মায়ের স্পেশাল রেসিপি তৈরি করলাম আমি-"ডালের বড়া ও চিংড়ি মাছ দিয়ে মোচার ঘন্ট"
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনার প্রত্যেকে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন আর আজকের দিনটা নিশ্চয়ই খুব ভালো কাটিয়েছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার হাতের মজাদার রান্নার রেসিপি। রেসিপিটি হল ডালের বরা এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে কলার মোচা। আমার দিদি মোচা খেতে খুব ভালোবাসে কিন্তু সেটা আমার মায়ের হাতের। হয়তো আমার হাতের রান্না দেখে আবারও বলবে আমাকেও রান্না করে খাওয়াতে হবে।
আজকের রান্নাটা আমাকে মা বলে বলে দিয়েছে, আর আমি করেছি। কারন মায়ের শরীরটা খুব একটা ভালো নেই। আর আমিও বাড়িতে ছিলাম। তাই ভাবলাম আজকের রান্নাটা আমাকে আমিই করি। চলুন আমি কিভাবে রান্নাটা করলাম আপনাদের বলি।
উপকরণ:-
১. কলার মোচা- আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন।
২. চিংড়ি মাছ- আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন।
৩. মুসুর ডাল বাটা-আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন।
৪. আদা-ছোটো এক টুকরো।
৪. গোটা জিরে-এক চা চামচ।
৫. আলু-আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন।
৬.কাচা লংকা- স্বাদ অনুসারে
৭. টমেটো-পরিমান মতো।
৮. ঘি- পরিমাণ মতো।
৯. লবন ও হলুদ- পরিমাণ মতো।
১০. সর্ষের তেল- পরিমাণ মতো।
১১.তেজপাতা-দুটি
১২. কালোজিরা- ডালের বড়ায় দেওয়ার জন্য।
প্রনালী:-
প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলো ধুয়ে লবন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে হালকা ভেজে নিলাম।
মোচাটি কেটে নুন এবং হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে জল বার করার রেখে দিলাম।
তারপর রাতে ভিজিয়ে রাখা ডাল বেটে নিয়ে,ঔ বাটা ডাল দিয়ে ছোটো ছোটো করে বড়া ভেজে নিলাম।
তারপর কড়াইতে তেল দিয়ে তেলটা গরম হলেই জিরা ফোড়ন দিয়ে,তাতে কেটে রাখা আলু দিয়ে দিলাম এবং একটু লাল করে ভেজে নিলাম কিন্তু এখানে তেজপাতাটা আমি পরে দিয়েছি কারন মা বলে ফোড়নে দিলে আলু ভাজতে ভাজতে তেজপাতাটা পুরে কালো হয়ে যায়।
আলু গুলো ভালো করে ভেজে তাতে বেটে রাখা মশলা এবং আর একটা টমেটো কেটে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিলাম। কারন মা মশলাটা দেখে বললো আর একটু টমেটো লাগবে তাই আর বেটে দিলাম না কেটে মশলার উপর দিয়েদিয়ে, পরিমাণ মতো হলুদ দিয়ে একসাথে কষলাম।
মশলাটা কষানো হয়ে গেলে তাতে সেদ্ধ করে রাখা মোচা দিয়ে দিলাম। তারপর মোচাটা ভালো করে মশলাতে মিশিয়ে নিয়ে নেড়ে নিলাম যাতে ভাজা ভাজা হয়।
তারপর তাতে ভেজে রাখা ডালের বড়া চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে আরো একটু নাড়াচাড়া করে নিলাম। তারপর অল্প ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিলাম।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলে আমার হাতে তৈরি ডালের বড়া দিয়ে মোচা চিংড়ি।
উপকারিতা:-
কলার মোচা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ হওয়ায় দেহ গঠনের কাজে সাহায্য করে।
মোচায় লৌহ থাকায় এটি খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
মোচার মধ্যে যেই পরিমাণে আঁশ পাওয়া যায় তাতে সহজে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
চিংড়ি মাছে হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
চিংড়ি মাছ খেলে হাড়ের ক্ষয় রোধ হওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়।
চিংড়ি মাছ মানুষের শরীরের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা পূরন করে।পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
আজ এখানেই শেষ করলাম। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পুজো খুব ভালো করে কাটাবেন। শুভ রাত্রি।
@swetab97 ডালের বড়া দিয়ে মোঁচা কখন খাইনি।আমার কাছে পদ্ধতিটা একদম নতুন। আমিও বাড়িতে এই রকম ভাবে রান্না করবো। ধন্যবাদ আপনার মাকে এত সুন্দর একটা রান্নার পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেবার জন্য।
@piudey দিদি একদিন এই ভাবে ডালের বড়া দিয়ে মোচা রান্না করে খাবেন, আশা করছি ভালো লাগবে। সত্যি মায়ের জন্যই সব শিখতে পারা। ভালো থাকবেন।
এই প্রথমবার আমি দেখছি মুসুড়ির ডালের বড়া মোচাতেও দিয়ে রান্না করা যায়, পদটি বেশ অন্যরকম লাগলো।
ধন্যবাদ @pulook স্যার আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
তোমার রান্নাটি, মানে তোমার মায়ের রান্নাটি লেখার সময়, দুটো জিনিস বুঝলাম না!
এখানে দেখছি, ডালের মিশ্রণে কালো জিরে দেখা যাচ্ছে যেটি উপকরণে উল্লেখ নেই, এরপর কখন চিংড়ি মাছ দিতে হবে মোচায়;
আমার কাছে সেটাও ঠিক স্পষ্ট হয় নি। আমার লেখা রান্নার পদ্ধতি দেখবে তাহলে না তো শব্দের অভাব হবে,
না এটা বুঝতে অসুবিধা হবে রেসিপি কিভাবে লিখতে হয়।
দুঃখিত @sduttaskitchen ম্যাম আমি ওটা ঠিক খেয়াল করিনি। আপনার কমেন্ট পড়ার পর আমি ভুলটা শুধরে নিয়েছি ম্যাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য 🙏। ভালো থাকবেন ম্যাম।