আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৬৫
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
লোডশেডিং নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
আমরা প্রতিদিন হাতে হ্যারিকেন কিংবা ল্যাম্প নিয়ে সন্ধ্যায় বেরিয়ে পড়তাম বাড়ির পাশেই হাইস্কুলে।যারা দূর থেকে আসতো তারা বিকেলে চলে আসতো।সেখানে এক দাদা আমাদের পড়াতেন রাতে কারেন্টের আলোতে।৮ বছর দাদা এমনি স্কুলে গণিত বিভাগে ক্লাস করানোর পর ফাইনালি জব পেয়েছেন।যাইহোক গরমের সময় রাতে যখন লোডশেডিং দেখা দিতো তখন আমরা ক্লাসের বেঞ্চ ছেড়ে বারান্দায় চলে আসতাম বই নিয়ে।ফুরফুরে হাওয়ায় মন জুড়িয়ে যেত তখন আর হ্যারিকেন কিংবা ল্যাম্পের টিমটিম বাতিতে পড়তে বেশ ভালো লাগতো।আর কড়া পোকার কালো রঙের শক্ত বাচ্চাগুলি ওই আলোর দিকে প্রচুর পরিমাণে উড়ে উড়ে চলে আসতো।তখন আমরা বুদ্ধি করে কড়া পোকার বাচ্চাগুলি ধরে ধরে হ্যারিকেনের নীচে বা ল্যাম্পের নীচে রেখে দিতাম।যখন অনেকগুলো বাচ্চা একত্রে জমা হতো তখন হ্যারিকেন বা ল্যাম্প আপন ইচ্ছেয় চলতে শুরু করতো।মনে হতো ভুতুড়ে একটা ব্যাপার,এই মুহূর্তটি ছিল অত্যন্ত আনন্দের।যেটা এখন শুধুই স্মৃতিময়।।
আমাদের স্কৃুলের গুড বয় হাক্কা দাস একদিন স্কুলের হোমওয়ার্ক করে নিয়ে যায় নি। ব্যস, আর যায় কোথায়! ক্লাস টিচার ওকে পাকড়াও করলেন।
টিচার, "হোমওয়ার্ক করোনি কেন?"
হাক্কা দাস, "স্যার, লোডশেডিং ছিলো।"
টিচার, "তা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিতে।"
হাক্কা দাস, "স্যার, দেশলাই ছিলো না।"
টিচার, "দেশলাই ছিলো না কেন?"
হাক্কা দাস, "ঠাকুরঘরে রাখা ছিলো স্যার।"
টিচার, "আচ্ছা, ঠাকুরঘর থেকে নিলে না কেনো?"
হাক্কা দাস, "স্নান করিনি, ঠাকুরঘরে ঢুকবো কি করে?"
টিচার, "ওফ! তা স্নান করতে কে বারণ করেছিলো?"
হাক্কা দাস, "জল ছিলো না স্যার।"
টিচার, "জল কেন ছিলো না?"
হাক্কা দাস, "পাম্পের মোটর চলছিলো না স্যার।"
টিচার, এবারে ধৈর্য্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়ে, দাঁত কিড়মিড় করে বললেন, "আরে উল্লুক, মোটরটা কেন চলছিলো না?"
হাক্কা দাস, "স্যার, আপনাকে তো প্রথমেই বললাম যে লোডশেডিং ছিলো!"
হি হি হি
সুমন সাহেব লোডশেডিং এর অভিযোগ করতে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সাথে সাথে ফিরে আসলেন।
তার স্ত্রী: কী গো, অভিযোগ এতো তাড়াতাড়ি করে আসলে?
সুমন সাহেব: না, অভিযোগ করিনি।
তার স্ত্রী: ওমা কেন?
সুমন সাহেব: ওখানে গিয়ে দেখলাম ওদের জেনারেটর চলছে।
অন্ধকারে বদ্ধ ঘরে
রয়েছি আমি একা।
হঠাৎ যদি ভূতের সাথে
ফির হয়ে যায় দেখা।
এই ভাবিয়ে বুকটা
আমার ধপধপিয়ে ওঠে ।
বেজায় ভয়ে কপাল থেকে,
এক ঘোরে ঘাম ছোটে।
ভাবতে ভাবতে কখন যেন
হঠাৎ কারেন্ট এল।
যাই হোক বাবা হৃদয়ে আমার প্রাণ ফিরে এলো।
খুবই চমৎকার হয়েছে, মজা পেলাম। 👌
২০১৩/১৪ সালের কথা। তখন নতুন নতুন মেসে থাকতাম। লোডশেডিংয়ের খুব জ্বালা। একদিন রুমমেট বড় ভাই বলতেছে,
আমি বললাম,
ভাইতো ভেবে নিছে আমার বাড়ি সম্ভবত গুলশান টাইপ এলাকায়। যেটাকে ভুলে আমি গ্রাম বলতেছি। অথবা, খুব বড় কোন নেতার গ্রাম আমাদের। জিজ্ঞাসা করলো,
কইলাম,
দুই মহিলার মধ্যে কথোপকথন-
প্রথম মহিলাঃ-আপনার সাথে ভাইয়ের কিভাবে বিয়ে হলো..?
দ্বিতীয় মহিলাঃ- লোডশেডিং এর মাধ্যমে।
প্রথম মহিলাঃ- বিষয়টা বুঝলাম না।
দ্বিতীয় মহিলাঃ- আপনার ভাইয়া বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করতো। সে ইচ্ছে করেই লোডশেডিং দিয়ে আমাদের বাসায় আসতো। এভাবে আসা যাওয়া করতেই করতেই বিয়ে হয়ে গেলো,হা হা হা।😛
এক গ্রামে রামু নামের এক লোক বাস করতো। তার নতুন বিয়ে হয়েছে, তাই সন্ধ্যা হলেই সে বাসায় ফিরে আসত। একদিন সন্ধ্যায় রামু বাসায় ফেরার সময় বিদ্যুৎ চলে গেল, চারদিকে অন্ধকার। রামু চিৎকার করে বলল, "অন্ধকারেও তুমি যে কত সুন্দর, জানো না!"
তার স্ত্রী হেসে বলল, "এই রামু, এবার সত্যি বলো, লোডশেডিং না হলে কি এমন কথা শুনতে পারতাম?"
গতকাল রাতে লোডশেডিং এর কারণে এতো গরম লাগছিলো, যা বলার মতো নয়। তারপর ভাবলাম ছাঁদে গিয়ে ঘুমাবো। তো রাত ২ টার দিকে আমার বাসার ফ্ল্যাটের এক ভাড়াটিয়া ছেলে, ছাঁদে গিয়ে ঘুমের ঘোরে আমার উপর পেশাব করে দিয়েছে 😂😂। আমি তো ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠি, আর বলি যে কে আমার উপর গরম পানি ঢালে রে🤣🤣।
শফিক সাহেব লোডশেডিং এর অভিযোগ করতে বিদ্যুৎ অফিসে যেয়ে সাথে সাথে ফিরে আসলেন।
স্ত্রী : কী গো, অভিযোগ এতো তাড়াতাড়ি করে আসলে?
শফিক : না, অভিযোগ করিনি।
স্ত্রী: ওমা কেন?
শফিক : ওখানে গিয়ে দেখলাম ওদের জেনারেটর চলছে।
তীব্র গরম তার উপর আবার অতিরিক্ত লোডশেডিং একেবারে বিরক্তিকর অবস্থা। সবার চোখে মুখে রাগের ছাপ থাকলেও আমার বন্ধু তনু সবসময় বিন্দাস থাকত। একদিন ওকে জিজ্ঞেস করে ফেললাম
তোদের দিকে কী লোডশেডিং হয় না অর্থাৎ বিদ্যুৎ কী যায় না।
জবাবে তনু হাসতে হাসতে বলল আমাদের দিকে এখন আর বিদ্যুৎ যায় না ঐ মাঝে মাঝে আসে হা হা।