আবার অনেকদিন পর
গতকাল শুক্রবার, অনেকদিন পর রাজশাহীতে এসেছি। সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হয়েছিল গতমাসের ১০ তারিখ। তারপর আবার নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ক্লাস হওয়ার হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মাঝরাস্তায় আসার পর মেসেঞ্জার গ্রুপে দেখলাম নোটিশ দিয়েছে ওই সপ্তাহে ক্লাস হবে না। বেশিরভাগ রাস্তা অতিক্রম এসে যদি দেখি এরকম নোটিশ তাইলে কেমন লাগবে আপনারাই ভেবে দেখুন। যেহুতু বেশিরভাগ রাস্তা এসে পড়েছিলাম তাই আর বাসায় ফিরে যাই নি। রাজশাহীতে এসে মেসে এক রাত থেকে বাসায় চলে গিয়েছিলাম পরেরদিন।
যাইহোক, আমাদের ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা চলছে, যার কারণে আমাদের ক্লাসের সময়সীমা পরিবর্তন হয়েছে। মানে আগে ক্লাস শুরু হতো সকাল ৯টায় আর এখন শুরু হয় বিকাল ৩টায়৷ যেহুতু বিকালে ক্লাস তাই আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম সকাল ৭টার পর। বাস স্ট্যান্ডে এসেই রাজশাহীর বাস পেয়ে উঠে পড়েছিলাম। ভালো মানের বাস হওয়ায় রাজশাহীতে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি।
আমি ভেবেছিলাম হয়তো ক্লাস শুরুর কিছুক্ষণ আগেই পৌঁছাতে পারবো কিন্তু যা ঘটলো তা দেখে আমি রীতিমতো অবাক। বল্লামইতো খুব তাড়াতাড়িই পৌঁছে গিয়েছিলাম। যেহেতু তখনো হাতে অনেকটা সময় ছিলো তাই সরাসরি মেসে এসেছিলাম। এসে বেশকিছু সময় বিশ্রাম করেছিলাম। এবং কিছুক্ষণ পর আযান হলে ওযু করে জুম্মার নামাজে অংশগ্রহন করেছিলাম।
নামাজ শেষে রুমে এসে রেডি হচ্ছিলাম বাহিরে খেতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বন্ধু মশিউর এবং তানভির আমাকে থামিয়ে দিয়ে বল্ল ওদের কিছু খাবার আছে ওগুলোই ভাগাভাগি করে খেতে। আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছিলাম যে যতটুকু খাবার আছে তা দিয়ে তিন জনের পেট একদমই ভরবে না। তবুও ওরা ছাড়লোই না, বাধ্য হয়ে খেলাম। খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্য বের হলাম। ৩টার পর স্যার আসলেন এবং ক্লাস শুরু হলো। প্রতি ক্লাসের সময়সীমা দেড় ঘন্টা করে। শুক্রবার তিনটা ক্লাস হয়। শেষের ক্লাসে স্যার এক্সট্রা ক্লাস নেওয়ার কারণে রাত প্রায় আটটা বেজে গিয়েছিল। ক্লাস শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েই মেসে এসে পড়েছি৷
অনেকটা সময় জার্নি করে বাসা থেকে এসে আবার দীর্ঘসময়জুড়ে ক্লাস করতে হয়েছে। যার কারণে শরীরটা বেশ ক্লান্ত। শুধু ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছিল। বন্ধু মশিউর এবং পাশের রুমের ছোটভাই তাজ এসে বিভিন্ন গল্প গুজব করছিল আমার রুমে কিন্তু আমার শরীর ক্লান্ত থাকায় ওদের সাথে আড্ডা জমাতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পর ভাবলাম চা খেয়ে আসি তাহলে হয়তো একটু হলেও এনার্জি পাবো।
বন্ধু মশিউর, তাজ এবং আমি বাহিরে গিয়ে একটু হাটাহাটি শেষে চা পান করে মেসের সামনে বসে একটু আড্ডা দিয়ে যে যার রুমে ঢুকে পড়েছিলাম৷ বিছানায় গা হেলান দেয়ার সাথে সাথেই ঘুমের রাজ্য আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো।
এখান থেকে একটা জিনিস আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম যে, ভালো ঘুমের জন্য শরীরকে মাঝে মাঝে প্রচন্ড রকমের ক্লান্ত করে তোলা উচিত।
আবারো আপনি নতুন সেমিস্টারে ভর্তি হয়েছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আশা করি আপনি পড়াশোনা আগের মতই করবেন এবং আপনি আবারো আগের মতই নিজের পড়াশোনার প্রতি মনোনিবেশ করবেন।
এত পরিমাণে জার্নিং করলে শরীর ক্লান্ত হবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার এত ঘন্টা ক্লাস আসলে শরীর ভালো থাকার কথা নয়। তবে আপনি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চা খাওয়ার। চা খেলে একটু হলেও ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার আবারো রাজশাহী ফিরে যাওয়ার গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
রাজশাহীতে অনেক আগে একবার যাওয়া হয়েছিলো তখন প্রয়োজনীয় কাজে যাওয়া হয়েছিলো ঘুরার কোন সময়ে পাই নি ৷ রাতের রাজশাহী নাকি অনেক কিছু দেখার রয়েছে ৷ রাস্তার পাশে যে লাইট গুলো জ্বলতেছে আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷