এবিবি ফান প্রশ্ন- ৪০৩ | সাপের চোখ থাকতে অন্ধ আর জোঁকের চোখ তো বন্ধ, তবুও এরা খতরনাক কেন?
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
সাপের চোখ থাকতে অন্ধ আর জোঁকের চোখ তো বন্ধ, তবুও এরা খতরনাক কেন?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আমার তো জানা নেই,আপনাদের মতামত জানতে চাই।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
প্রাণী হিসেবে সাপ কিন্তু অত্যন্ত নিরীহ। জোঁকও তাই। তারা যা করে কেবলমাত্র আত্মরক্ষার তাগিদে ভয় থেকে করে।
তবে মানুষ সাপ আর জোঁকের ছোবল আর রক্তচোষা ঠোঁট-এর বিষয়টা, তাদের কাছে চোখের বিশেষ কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। তাদের রিপুই সর্বোচ্চ শক্তি। বিশেষ অর্জিত রিওয়ার্ড, যা বন্টন না করে প্রয়োগ করে অনেকটা ডাউনভোট দেবার মতো।
বর্তমান অবস্থায় এদের থেকে প্রাণী সাপ কিংবা জোঁক নিরাপদ।
সাপের চোখ থাকা সত্ত্বেও তার দর্শন সীমিত, আর জোঁকের চোখ প্রায় বন্ধ থাকে, তবে এদের প্রাকৃতিক ইন্দ্রিয় অনেক প্রখর। সাপ শিকার ধরার সময় তার জিহ্বা ও তাপ শনাক্তকরণ ক্ষমতা ব্যবহার করে, আর জোঁক মানুষের রক্তের গন্ধ শনাক্ত করতে পারে। এ কারণেই, সীমিত চোখের দৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও এরা খতরনাক শিকারী।
যদিও সাপের চোখ আছে দেখতে পারে কিন্তু ছোবল মারার জন্য তারা না দেখার মত করে থাকে। আর জোঁকের চোখ নেই তার তীক্ষ্ণ ঠোঁট দিয়ে রক্ত চুষে নিতে পারে। তারা দুইজনে একই প্রকৃতির জিনিস। তারা মানুষকে আঘাত করে একজন বিষ দেয় অন্যজন রক্ত চুষে খাই। তাদের থেকে সাবধান থাকা দরকার। এ ধরনের মানুষ আমাদের আশেপাশে অনেকেই রয়েছে।
আপনি ঠিক করেছেন আপু, এই ধরনের মানুষের অভাব নেই আমাদের সমাজে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সহমত পোষণ করার জন্য।
একেবারেই ঠিক বলেছেন আপু,সমাজে সাপের সংখ্যা না থাকলেও জোকের সংখ্যা কিন্তু অনেক।
কথা সত্যি আপু যা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই।
কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের চোখ,মুখ হাত পা সব কিছুই আছে, তারপরও তারা সব সময় অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টায় থাকে। কারনে তাদের মনের মাঝে সমস্যা। সাপ আর জোঁকেরও একই অবস্থা। এক জন চোখ থাকতে অন্ধ আরেকজনের চোখ বন্ধ। তারপরেও মানুষের ক্ষতি করতে ভুল করে না। কারন তাদেরও মনে মাঝে সমস্যা,হা হা হা।😀😀
হি হি,সুন্দর বলেছেন ভাইয়া।
সাপের চোখ থেকে তো লাভ নেই, কারন সেই চোখের তো দৃষ্টি শক্তিই নেই। জোঁক হচ্ছে অসুরের জাত ওরা রক্তচোষে তাই ওদের চোখের দরকার হয় না। আর এমনিতেও হৃদয়ের দৃষ্টি শক্তিই আসল দৃষ্টি, সে মানুষ হোক কিংবা সাপ ও জোঁক হোক।
বাস্তব কথা ভাই, হৃদয়ের দৃষ্টি শক্তিই আসল দৃষ্টি।
অন্তর দৃষ্টি, বাহ,দারুণ বলেছেন দাদা।
সাপ এবং জোঁক খতরনাক কারণ তাদের শারীরিক গঠন এবং জীবনীশক্তি তাদেরকে শিকারী হিসেবে দক্ষ করে তুলেছে।
সাপ: যদিও সাপের দৃষ্টিশক্তি কম, তবুও তারা অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। বিশেষ করে, সাপ তাদের জিহ্বা দিয়ে গন্ধ শুঁকে আশেপাশের শিকার বা শত্রু সম্পর্কে জানতে পারে। তাদের বিষাক্ত দাঁত বা শক্তিশালী শরীর শিকারকে দ্রুত নিরস্ত্র বা হত্যা করতে সক্ষম।
জোঁক: জোঁকের দৃষ্টিশক্তি প্রায় নেই বললেই চলে, কিন্তু তারা ত্বক দিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক সংকেত গ্রহণ করতে পারে। জোঁক মানুষের বা প্রাণীর ত্বক ছিদ্র করে রক্ত চুষে নিতে পারে, এবং তাদের লালায় এমন এনজাইম থাকে যা রক্তের জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। এটি তাদের রক্তচোষা প্রক্রিয়াকে দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক করে তোলে।
তার মানে দুইজনেই সমান বিপদজনক তাইতো আপু।
একদম
সাপ এবং জোঁক হচ্ছে মডার্ন যুগের বেশিরভাগ মেয়েদের মতো। সাপ এবং জোঁক মানুষের রক্তের ঘ্রাণে সামনে গিয়ে কামড় দেয়, আর বেশিরভাগ মেয়েরা টাকাওয়ালা ছেলেদেরকে নিজেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছোবল মারে🤣🤣।
সাপ সৃষ্টির সময় মানুষ পিটিয়ে তাকে অন্ধ করে দিয়েছিল ভয়ে। সেইজন্য সাপের এতো রাগ মানুষের উপর। আর অন্যদিকে জোঁক সৃষ্টির সময় জোঁকের উপর লবন ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে জোঁক একবার চোখ বন্ধ করে নিয়েছিল ভয়ে। তারপর থেকে আর কখনো চোখ খোলেনি তারা। এই ঘটনার পর থেকে সাপ এবং জোঁক মানুষের শত্রু হয়ে গেছে। এইজন্য এরা খতরনাক মানুষের জন্য।
সাপ খতারনাক তার বিষের কারনে, বিষ আছে বলে তাদের মানুষ ভয় পায়। আর জোঁক নীরবে মানুষের রক্ত চুষে খায় তাই মানুষ এদের ভয় পায়। দুুটোই মানুষের জন্য বিপদজনক। এমন দুই প্রকার মানুষ ও আমাদের সমাজে আছে তাই তাদের থেকেও সাবধানে থাকতে হবে। না হলে এক ছোবলে আপনাকে মেরে ফেলতে পারে। আর রক্ত চোষা মানুষগুলি কখন আপনার রক্ত নীরবে চুষে খেয়ে ফেলবে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন না। তাই এদের থেকে বেশি সাবধান থাকতে হবে।
সাপের চোখ থাকতে অন্ধ আর জোঁকের চোখ তো বন্ধ এই লাইনটি সমাজে সম্পূর্ণ কুসংস্কার এবং অবাস্তবের উপর ভিত্তি করে প্রচলিত। কারণ সাপের চোখ অন্ধ হয় না। আর সাধারণত জোঁকের চোখ রয়েছে তবে তা স্বাভাবিক ভাবে দেখা যায় না। কোন প্রাণী তার শুধু বাহিক গঠনের উপর নির্ভর করে তাদের শক্তিমত্তা বা, কার্যকলাপ চালায় না। প্রত্যেক প্রাণী তাদের বিশেষ প্রজাতি এবং দৈহিক গঠনের উপর নির্ভর করে হিংস্র অথবা ভয়ানক বা, শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। এই জন্য সাপ আর জোঁক বেশ খতরনাক। আসলে প্রত্যেকের প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে কিছু খতরনাক প্রজাতি বিদ্যমান থাকে।