এবিবি-ফান প্রশ্ন-৭২ || বিয়ের রাতে বউকে যতটা সুন্দরী দেখায় আর সারা জীবনেও তার ধারেকাছে যায় না কেন?
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
বিয়ের রাতে বউকে যতটা সুন্দরী দেখায় আর সারা জীবনেও তার ধারেকাছে যায় না কেন?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
সবই আটা-ময়দা কা খেল হ্যায় বস।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- উত্তর বা কমেন্টটি এডিট করা যাবে না।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই মজার হতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
বিয়ের রাতে বউ মুখে ১০০০ পাওয়ারের বাল্ব জ্বালিয়ে রাখে। সেই বাল্ব আবার স্পেশাল। জীবনে একবারই মুখে জ্বালানো যায় এবং সেই বাল্বের মেয়াদ আবার মাত্র কয়েক ঘন্টা থাকে। সকালে যখন বাল্ব নিভে যায় তখন কি হয়? কি আর হবে দিল্লীর লাড্ডু খেয়ে যে পশ্চাতে হয় তা জামাই হাড়ে হাড়ে টের পায়।
বিঃ দঃ বাল্ব = মেকাপের আলো
বিয়ের রাতে বউকে এত সুন্দরী দেখা যাওয়ার কারণ হচ্ছে মেয়েরা পরতের পর পরত মেকআপ মেখে বউ সাজে, যা দেখে মেয়েরা নিজেরাই নিজেদেরকে চিনতে পারেনা। এতটা সুন্দরী হয়ে যায়। সারা জীবনেও আর এভাবে সাজেনা। আরও একটা কারণ রয়েছে ছেলেরা বিয়ের জন্য পাগল হয়ে ওঠে, তখন অনেক সাধনার পর যখন বিয়ের রাতে বউকে পায় তখন তাকে পৃথিবীর অপ্সরা মনে হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে আর দেখতে দেখতে পান্তা ভাত মনে হয়। প্রতিদিন এক জিনিস দেখলে ভালো না লাগারই কথা। 😛😛
বেশ কঠিন প্রশ্ন, তবে সহজ উওর হচ্ছে , পরের দিন থেকে বউ খোলস ছেড়ে বের হয় ।
ভাইয়া,,খোলস ছেড়ে বের হলে তো মুক্তার মত আরো সুন্দর হওয়ার কথা।😜
ভাগ্যিস বলেন নি যে, বিয়ের রাত আর বাকি রাত গুলো আড়াআড়ি ভাবে জড়িত।🤣
মুক্তা তো সবসময় খোলসের ভেতরেই থাকে তাইনা?
হুম ভাই যথার্থ বলেছেন, মেকাপের খোলস আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
খুবই সহজ উত্তর এবং এটাই আসল কথা।
আমাদের এখানে বিরাট নামের তীর্থক্ষেত্র আছে।ওখানে গেলে করলা সিদ্ধ দিয়ে ভাত খেতে হয় এবং সেই করলা যথেষ্ট মিষ্টি লাগে।এর কারন আমি পরে বের করেছিলাম।বিরাট যেতে হয় উপোস করে আর খাওয়াদাওয়া হয় একদম বিকেলে,তাই ক্ষুধার পেটে করলা কেন বিষ ও মিষ্টি লাগে।ঠিক তেমন জীবনের ২৫-৩০ বছর অপেক্ষার পর যখন কেউ বউ পায় তখন বউকে চাদের টুকরা মনে হয়,কিন্তু পরের দিন যখন মুখ ধুয়ে বের হয় তখনও চাদের টুকরাই মনে হয় তবে সেটা আমাবস্যার চাদের।তাই বিয়ের রাতে বউকে যত সুন্দর দেখায়,সারাজীবনেও অত সুন্দর দেখায় না।
হা হা হা 😜 এটা খুব ভালো ছিল।
ধন্যবাদ দাদা।
hahaha
আপনাদের কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে সারাজীবন সিঙ্গেল থাকাই ভালো হবে, শেষমেষ কয়লা খেতে হবে, এটা আশা করিনি যাই হোক ভালো ছিল আপনার মন্তব্য।
হ্যা ভাই সারাজীবন সিঙ্গেল থাকাই ভাল।আপনিও আমার মত চির কুমার সমিতিতে যোগ দিন।হাহাহাহা।ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
বিয়ের রাত নতুন বউকে দেখে সুন্দর লাগে, কারন তখন অব্দি ছেলেদের চোখ ঠিক থাকে,পরে আস্তে আস্তে চোখের পাওয়ার নষ্ট হতে থাকে তাই আর সুন্দর লাগে না।তখন খালি পাশের বাসার ভাবিকেই সুন্দর লাগে😜😜😜।আসলে যত দামি আর সুন্দর হোক না কেন,সব সময়ই দেখতে দেখতে চোখে ছানি পরে যায়😜😜বস।হি হি
ওই রাতেই মেকাপের ঝলক দেখে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। বেচারা পুরুষ মানুষ কত অসহায় চিন্তা করে দেখেন। 😭😭
যাক, সত্যিটা পেলে গেলাম, আমার আর কষ্ট করে লিখতে হলো না, হা হা হা।
আমি আপনার হয়ে লিখে দিলাম হাফিজ ভাই ভাই। আপনার আর কষ্ট করতে হলো না। হা হা হা...😁
চোখের পাওয়ার নষ্ট হলে বউ থেকে শালিকে দেখবে কেন সবই তো ঘোলা দেখার কথা, বরং বলতে পারেন বিয়ের পর ছেলেদের চোখ ট্যারা হয়ে যায়, বউয়ের দিকে তাকালেও বউ গুলো ভাবে তাকিয়েছো অন্য মেয়ের দিকে।
বিয়েরদিন পর্যন্ত 'পাপা কি পরী' তারপরই তো ''কি গো! ওঠো, অফিস যাও, বাজার আনো, রান্না করি গে, বাবু উঠলি না এখনও, স্কুল বাস মিস হয়ে যাবে। এম্মা ঘরটা মোছা হলোনা আজ!"এইসবের চক্রব্যূহে আটক পড়ে যায়। কি করে আর সুন্দরী দেখাবে।এই ক্ষেত্রে আমি বৌদির দলে রইলাম দাদাভাই।
তাই বুঝি আস্তে আস্তে মেকাপের সক্ষমতা কমতে থাকে? হা হা হা হা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা সফলতা আসবে না হি হি হি।
হুহ্ আপনারা ছেলেরাও যে খুব চাপ দেন সেটা অস্বীকার করবেন? 😒 ওই যে বলে না "ঘোড়া দেখলে খোঁড়া।" ছেলেদের ওই হাল হয়।
একদমই না, চাপ দেই কই ভালোবাসা দিয়েই তো কুল পাই না, ওসব বলা টলা দিয়ে হবে না, ঘোড়া তো জগতের রাজা হি হি হি।
আমার আর কিছু বলার নেই। শুধু একটু হেসে নিলাম। 😄😄
এটার সাথে আমি একমত কারণ এত এত ঝামেলার মধ্যে নিজের সৌন্দর্যটা তেমন একটা প্রকাশ করা হয় না, তখন তার মধ্যে অনেক অনেক দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়, রূপচর্চা সেখানে বিলাসিতা।
অনেক ধন্যবাদ বোঝার জন্য। 😊
কারণ বিয়ের রাতেই নতুন জামাইয়ের চাপে পড়ে মেয়েদেরকে ময়দা ঘষে বিশ্বসুন্দরী সেজে বসে থাকতে হয়।যাতে নতুন জামাইরা বুকফুলিয়ে বলতে পারে আমার বউ সবথেকে বেশি রূপবতী।বিয়ের রাতেই তো ছেলের বাড়ির আত্মীয়স্বজন,বন্ধু-বান্ধবেরা নতুন বউকে দেখার জন্য ইচ্ছুক থাকে।আর বন্ধুদের কাছে নিজের বউকে বেশি আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য নিজের পকেটের টাকা খরচ করে ময়দা কিনে দেয় আগে থেকেই জামাইরা।বিয়ে হয়ে গেলেই ময়দা কেনা শেষ তাই সারা জীবনেও তার ধারেকাছে যায় না।
এখানে তো ছেলেদের সাথে ধোকা হয়ে যাচ্ছে। সকালে উঠে তো নিজের বউকে চেনাই যায় না, এটি তো মেনে নেয়া যাচ্ছে না।
হুম ,ছেলেদের সঙ্গে না মেয়েদের সঙ্গে ধোকা হয়।
বিয়ের দিন কোন মতেই যাতে বিয়ে পন্ড না হয় তারজন্য সুন্দর করে ময়দার আস্তর দিয়ে সোপিচের আদলে সাজানো হয়। একবার লাইসেন্স পাকা হয়ে গেলেই আর সুন্দর রুপের দরকার হয়না, তখন সংসারের চাবিকাঠি নাড়তে পারলেই হলো 😜
হুম এটা ভালো বলেছেন একবার লাইসেন্স পাকা হয়ে গেলে আর চিন্তা কিসে, হা হা হা।
বিয়ের রাতে মেয়েরা একটু আটা ময়দা পরিমানে বেশি করে মেখে এবং মনটা অনেক নরম করে মিষ্টি নম্র-ভদ্র হয়ে থাকে। যার কারণে অনেক সুন্দর লাগে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আটা ময়দা মাখলে মনটা আর নরম থাকে না, তখন ভেতরে ঝড়রাটে রূপটা প্রকাশ পায়। যার কারণে আটা ময়দা মাখলেও বিয়ের রাতের মতো সুন্দর লাগে না।🫣🫣🫣
আসলে ভাই বিয়ের রাতে মেয়ে একদম নরম ভদ্র হয়ে থাকে কিন্তু তারপরে আসল রূপ দেখা শুরু, জীবনটা তেজপাতা করে দেয় হাহাহা।