এবিবি ফান প্রশ্ন- ৪৫৮ |সুস্থতা আর অসুস্থতা যদি বন্ধু হতো...
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
সুস্থতা আর অসুস্থতা যদি বন্ধু হতো।তবে তারা একে অপরকে কি পরামর্শ দিতো?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
পরামর্শ যা ই দিক না কেনো, উত্তর কিন্তু মজার হওয়া চাই।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
সুস্থতা আর অসুস্থতা যদি বন্ধু হতো, তবে তাদের প্রতিদিন দেখা হতো হাসপাতালের ওয়ার্ডে। সুস্থতা বলতো, “কেমন আছিস, ভাই?” অসুস্থতা হেসে বলতো, “তোর জন্যই তো বেঁচে আছি! না হলে ডাক্তাররা চাকরি হারাতো!” দুজনেই হাসতে হাসতে চলতো, মানুষের জীবনকে রঙ্গমঞ্চ বানিয়ে। 😆
আপনার কথা শুনে তো আমি হাসতে হাসতে শেষ। হা হা হা 🤣🤣।
সুস্থতা আর অসুস্থতা বন্ধু হলে আমার তো মনে হয় তারা এই পরামর্শ-ই দিতো যে, তুই বছরের 6 মাস মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে সুখ দিবি আর আমি 6 মাস বসে দুখ দিয়ে ভোগান্তি দেবো।হি হি☺️☺️
তাহলে তো জীবনটা পুরা তেজপাতা হয়ে যেত আপু, একেবারে নুন ছাড়া তরকারির মত 😄😄।
হি হি,☺️☺️.
আমার তো মনে হয়্ এরা এখনই বন্ধু। তাও আবার যেমন তেমন না একেবারে জানে জিগার। কারন দুজনেই পরামর্শ করে আমাদের জীবনে আসে। সুস্থ্যতা আসলে অসুস্থ্যতা আসে না। আর অসুস্থ্যতা আসলে সুস্থ্যতা আসে না। অসুস্থ্যতা এসে মানুষকে সুস্থ্যতার কদর বুঝিয়ে দিয়ে যায়। যার কারনে দুজনের মাঝে বেশ মহবব্বত।
আপনার সাথে আমি নিজেও একমত।
সুস্থতা আর অসুস্থতা দুজনে বন্ধু কারণ একজন আসলে অন্যজন চলে যায়। তাদের মধ্যে খুব ভালো বুঝা পড়া রয়েছে। অসুস্থতা বলে, মানুষ খুব স্বার্থপর শুধু সুস্থতাকে ভালোবাসে। তখন সুস্থতা বলে মানুষ স্বার্থপর হোক কিংবা, তোকে ভালো না বাসলেও তুই কিন্তু আমার অনুপস্থিতিতে মানুষের মাঝে থাকবি😙।
সুস্থতা বললো, আমি মানুষকে সুখের প্রশান্ত দেবো। আর অসুস্থতা তুই মানুষকে খুবই কষ্ট অনুভূতি দিবে। তাহলে আমাদের দুজনকে মানুষ খুব বেশি মনে রাখবে 😄😉😁।
এমনটাই যদি হতো তাহলে আমাদের ব্যাচেলরদের জন্য হতো মহাবিপদ 😲। কারণ বর্তমান চলছে ঘুষ এর বাজার, অসুস্থতা সুস্থতাকে ঘুষ দিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি পাঠায় দিত। আর অসুস্থতা আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে থাকতো, যার ফলে সারা বছরই আমাদের বিছানায় শুয়ে শুয়ে কাটাতে হতো। এখন আপনি বলেন আপু এমন অকর্মন্য, বেকার ,অসুস্থ ছেলেকে কি কোন বাপে তার মেয়ে দিতে চাইবে? একেবারে বউ হীন জীবন অসুস্থতায় মরণ😩😩😩।
যদি সুস্থতা এবং অসুস্থতা বন্ধু হতো, তবে:
সুস্থতা অসুস্থতাকে বলতো:
"তুমি আসলে জীবনের গুরুত্ব বোঝাতে পারো, কিন্তু আমি ছাড়া মানুষ পুরোপুরি সুখী হতে পারে না।"
অসুস্থতা সুস্থতাকে বলতো:
"তুমি মনে করো সব ঠিক আছে, কিন্তু আমি আসলে তাদের জীবনের সত্যিকারের মূল্য শিখিয়ে দিতে পারি।"
এভাবে, তারা একে অপরকে পরিপূরক হয়ে চলতো।
এরকম হলে তো তাদের প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকতো😄। আর অন্যদিকে একটা মানুষের জীবনই হয়ে যেত পুরোপুরি ভাবে নষ্ট। কারণ একবার একজন অধিকার চাপাতো, আর আমরাই একবার সুস্থ একবার অসুস্থ এরকমই থাকতাম😁😂। সবশেষে তারা পরামর্শ দিতো আমাদের মধ্যে দূরত্ব না বাড়িয়ে বরং আমরা দুজন একসাথেই থাকি 🤣🤣🤣।
কোন পরামর্শ দেয়ার সুযোগ পেত না। কারন একজন থাকলে আরেকজন আসেনা। 🤦♂️
এটা ঠিক বলেছেন 🤣😂।
জীবনটা ঝাকি খেতে খেতে শেষ হয়ে যেত। একদিন অসুস্থ পরের দিন সুস্থ এরকম যদি জীবন চলতে থাকে তাহলে আর মানুষ প্রেম ভালোবাসার কথা চিন্তা করত না সুস্থতা আর অসুস্থতা নিয়েই জীবন পার করে দিত।
জীবনটা তখন তেজপাতা হয়ে যেত 🤣।
বন্ধুই তো। দুজনে দুজনের পিঠে পিঠ লাগিয়ে চলে। তাই আমরা একসাথে দুজনকে দেখতে পাই না৷
তাই তো একজন সামনে আসলে আরেকজন পিছে থাকে।