনে হয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সহমতের জন্য।
সাধারণভাবে দেখা যায় পিতা তার মেয়ে, ভাই তার বোনের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য অনেক কিছু দিয়ে থাকে। নিজেদের একটু বড় লোক ভাব দেখানোর জন্য। পরবর্তীতে এইটা সমাজে যৌতুক হিসেবে সাব্যস্ত হয়। অনেক কিছু দিয়ে বর পক্ষদের বুঝায় তাদের টাকা পয়সা ধন-সম্পদ অনেক আছে তারা চাইলে তাদের মেয়ের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে এইটা সমাজের মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে রূপান্তরিত হয়।
এটা একটি ফালতু রীতি বলতে মনে করি। আমরা মানুষরাই এমন সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলেছি আরো আমাদের সমাজে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আমি তো মনে করি বোকারাই যৌতুক প্রদান করে। এটা মানসিক সমস্যা।
যৌতুককে সবাই অপছন্দ করলেও, এটা যেন এক ধরনের "সোশ্যাল ফ্যাশন" হয়ে গেছে! কেউ না দিলে মনে হয় কিছু কম পড়ে গেল, তাই সবাই চায় "ট্রেন্ডের" অংশ হতে। পাত্র-পাত্রীর মা-বাবার মধ্যে এমন প্রতিযোগিতা, যেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে হবে!
বড়লোকরা তো টাকার গরম দেখানোর জন্য দেয়, আর গরিবরা তো নিজের সন্তান যেন একটু ভালো থাকে এই জন্য দিয়ে থাকে।