অনুপ্রেরণা (পর্ব ১) || Inspiration (Part 1)
[ছবিটি Canva App সম্পাদন করা হয়েছে]
আজ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বের হয়েছে। অনেকেই ভাসছে খুশির জোয়ারে আবার অনেকেই আপসেট। ভালো ফলাফল নিয়ে উল্লাস এবং খারাপ ফলাফল হওয়ায় আপসেট, এরকমটা হওয়ারই কথা। এটা প্রাকৃতিক একটা নিয়ম। একটি পরীক্ষার ফলাফল একটি সার্বিক জীবনের ওপর কতটুকু ইফেক্ট ফেলে সেটাই আমার আজকের আলোচনার বিষয়।
[ছবিটি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছি]
জনাব গৌরাঙ্গ, বাংলাদেশের প্রত্যান্ত একটি গ্রামে বাস করতেন। মা বাবা, দুই বোন এবং দুই ভাইয়ের সংসারে তিনি সবচেয়ে ছোট। বাবার বিরাট বড় ব্যবসা ছিল, কোন এক কারনে ব্যবসায় মার খেয়ে সংসারে নেমে আসে প্রচন্ড অভাব। কিছুদিন পর বাবা মারা যায়। সংসারের হাল ধরার মতো একজন মানুষই ছিলেন তিনি হচ্ছেন বড় ভাই। যেহেতু অনেক বড় পরিবার, তাই বড় ভাইয়ের উপর চাপের মাত্রাটা একটু বেশি পড়ে গিয়েছিল। জনাব গৌরাঙ্গ পড়াশোনায় ছিলেন খুব মেধাবী। কিন্তু অভাবের সংসারে পড়াশোনা করা এক প্রকারের বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো তার জন্য।যাইহোক, বলছি তার জীবন কাহিনী.......
[ছবিটি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছি]
তিনি প্রথম শ্রেণী থেকেই বেশ মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও পরিবারিক অভাবের কারণে তাকে প্রচুর বেগ পোহাতে হয়েছে। শুনলে অবাক হবেন,পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে তিনি ক্লাস ফোর থেকেই টিউশনি শুরু করেন। এভাবেই চলতে থাকে তার পড়াশুনা। এত কষ্ট করে পড়াশোনা করেও তিনি এসএসসিতে খুব ভালো রেজাল্ট করেন মানে ৮০০ তে ৭৯৮ নম্বর পান। বাড়তে থাকে তার আশা, পড়তে চান ভালো কলেজে।
[ছবিটি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছি]
কম টাকায় পড়াশুনা করা যাবে বলে তার শখ ছিলো সরকারি কলেজে পড়ার। তাই তিনি ঢাকা কলেজে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কিন্তু তখনকার সময়ে ঢাকা কলেজের ভর্তি ফর্ম তুলতে যে মার্ক পেতে হয় তাতে দেখা যায় জনাব গৌরাঙ্গ স্যার মাত্র ২ মার্কের জন্য অযোগ্য। কোনো কূল না পেয়ে তিনি ভর্তি হন শহীদ সোহরাওয়্যার্দী কলেজে। গণিতে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি ছিলেন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের সাবজেক্ট অনুযায়ী প্রাইভেট পড়তে হয় আলাদা আলাদা করে। কিন্তু তার সংসারে অভাব, প্রাইভেট পড়ার মতো সামর্থ্য নেই তার। অভাবের কারণে দশ এগারো মাসের প্রাইভেট তিনি এক মাসেই শেষ করেছেন।
এত অরাজকতার মধ্যেও তিনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তার নিজের মত করে৷তিনি এইচএসসি পরিক্ষা দিলেন, কয়েকদিন পর রেজাল্ট হলো, তিনি ফেল।মানে তিনি গণিতে ফেল করেছেন৷ গণিতে দুর্দান্ত একটি ছেলে গণিতেই ফেল করলো, এটা মানা যায়...?তিনিও মেনে নিতে পারেননি তার এমন ফলাফল, তিনি হতাশ।হতাশা কাটিয়ে তিনি ঠিক করলেন তিনি আবারও পরীক্ষা দিবেন৷ কিন্তু তার পাশে কোনো শুভকাক্ষীই নেই৷ সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছে৷ তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছে তিনি এখন চোখের বিষ। কেউ তাকে আর ভালো চোখে দেখছে না। সবাই তিরস্কার করছে৷
আজ এপর্যন্তই।
আমার এই গল্পের শেষে হয়তো পেয়ে যেতে পারেন অনুপ্রেরণামূলক কিছু কাহিনী।
বিঃদ্রঃ গল্পটি অনেক হওয়ায় এক পর্বে লিখতে গেলে পাঠকদের মনে বিরক্তি চলে আসবে৷ সেই ভাবনা থেকেই আমি এই গল্পটি কয়েকটি পর্ব আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি।
ওনি আমার এলাকার ছেলে।। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওনাকে চিনি। খুব যুগপোযোগি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি । তিনি আমাদের
অনুপ্রেরণার উৎস। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
সত্যিই তাই...? আমি জানতাম না তো!
হে ওনি আমার খুব কাছের মানুষ। পাশাপাশি এলাকায় থাকি। অনেক ধন্যবাদ আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া জন্য।
Your story looks very inspiring. I have also tried to admit at dhaka college but failed. But i appreciate that failure is the key of success.
thank you for your nice comment.
সত্যি পোস্টটি পড়ে খুব অসাধারণ লাগলো। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার উৎসাহ। ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর একটি মতামত প্রদানের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।এই গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
নিম্নবিত্ত মানুষের কষ্টের জীবন ই ফুটে ঊঠেছে জনাব গৌরাংগের জীবনীতে। খুব সুন্দর ভাবে আওনি উপস্থাওঅঅন করেছেন। পরবর্তী পোস্ট দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল।
সুন্দর একটি মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
আজকের পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে গৌরব স্যারের জীবনী সম্পর্কে জানতে পারলাম। আসলে এই অনুপ্রেরণামূলক গল্প আমাদের জীবনে অনুপ্রেরণা ফিরিয়ে আনতে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অল্প টাকায় পড়ার জন্য স্যার সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন গণিতে বেশ ভালো ছিলেন। বিষয়গুলো অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং। আপনার গল্পের পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
সফল হওয়ার অদ্যম্ম ইচ্ছা কোন কিছু বাধা হশে দাঁড়াতে পারে না। জনাব গৌরাঙ্গ এর দারিদ্রতা তার পড়ালেখার পথে বাদা হতে পারে নি তার জলন্ত ইচ্ছা ফেল করার পরেও তাকে আবার জগিয়ে তুলেছে দ্বিতীয় বার পরিক্ষা দেওয়ার জন্য।