মায়ের ইচ্ছে!
![]() |
---|
আজ সকালেও ঘুম থেকে উঠলাম বেশ খানিকটা দেরি করে। তারপর ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। বিগত দিন মা একাদশী ব্রত পালন করেছিলো তাই আজ খানিকটা সকাল সকাল খেয়ে নিলাম। বাড়িতেই ছিলাম টুকটাক কাজ করছিলাম। বিগত দিন যে ড্রাগন গাছগুলো রোপণ করেছিলাম সেগুলোর গোড়ায় জল দিলাম এবং চারপাশের আগাছাগুলো পরিষ্কার করলাম।
হাসি- আনন্দ, দুঃখ - বেদনার মুহুর্ত নিয়েই আমাদের জীবন। ছোট ছোট ঘটনায় আমাদের মন অনেক বেশি ভেঙে পড়ে, মন থেকে শক্তি হারিয়ে ফেলি তেমনই কিছু কিছু মুহুর্ত জীবনে বাঁচার আনন্দ উপভোগ করতে পারি। সেই মুহুর্তগুলো আমাদের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলো স্মৃতি হয়ে থাকে আজীবন।
নিজে যদি পরিবার তথা বাবা মায়ের জন্য কিছু করা যায় বা তাদের সুখের কারন হওয়া যায় সেটাই বোধহয় জীবনের সব থেকে বড় অর্জন। সন্তান হিসাবে মায়ের সুখের কারন হওয়াটা সত্যি অনেক কিছু আমার কাছে যেটা বলে বুঝাতে পারবো না। তেমনই একটা দিনের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো -
তখন আমাদের বাড়িতে ফ্রিজ ছিলো না। বাড়ির আশেপাশে দু একজনের বাড়িতে ফ্রিজ ছিলো। যাদের টুকটাক প্রয়োজন হতো অন্যদের ফ্রিজে রেখে আসতো। তবে আমার মা অন্যদের ফ্রিজে জিনিস রাখা একদমই পছন্দ করেন না এবং অন্য দের এখানে যেতো না। তাছাড়া অন্যদের ওখানে গেলে তারা বিরক্তবোধ করতে পারে এটা ভেবেই মূলত মা অন্যদের ফ্রিজে জিনিস রাখতো না। আমি তখন বাড়িতে থাকতাম না, খুলনাতেই থাকতাম। আমাদের বাড়ির পাশের একটা ঘের থেকে অনেক মাছ ধরছিলো তখন বাবা আমার জন্য সেখান থেকে কিছু মাছ কিনে আনে। তবে কিছু কারন বশত আমি সেদিন বাড়িতে যেতে পারি নি তাই বাধ্য হয়ে মা সেই মাছগুলো পাশের বাড়িতে ফ্রিজে রেখে আসে।
পরদিন আমি বাড়িতে যাই এবং মায়ের কথা শুনে আমার মনে হয় যে, মায়ের একটা ফ্রিজ কেনার শখ হচ্ছে। তখন আমি কিছুই বলি নি তবে মনে মনে ভাবছিলাম মায়ের জন্য একটা ফ্রিজ কিনতে হবে।
তাছাড়া তখন আমার কাছে জমানো কিছু টাকাও ছিলো। সেই সময় আমি মূলত অনলাইনে কিছু কাজের সাথে জড়িত ছিলাম। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতাম৷ আমার কাজ ছিলো মূলত বিজনেস কার্ড তৈরি করা। এখান থেকেই আমার কাছে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম।
একদিন রাতে বাড়িতে ফোন করে পরদিন সকালে গাড়ি ঠিক করে নিয়ে খুলনাতে আসতে বললাম। তখনই অবশ্য আসল কারনটা বলে দিয়েছিলাম বাড়িতে। পরদিন সকালে বাবা যথা সময়ে খুলনাতে আসলো এবং বাবা আর আমি শো-রুমে চলে গিয়েছিলাম। আগে থেকে অনলাইনে আমি ফ্রিজ পছন্দ করে রেখেছিলাম।
শো-রুমে গিয়ে ফ্রিজ পছন্দ করলাম। তাছাড়া আমি যেটাই পছন্দ করি না মায়ের সেটাই পছন্দ হয়। জানি না কেন তবে আমার পছন্দই মায়ের পছন্দ।
ফ্রিজ কিনে গাড়িতে উঠিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। সত্যি সেদিন নিজের কাছে অনেক বেশি আনন্দ লাগছিলো। খুশিটা এই কারনে লাগছিলো কারন মায়ের ইচ্ছেটা পূরণ করতে পেরেছিলাম।
জীবনে কিচ্ছু চাওয়ার নেই, শুধু বাবা মায়ের হাসির কারন হতে চাই!
আসলে একটা সন্তানের কাছে তার মায়ের মুখের হাসি সবচাইতে দামি আপনি আপনার মায়ের জন্য এত সুন্দর একটা জিনিস নিয়ে এসেছেন যেটা সত্যিই অসাধারণ যতদিন এই ফ্রিজ আপনার ঘরে থাকবে ততদিন আপনার মা আপনার সেই দিনের কথা মনে করবে আমার মনে হয় প্রতিটা মেয়ে প্রতিটা ছেলের উচিত জীবনে যেকোনো মুহূর্তেই হোক না কেন অবশ্যই তার মায়ের মুখে হাসি করে না আপনার এই ছোট্ট প্রচেষ্টায় আপনার মায়ের মুখের হাসি আপনি দেখতে পেয়েছেন যেটা সত্যি আনন্দিত ধন্যবাদ মায়ের জন্য এত সুন্দর একটা কাজ করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনার মা নিশ্চিতভাবে খুব খুশি হয়েছেন, এবং এই মুহূর্তটি আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে।এটা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। মা-বাবার জন্য কিছু করা সবচেয়ে বড় অর্জন, আর আপনি সেটা খুব সুন্দরভাবে করতে পেরেছেন। মায়ের জন্য এত ভালোবাসা এবং যত্ন দেখে মনে হচ্ছে, জীবনের সব কিছুই তাদের হাসির জন্য! আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপন মায়ের জন্য এমন ছোট্ট কিন্তু বিশেষ একটা কাজ সত্যি অনেক বড় অর্জন। মা-বাবার সুখের জন্য তাদের ইচ্ছা পূরণ করতে পারা অনুভূতি সত্যিই অমূল্য। আপনি যেভাবে মার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তা পূর্ণ করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের সবার জীবনে মা বাবার হাসি অনেক বড় উপহার। আল্লাহ আপনাকে আরো সাফল্য ও আনন্দ দেখ এবং মায়ের মুখে হাসি থাকুক সবসময়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Congratulations! This post has been voted through steemcurator09 We support quality posts, good comments anywhere and any tags.
Thank you so much for your support. 🙏