আজকের ইফতার
গতরাত পুরো সময়জুড়েই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিলো, সাথে ঠান্ডা আবহাওয়া। হয়তো বর্ষার পূর্বাভাসের জানান দিচ্ছিলো। ভেবেই রেখেছিলাম বৃষ্টি হবে হয়তো। সেহরির কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়ছিলো বৃষ্টি, যার রেশ রয়েছে এখনও অব্দি।
এমনিতেই ঠান্ডার মৌসুম তার মধ্যে আবার এমন বৈরি আবহাওয়া, দুটোর কম্বিনেশনের আমেজ খুব একটা খারাপ না৷
রোযার মাস চলছে, বলতে গেলে এসময়টাতে আমার তেমন কোনো কাজের চাপ থাকে না৷ মন চাইলে খানিক সময় পড়ালেখায় ব্যয় করি। মন না চাইলে তাও করি না। আর বিকেলে একটু আমাদের দোকানে সময় দিতে হয়। এভাবেই চলি পুরো মাস৷
আজ আবহাওয়ার সুবাদে বাহিরে বের হওয়ার তেমন সুযোগ পাইনি। সেহরির পর আর না ঘুমিয়ে দিনের আলোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভোরের শেষে সূর্য মামার উপস্থিতিতে যখন দিনের আলোর আগমন ঘটলো তখন, ছাঁদে উঠে আমার প্রিয় পোষা পাখি কবুতরগুলোকে খোপ থেকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। বৃষ্টি পড়ছিলো তখনও, দোটানায় পড়ে গিয়েছিলাম যে, ছাড়বো নাকি ছাড়বো না।
পরে ভাবলাম যদি ছেড়ে না দেই তবে কবুতরগুলোকে না খেয়ে থাকতে হবে। কারণ, খোপের ভিতর খাবার এবং পানি দেওয়ার কোনো মাধ্যম নেই। তাই কবুতরগুলোকে ছেড়ে দিয়ে খোপের নিচের পাত্রে খাবার ও পানি দিয়ে নিচে নামলাম।
করার মতো আর কোনো কাজ নেই, বাহিরেও যাওয়ার সুযোগ ছিলোনা। তাই আবারও ঘুমানোর চেষ্টা করলাম৷ সেই যে ঘুমিয়েছিলাম, জেগেছি বিকাল পাঁচটার পর৷ তখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিলোই। একটানা দীর্ঘ সময় বাসার ভিতর থাকতে পারছিলাম না। তাই ফ্রেস হচ্ছিলাম বাহিরে যাওয়ার জন্য। কিছুক্ষণ পর একজন ফোন দিয়ে জানালো তাদের বাসায় গিয়ে যেন ইফতার করি৷
ইফতারের কিছু মহুর্ত আগে বের হলাম সেখানে যাওয়ার জন্য। স্ট্যান্ডে এসে দেখলাম রিক্সা সংখ্যা খুবই কম। একটি রিক্সা এসে দাঁড়াতেই বল্লাম, যাবেন....? উনি বললেন কোথায় যাবেন..? বল্লাম এইতো সামনেই। বলল, ভাড়া বিশ টাকা৷ আবহাওয়া খারাপ, ভাড়া একটু বেশি চাইতেই পারেন৷ কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, হাফ কিলো রাস্তার ভাড়া ক্যামনে বিশ টাকা হয়। সচারাচর ভাড়া কিন্তু দশ টাকাই। আমরা শুধু ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করি কিন্তু ভণ্ড যে আমরা সবাই তা কিন্তু কখনই স্বীকার করি না।
যাইহোক, মনের ক্রোধে আর রিক্সায় উঠলাম না।
ইফতারেরও আর বেশি সময় বাকি নাই। তাই ভাবলাম এখানে ইফতার করে ওখানে যাই৷ ফলের দোকান থেকে কিছু খেজুর নিয়ে রাখলাম, ইফতারের সময় হলে ইফতার করার জন্য। ইফতারের সময় হলো, ইফতার করলাম। তারপর ওখানে যাওয়ার জন্য রওনা হলাম, এবার আর রিক্সার অপেক্ষা করলাম না, পাঁয়ে হেঁটেই গেলাম৷
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
দিনশেষে আমার একটাই প্রত্যাশা, পরিবর্তন হোক আমাদের মানসিকতা, বজায় থাকুক ভাতৃত্বের বন্ধন, মিলিত হোক প্রতিটি প্রাণ একই সুরে.....।
প্রিয় ভাই বৃষ্টির দিনগুলো তো সত্যিই বাসায় অলস হয়ে বসে থাকতে হয়। মৌসুমীর যেহেতু প্রথম বৃষ্টি তাই বাইরে বের না হওয়াই অনেক ভালো। দিনটি আপনি ঘুমানোর মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। পরিশেষে আজকে একজনের বাসায় ইফতারের দাওয়াত পেয়েছিলেন। কিন্তু দাওয়াত খেতে গিয়ে আপনাকে বিরম্বনায় পড়তে হয়েছিল কারণ রিকশাওয়ালা আপনার কাছে ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা চেয়েছিল।
আবহাওয়া খারাপ জন্য হয়তোবা এমনটা চেয়েছে। যাইহোক সবকিছু ভালো ভালো সম্পন্ন করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি মতামত প্রদানের জন্য।
বৃষ্টির দিন বিদায় বেশ অলস ভাবে আপনার দিনটি কেটেছে। তবে কবুতরগুলোকে ছেড়ে খুবই ভালো কাজ করেছেন। আর অধিক মুনাফার কথা বলছেন আসলে বর্তমানে বাজারদর ও জীবন-যাপনের খরচ এত বেশি বেড়েছে যে মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছে। সবার ইনকাম কম কিন্তু খরচ বেশি। তাই অধিক মুনাফার একটা প্রচেষ্টা সবকিছুতেই দেখা যাচ্ছে। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্যটি যৌক্তিক। ধন্যবাদ, আপু এত সুন্দর একটি মতামত প্রদানের জন্য।