জাগো হে তরুণ....!
src
বিশ কিংবা বাইশ বছরের সিফাত আজ সফল ব্যবসায়ী। কিভাবে সে সফলতার চূড়ায় উঠতে সক্ষম হলো তা নিয়েই আমার আজকের পোস্ট।
সিফাত, তিন ভাইয়ের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ। তার নিজের কোনো বোন নেই৷ বাবা মা আর বাকি দুই ভাইয়ের কাছে ছিলো সিফাত আদরের সন্তান । অন্যান্য পরিবারে ছোট সন্তানদের যেমন কদর, সিফাতেরও কোনো অংশে কম ছিলো না।
পড়াশোনার প্রতি তেমন সে মনোযোগী ছিলো না। তবুও দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে পাশ করেছে কোনোরকমে। মায়ের বড় ইচ্ছা ছিলো, ছেলেকে সেনা বাহিনীতে চাকরি করাবে। তবে তা আর পূরণ হয়নি। মা দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগতে ভূগতে শেষমেশ মারাই গিয়েছে গত দুই তিন বছর আগে। পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকায় পরে আর উচ্চ ক্লাসে ভর্তি হওয়ার চেষ্টাও সে করেনি। পুরোদমে আত্মনিয়োগ করেছিলো বাবার ব্যবসায়। এভাবেই অনেকদিন কেটে গিয়েছে।
এখানে একটা কথা বলার প্রয়োজন মনে করছি।
সেটা হলো, কারো মায়ের মৃত্যুর পর বাবার নতুন বিয়েকে আমরা খাটো চোখে দেখি যেটা আমাদের নিচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে আমি মনে করি৷ কারণ, আমি মনে করি মানুষ সঙ্গেই বাঁচে। বহুদিনের সঙ্গীকে হারিয়ে একজন মানুষ মৃত্যুর আগ মহূর্ত পর্যন্ত ভীষণ কষ্টে জীবন কাটায়৷ কারণ, একজন পুরুষের প্রকৃত বন্ধুই তার নিজ স্ত্রী৷ সে যখন হারিয়ে যায় তখন পুরুষটা ভীষণ একা হয়ে পড়ে। যে একাকিত্ব দুনিয়ার আর অন্য কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়৷ এব্যাপারে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন অতিব জরুরি।
বাড়তি কথা বলতে গিয়ে আমি আমার মূল প্রসঙ্গ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম। আবারো ফিরছি,
বাবা হতে প্রাপ্ত টাকা পেয়ে, সিফাত এখন নিজেই ব্যবসা করছে। কিছুদিন আগে যখন ওর বর্তমান হালচালের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সে গল্পের ফাঁকে একবার বলেই ফেলেছিলো বাবা হতে প্রাপ্ত সম্পদ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বর্তমানে পাঁচগুন বানিয়ে ফেলেছে।
তার এমন কর্মকান্ডে আমি তাকে সফল তরুণ হিসেবে ধরে নিতেই পারি। অনেকে এখানে দ্বিমত পোষনও করতে পারেন। তবে আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, উপরের পুরো লেখায় আমি শুধু আমার নিজস্ব মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
অগ্রীম শুভেচ্ছা হে নব তরুণ, তোমার দিকেই চেয়ে আছে জাতি, দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব।
স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যুর পরে সঙ্গীর প্রয়োজন আসলে শুধুমাত্র একজন পুরুষের হয় না, একজন নারীর জীবনেও সঙগীরএকান্তই প্রয়োজন ।কারন ছেলে মেয়ে সবাই যার যার মতো একসময় ব্যাস্ত হয়ে যায়। কিন্তু বৃদ্ধ কিংবা বৃদ্ধা মানুষটাকে সময় দেয়ার মতো কেউ থাকে না। এজন্যই অন্তত কথা বলার মতো একজন
সাথী প্রয়োজন হয়।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই পড়াশোনা করে চাকরী মাথায় রেখে। পারলে সবাই বিসিএস ক্যাডার হতো। এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন।
আমি নিজে যেমন কোনদিনও আমার ছেলেদের মাথায় এটা ঢুকাই নাই যে, তোমাকে চাকরি পেতে হবে এজন্য পড়।
আপনার এই সিফাত আর সিফাতের মতো তরুন উদ্যোগক্তাদের প্রতি আমারও অগ্রীম অভিনন্দন রইলো।
সুন্দর একটি মতামত প্রদান করায় আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি এমনটাই বুঝানোর চেষ্টা করেছি, তবে আমি এখানে শুধু পুরুষকে উল্লেখ করেছি।
পড়াশোনার একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জ্ঞান অর্জন। পড়াশোনার মাঝে বা শেষে ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর সব কিছু ছেড়ে উচিত৷ যার যেটা ভালো লাগে তাকে সেটাই করতে দেয়া উচিত। তবেই সমৃদ্ধ হবে দশ ও দেশ।