Better life with steem || The Diary Game || 31 October, 2024 ||
সকাল বেলা |
---|
HELLO.
everyone
শুভ সকাল !! সবাইকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা 🎆🙏 আজ বৃহস্পতিবার কালী পূজো আজকে আমাদের সনাতন ধর্মের !আমি এখনো বাড়ি যেতে পারি নি আজকে সকাল বেলা রওনা দিবো বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৷
তাই আজকে একটু সকাল সকাল ঘুমে থেকে উঠলাম তারপর সোজা চলে গেলাম ফ্রেশ হতে তারপর বাইরে গিয়ে নাস্তা টা সেরে ফেললাম ৷ আজকে আর রান্না করলাম না বাইরে খেয়ে নিবো আর রান্না করতে গেলে অনেক সময় লাগবে ৷
সেজন্য আমরা ঝটপট সবকিছু গুছাতে লাগলাম আমি ও তাদের কে সাহায্য করলাম গুছানোর কাজে ৷
বেশ কিছু আসাবপত্র ছিল তারপর বই কাজ জামা কাপর মিলে বেশ সময় লাগলো সবকিছু গুছাতে এদিকে ১১ টা বেজে গেলো তারপর আমরা সবাই যার যার মত করে স্নান টা সেরে নিলাম ৷
তারপর সবাই মিলে রেডি হয়ে নিলাম এরপর আমরা তিনজন চলে আসি বাইরে খাওয়ার জন্য তারপর পার্কের মোড়ে গিয়ে একটি হোটেল ঢুকে মাছ ডাল ভাত ভাজি দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম অনেক রাস্তা জার্নি করতে হবে না খাইলে খুবই খারাপ লাগতে পারে সেজন্য একেবারে দুপুরের খাবার টা খেয়ে নিলাম ৷
খাওয়া শেষ করে সোজা মেসে এসে সব আসাবপত্র নিয়ে বের হয়ে পড়লাম তারপর একটি অটো ডেকে নিয়ে এসে সব মালামাল অটোতে দিয়ে মেডিকেল মোড়ে চলে আসলাম ৷
আমরা তো বাসেও যেতে পারবো না সেজন্য একটা সি এন জি রিজার্ভ করে নিলাম বাসা পর্যন্ত ৷ তারপর সব মালামাল সি এন জি তে দিয়ে ৩ ঘন্টার মধ্যে চলে আসলাম বাসায় ৷
তারপর ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিলাম হালকা করে আর এদিকে পূজোর আয়োজন চলছে যেহেতু আমাদের ১৮ টা বাড়ি নিয়ে একটা ছোট কালী পূজো করে থাকে সেহেতু পূজোর কাজে একটু ব্যস্ততা থাকতেই হবে ৷
পূজো পরিচালনা করার জন্য আমাকে বেশ কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয় আমি সেগুলো করতে লাগলাম বছরে একটি পূজো আমরা আমাদের বাড়ির পাশেই মন্দিরে করে থাকি সেহেতু দায়িত্বের অবহেলা করা যাবে না ৷
পুরো বিকেল টা ধরে আমি কাজ করলাম যা কিছু লাগে সবকিছু গুছিয়ে রাখলাম যেন পরে আর কোথাও দৌড়াতে না লাগে ৷
সন্ধ্যা বেলা |
---|
কালী পূজো সাধারনত রাতে শুরু হয় আর সকালে বিসর্জন দিয়ে বলি দেওয়া হয় ৷ এখন কেবল সন্ধ্যা হয়ে আসতেছে একটু পরেই পূজা শুরু হয়ে যাবে ৷
পূজোর সবকিছু ফল মূল ভোগ প্রসাদ রেডি করে রাখা হয়েছে পুরোহিত মশাই আসলে তিনি সবকিছু মায়ের সামনে সাজিয়ে দিবেন ৷ ততক্ষণে আমরা এদিকে পূজোর বাকি কিছু কাজকর্ম গুলো সেরে নিলাম ৷
তারপর মান্দিরের চারপাশে গেছা মমবাতি দিয়ে সাজাতে লাগলাম যেন পুরো মন্দির ঘিরে আলোকিত হয় ৷ এভাবে প্রতিটা জায়গায় প্রতিটা মন্দিরে সাজানো হয়ে থাকে ৷
সবকিছু সাজানোর পর মন্দিরে কিছু নৃত্য পরিবেশন করা হলো কিছুক্ষণ সবাই মিলে নৃত্য পরিবেশন করলাম ৷ তারপর সান্তনা মূলক হিসেবে পটেটো চকলেট উপহার দিলাম ৷
রাত প্রায় ১১ টা বাজে পুরোহিত মশাই চলে আসলো তারপর পূজা শুরু করে দিলো ৷
পূজো বসিয়ে পুরোহিত মশাই চলে গেলে তারপর আমরা কিছু ছবি তুলাতুলি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম ৷ তারপর দেখি রাত ১২ টা পার হয়েছে এদিকে আগামীকালের জন্য খিচুরি প্রসাদ রান্না করতে হবে সেজন্য চাল সবজী খড়ি সবকিছু নিয়ে আসলাম ৷
এই সব আনতে আনতে রাত ২ টা বেজে যায় তারপর আমি মন্দির থেকে বাড়িতে চলে আসি ঘুমানোর জন্য ৷
তো বন্ধুরা আজকে এই ছিল আমার সারাদিনের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
শুভ রাত্রি 🤍
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 13 pro + |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
হুম, শ্যামা পূজাতে অনেক কার্যক্রম থাকে। বাৎসরিক একটা ধর্মীয় উৎসব তাই যে যেখানেই আমরা থাকি না কেন ওই দিনের সবাই বাড়িতেই ফিরে আসি। ঠিক যেমনটা আপনার ক্ষেত্রেও ঘটেছে। শ্যামা পূজার আরতি এবং গভীর রাতে পুজো এ দুটো বিষয়ে আমার কাছে ভিন্ন রকম এবং বেশি ভালো লাগে। কারণ মাতৃ রূপে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য মধ্যরাত যেন উত্তম সময় বলে আমার মনে হয়।
আপনার মত আমারও বাড়িতে ফিরতে গতরাতেও বেশ বিলম্ব হয়েছিল। আমি প্রায় রাত ৫ টার পরে অর্থাৎ ভোরের দিকে বাড়িতে ফিরেছিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে লেখাটি উপস্থাপন করার জন্য।