বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দিনগুলি
কলেজের গন্ডি পেরিয়ে ইচ্ছে ছিলো, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু আমার মেধার কমতি সে আশার পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলো৷ মেধার কমতি থাকা সত্বেও ছোটবলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি আমার অদম্য ইচ্ছা৷ সেই ইচ্ছে থেকেই ভর্তি হয়েছিলাম একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের দেশে নানা গুঞ্জন। এটা আসলে বেশিরভাগই গুজব, তবে গবেষণায় এগুলোর মান উন্নয়ন করা গেলে ষোলোকলা পূর্ণ হতো বলে আমি মনে করি৷ যাইহোক,
প্রথম যেদিন ভার্সিটিতে গেলাম, সেদিন প্রচন্ড ভয়ে ভয়ে প্রবেশ করলাম ভিতরে। সেখানে দেখা হলো আমার মতো আরও অনেকের সঙ্গে৷ পরিচিত হলাম একে অপরের সাথে৷ ক্লাসে প্রবেশ করলাম, বুকের ধুকধুকানি তখনও কমেনি। প্রথম ক্লাসেই স্যার ক্লাস পরিক্ষার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন।আমি একটু দেরিতে ভর্তি হওয়ায় এব্যাপারে একটুও অবগত ছিলাম না। স্যার আমাকে অভয় দিয়ে পরবর্তীর জন্য সুযোগ দিয়েছিলেন৷ কয়েকদিন পর ক্লাসে আমাকে যখন প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য ডাকলেন ভয়ে আমার হাত কাঁপছিলো।
স্যারের অভয়ে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলাম সেদিন। সেদিনের পর থেকে প্রেজেন্টেশনে আমি সবসময় ভালো করার চেষ্টা করেছি, যা আজ অবদি চলমান।
সত্যি বলতে পড়াশোনা নামক বস্তু যা আয়ত্ত্ব করেছি এজীবনে, তা পুরোটাই ভার্সিটি লাইফে, তার আগে যা অধ্যায়ন করেছি সেগুলো বর্ণমালা এবং সাংকেতিক চিন্হ শেখার ন্যায়৷ অনেক নতুন বন্ধুদের সাথেও বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয়েছে, এই সময়টাতেই।ভাগ্যগুণে কিছু অভিভাবকতুল্য শিক্ষক এবং সহপাঠী পেয়েছিলাম, যারা ছিলো প্রচন্ড হেল্পফুল৷ আসলে ভার্সিটি লাইফে বন্ধুত্বের বন্ডিংটা থাকে অনেক মজবুত।
শরিফ, মশিউর, তানভির, রিদয়, রাসিব, শুভ, রিফাত, আকাশ, সঞ্জয়, সিমি, তামান্না, তিবা, তামিমা, ফেরদৌসী, সাজিয়া, অরিন, মোহনা এরা সকলেই আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সহপাঠী। যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাকে প্রচন্ড সাহায্য করেছে৷ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অনেকেই এখন অনেক দূরে৷
মশিউর, তানভির, রিদয় এখনো কাছাকাছিই থাকে, বলতে গেলে একদম আঠার মতো লেগে থাকে সবসময়।
শিক্ষকদের কথা না বললেই নয়, কিছু শিক্ষক পেয়েছিলাম, যাদের দেয়া দিকনির্দেশনা মেনে জীবনে প্রচুর উপকৃত হয়েছি৷ যদিও আমি এখন তাদের গন্ডি পেরিয়ে গেছি তবুও যেকোনো সমস্যায় সৎ পরামর্শ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করে থাকেন। বিশেষকরে খালিদ হাসান এবং সম্রাট স্যার।
আমার সকল সহপাঠী এবং শিক্ষকদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।
সময়ের পরিক্রমায় সবাই এখন ছিটাছিটিভাবে অবস্থান করছেন। প্রচুর মিস করি তাদের, তাদের সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো মনে হলে অজান্তেই চোখের কোণে পানি জমা হয়৷ খুব খারাপ লাগে, যখন ভাবি এজীবনে অনেকের সাথে আবার দেখা নাও হতে পারে।
সকল শিক্ষক এবং সহপাঠীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Thank you for your valuable support.
ভাই আপনার লেখাগুলো পড়েছিলাম আর ভাবছিলাম যে প্রথম কলেজে যাওয়ার সেই দিনগুলো তবে আপনি যেভাবে ভয়ে ভয়ে রুমে প্রবেশ করছেন আমার ভিতরে তেমন কোন ভয় কাজ করি নাই কেননা কলেজ ছিল আমাদের বাড়ির পাশে। আপনার বুকের ধুকধুকানি পড়তে পড়তে আমারও মনের ভিতর কেমন যেন ভয় কাজ করছিল।
যাইহোক আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের যাওয়ার প্রথম অভিজ্ঞতাটা আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।