"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #৩৪৯ [ তারিখ : ২৭.০৬.২০২৪ ]
গত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়েছে। ৩৪৮ তম রাউন্ড শেষে আজ ২৭ জুন ২০২৪, ৩৪৯ তম রাউন্ড এর আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার-@riyadx2
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার-@riyadx2
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নামঃ মোঃ রিয়াদ হাসান। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা- সে একজন ছাত্র, সে আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার- ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন করেছিলেন।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি:
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল:
স্মৃতিচারণ: শৈশব কালে ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতিচারণ ( Publish: 26.06.2024 )
শৈশব আমাদের জীবনের একটা অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আর এই মুহূর্তগুলো আমরা প্রত্যেকেই অনুভব করে থাকি। শৈশবের স্মৃতিগুলো আসলে কেউ কখনো ভুলতে পারে না, এটা আমাদের প্রত্যেকের জীবনে প্রতিমুহূর্তে কোনো না কোনো সময়ে মনের মধ্যে দোলা দিতে থাকে। শৈশবে ঘটে যাওয়া এমন কিছু কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো আমাদের মনের মধ্যে একটা চির গাঁথার মতো গেঁথে যায়, যেটা সারাজীবন মনে থাকে। এটা কিন্তু আসলে ঠিক যে, আমরা প্রত্যেকেই জীবনের যে যেখানে থাকি না কেন বা যে কাজের সুবাদে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেনো, শৈশবের বিভিন্ন স্মৃতিগুলোর মাধ্যমেই কিন্তু আমাদের জীবনটা একপ্রকার বেঁধে থাকে।
সেটা আমরা কেউ স্বপ্নের মাধ্যমেই দেখতে থাকি বা অনেকের অনেক মুহূর্তে মনে পড়ে যায় সেইসব ঘটনাগুলো, যেগুলো আমরা মনে মনে উপলব্ধি করতে পারি। মাঝে মাঝে কিন্তু এটা আমাদের সবারই মনে হয় যে, যদি সবকিছু ছেড়েছুড়ে আবার শৈশবের সেইসব দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। কিন্তু কি আর করা ইচ্ছা থাকলেও তো যাওয়া যাবে না, যদি টাইম মেশিনের মতো কিছু থাকতো, তাহলে হয়তো যেকোনো সময়ে চলে যাওয়া যেত হা হা। রিয়াদ ভাই তার শৈশবের ঘটে যাওয়া যে ঘটনাটা শেয়ার করেছেন গরুর গাড়ির মাধ্যমে, এটা গ্রামে থাকতে প্রায় ঘটে থাকে, আমিও গ্রামে বড়ো হয়েছি আর এইসব ঘটনার সাথে আমিও একটু পরিচিত আছি।
গরুর গাড়ি আগেকার সময়ে বেশি ব্যবহার হতো যেকোনো ক্ষেত্রে, সেটা আমাদের মানব জীবনে কোথাও যেতে গেলে বা যদি কোনো মালপত্র বহন করার ক্ষেত্রে হোক। এখন এইগুলো স্বপ্নের মতো, সবকিছুই দেখতে দেখতে হারিয়ে গিয়েছে। গরুর গাড়িতে যদিও আমি বেশি একটা ভ্রমণ করিনি, তবে যে কয়বার করেছিলাম তাতে একটা আলাদা ফিলিংস তো আছে, কিন্তু ঝাঁকি খেতে খেতে জীবন শেষ হয়ে যায়, তখন মনে হয় নেমে গেলে ভালো হতো হা হা। এখন গরুর গাড়ি বলুন বা ঘোড়ার গাড়ি বলুন সবই অচল হয়ে গিয়েছে, এখন এইসব ভবিষ্যতে একটা ঐতিহ্যময় স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে। আসলে রিয়াদ ভাইয়ের শৈশবের এই কথাগুলো পড়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে, নিজের কাছেই অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
রিয়াদ ভাইয়া অনেক সুন্দর করে শৈশবের স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । আসলে ছোটবেলাটা ছিল একেবারে আলাদা। বড় হওয়ার পর শুধু ইচ্ছে করে সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে। রিয়াদ ভাইয়া একটা মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতিচারণ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও ওনার পোস্টটা আমার পড়া হয়নি, তবে আমি পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। যাইহোক তিনি আরো বেশি উৎসাহিত হবেন এটা দেখলে।
শৈশবের স্মৃতিচারণ পোস্টগুলো পড়লে আমাদের নিজেদেরই শৈশবের কথা অনেক বেশি মনে পড়ে যায়। শৈশব ভালো খারাপ সবকিছু মিলিয়ে থাকলেও সবকিছুই এখন মনে পড়লে অনেক বেশি ভালো লাগে। রিয়াদ ভাই অনেক সুন্দর করে উনার স্মৃতিচারণ পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। মনে হয় কাহিনীটা মর্মান্তিক। আমি পুরো কাহিনীটা জেনে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো ওনার পোস্ট পড়ে।
আগেই পোস্টটি পড়েছিলাম। ভালো লেগেছিল। শৈশব এক হারানো নস্টালজিয়া যেন। সকলে সেই সময়টুকু মনের কোণে নিয়ে দিনযাপন করি, অথচ ফিরে পাবার উপায় নেই। যা হারিয়ে গেছে তা আর ফিরে আসবে না। স্মৃতি সততই সুখের। রিয়াদ ভাইয়ের গরুর গাড়ির স্মৃতি চমৎকার। পোস্টটি ফিচারড হবার যোগ্য পোস্ট।