ভেবে দেখেছেন একটিবার....?
আমরা যারা শহুরে মানুষ, তারা প্রতিনিয়তই জ্যামের সম্মুখীন হই। এ আর নতুন কিছু নয়। এই জ্যাম বিভিন্ন কারণেই সৃষ্টি হতে পারে৷ তারমধ্যে প্রধানতম দুটি কারণ হলো, মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন অপরটি ফুটপাত দখল। শহুরের মেইন রাস্তাগুলোতে ভারি যানবাহনের পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি ইত্যাদি চলাচল করে। যেগুলোর পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলে হয়তো জ্যাম এড়িয়ে চলা সম্ভব হতো৷
কিন্তু প্রতিনিয়তই এসব যানবাহন এত পরিমানে বাড়ছে যে, যা এখন মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত এসব ছোট ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এমন অভিযান কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার বোধগম্য নয়।
এসব ছোট ছোট যানবাহন যখন বাহিরের দেশ থেকে আমাদের দেশে আমদানি হয় তখন এ ব্যাপারে কি তারা বেখেয়াল, নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে বসে থাকে...? যখনই এসব যানবাহন কোনো ক্রেতা ক্রয় করে রাস্তায় চালায় তখনই চলে অভিযান৷ গরীবের উপর চলে অত্যাচার৷ অভিযানতো তাদের দরবারে চালানো উচিত ছিলো, যারা এগুলো আমদানি করে আমাদের দেশে এনেছে৷
যারা আমাদানি করে, তাদেরতো হিসাব রাখা উচিত আমাদের দেশের রাস্তার পরিসর বিবেচনা করে এসব আমদানি করা৷ আমাদের দেশে জ্যাম এড়াতে থ্রি হুইলারগুলো যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয় তা আমার মতে নিছক স্বান্তনা মাত্র।কারণ, এভাবে কস্মিনকালেও এসব নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
তবে উপায় কি নেই...?
উপায়ও আছে। যারা এসবের আমদানি কারবারে জড়িত তাদের অবশ্যই হিসাব রাখতে হবে কত পরিমাণ গাড়ি চললে যানজট এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে, তারা সে পরিমাণ গাড়ি নামিয়ে অপেক্ষা করবে ততদিন, যতদিন নতুন কোন গাড়ির প্রয়োজন না হয়। পরিমাণ কিন্তু একই রাখতে হবে।
দিনশেষে আমরা মুনাফা লোভী, অধিক মুনাফার লোভের কারণে জনগনকে জ্যাম নামক ভোগান্তির স্বীকার হতে হয় প্রতিনিয়ত৷
আর এসব গাড়িগুলো খুব সহজলভ্য হওয়ার ক্রেতাকেও খুব বেশি একটা প্যারা নিতে হয় না। নিমিষেই কিনে ফেলে। আমার মতে, যান্ত্রিক এ শহরকে জ্যামমুক্ত রাখতে এসব গাড়ির উপর ভ্যাট দিতে হবে বাড়িয়ে, যেন যেকেউ চাইলেই এসব সহজেই ক্রয় করতে না পারে। পাশাপাশি যথাযথ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, যথাযথ কর্মসংস্থানের অভাববোধ করে বলেই বেশিরভাগ মানুষ ঐদিকে ঝোঁকে৷ তাদের জন্য যদি সঠিক পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় তবেই তারা মনোনিবেশ করবেন অন্য কাজে।
এরপর আসি ফুটপাত দখলের ব্যাপারে....।
গত দু তিনদিন আগে দেখলাম আমাদের শহরে উচ্ছেদ অভিযান চললো, মানে ফুটপাত দখলমুক্তকরণ৷ এখানে কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা তাদের ব্যক্তিক পজিশন বাদেও ফুটপাত দখল করে আছেন আংশিকভাবে। আর কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা পুরো ফুটফাটটাই দখল করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন অনেক বছর ধরে। তারা এমনই দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছেন, যে কারণে এশহরে যখন বিভিন্ন তিথিতে মানে ইদসহ বিভিন্ন বড় বড় উৎসবে ঘরমুখো মানুষগুলোর আগমন ঘটে তখন তাদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
যার কারণে হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে এমন অভিযান চলেছিলো। বেশিরভাগ শহরের ফুটপাতগুলো অসহায় ব্যবসায়ীদের দখলে। তারা হয়তো কোনো উপায় পায়নি বলেই এমন পন্থা অবলম্বন করেছে৷ যদি তাদেরও সঠিক পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা যেতো, তবে হয়তো সকল ফুটপাত দখলমুক্ত হতো, সেইসাথে সকল প্রকার দূর্ভোগ দূর করা সম্ভব হতো।
যানজটের কথা কি আর বলবো।,শুধু যে ঢাকা শহরে যানজট তা কিন্তু নয়, জেলা শহরেও একই অবস্থা। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্যে। ভালো থাকবেন।
ঢাকাতে যদি শুধুমাএ রিকশা তুলে দেয়া হতো তাহলেই জ্যাম অর্ধেকের বেশি কমে যেত। এরপর সিএনজিতো আছেই। কিন্তু সমস্যা হলো এই মানুষগুলোর কর্ম সংস্থানের। অশিক্ষিত এবং কারিগরি জ্ঞান বঞ্চিত এত বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান করা কোন সহজ বিষয় না।তাই এদের তুলে দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
মাঝে মেইনরোডে রিকশা চলাচল বন্ধ ছিলো ইদানীং দেখি ভালোই চলে।
আর ফুটপাত দখলমুক্ত কিভাবে হবে?! এটাতো বিজনেস। সবাই টাকা পায় এদের কাছ থেকে। তাই কিছুদিন পর পর উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা চলে।
চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনি যে উল্লেখযোগ্য বিষয় গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এগুলো আসলে আমরা কেউই মেনে চলি না। এই রাস্তায় জ্যামের মূল কারণ হলো আমরা নিজেরা। বর্তমানে শহরের রাস্তাঘাটে ফুটপাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা রাস্তার পাশের দোকান করে। দেখা যায় অনেকেই ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চলাচল করে এজন্যই এই জামের মূল কারণ। একটি শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে অনেক সুন্দর একটি লেখা উপস্থাপন করেছেন। রাস্তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটপাত দখল করে ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তাই ব্যবসায়ীদের দখলে। এছাড়া অতিরিক্ত গাড়ি আমদানির ফলেও ট্রাফিক জ্যাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।