মায়ের হাতর রান্না 🥰
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আজকের দিনটাও খুব ভালো কেটেছে।
আমি বরাবর আপনাদের সাথে আমার বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়, আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে লেখা পোস্ট ভাগ করে নিয়েছি। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার মায়ের হাতের রান্না।
প্রত্যেকের কাছে তার মায়ের রান্নাই সবথেকে প্রিয়। আমার কাছেও তাই। এমনকি আমার দিদি @sampabiswas আমার মায়ের হাতের রান্না খুব ভালো খায়। আমার পিসি (দিদির মা) মারা যাওয়ার পর থেকেই ও বেশির ভাগ সময় আমাদের বাড়িতে থাকতো। তাই আমার মায়ের উপর ওর আর ওর উপরে আমার মায়ের অন্যরকম মায়া জন্মে গেছে।
দিদি ভালো খায় এমন কোনো পদ রান্না করলেই মা বলে-ইস্ সোনা এটা কত ভালো খায়। ও যদি একটু আসতো ভালো হতো। কখনো কখনো তো আমাকে দিয়ে টিফিন কারিতে করে দিদি বাড়িতে পাঠিয়েও দেয়। আর দিদিও ঔ খাবার কতো আনন্দ করে খায়। ও বলে, আমার আমার মায়ের হাতের রান্নায় ও ওর মায়ের হাতের ছোঁয়া অনুভব করে।
আজকে আমার মায়ের হাতের ডিম কারী রান্না আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমি ডিমের ঝোলের থেকে শুধু পেঁয়াজ দিয়ে কারী খেতে বেশি পছন্দ করি। মা আবার উল্টো। আজকেও মা বললো দিদির কথা- সোনাও আমার মতো আলু দিয়ে ডিমের ঝোল ভালো খায়।
যাইহোক,মা কিভাবে ডিম কারী রান্না করে আপনাদের বলি
উপকরণ:-
১. ডিম- আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন।
২. পেঁয়াজ-৩-৪ টি মাঝারি সাইজের।
৩. আদা-ছোটো এক টুকরো।
৪. রসুন-৭-৮ কোয়া
৫ কাচাঁ লংকা- স্বাদ অনুসারে
৬. টমেটো-পরিমান মতো।
৭. কাচাঁ জিরা- পরিমাণ মতো।
৮. লবন ও হলুদ- পরিমাণ মতো।
৯. সর্ষের তেল- পরিমাণ মতো।
১০.গরম মশলা- অল্প পরিমাণ।
প্রনালী:-
মা প্রথমে ডিম গুলো সেদ্ধ করে খোসা ছড়িয়ে নিলো।
তারপর পেঁয়াজ ও টমটো কুচিয়ে নিলো।
আদা, কাচাঁ লংকা ও কাচাঁ জিরা একসাথে বেটে নিলো।
তারপর কড়াই গরম করে তাতে অল্প পরিমাণে সর্ষের তেল দিয়ে তার মধ্যে অল্প লবন ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে রাখা ডিমগুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিয়ে তুলে রাখলো।
এরপরে ঔ তেলের মধ্যে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে ভালো করে ভেজে নিলো।
তারপরে, বেটে রাখা মশলার সাথে পরিমাণ মতো হলুদ গুড়ো দিয়ে ঔ ভাজা পেঁয়াজের মধ্যে দিয়ে দিলো। আর মশলা যাতে পুড়ে না যায় তারজন্য মা অল্প একটু জল দিয়ে দিলো।
মশলা গুলো ভালোভাবে কষা হয়ে গেলে, ওর মধ্যে অল্প পরিমাণে জল দিয়ে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে দিলো।
তারপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিলো, যাতে মশলা গুলো ভালো ভাবে ডিমের গায়ে লাগে।
জল শুকিয়ে এলে অল্প একটু গরম মশলা গুড়ো দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ডিম কারী/ডিম কষা।
এইভাবেই মা আমার জন্য ডিম কারী রান্না করলো।
উপকারিতা:-
আমরা সকলেই জানি ডিম আমাদের শরীরের জন্য ভীষন উপকারী। কারণ ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, ফ্যাট আছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ডিম খুবই পুষ্টিকর। এটি শিশুর দৈহিক বিকাশে ভীষন উপকারী।ডিমে থাকা ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হাড়ের জন্য উপকারী আর ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারী। তাই প্রতি দিনের খাবারের মধ্যে ডিম থাকার অভ্যাস খুবই ভালো।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Congratulations!
Your quality content qualifies the TEAM 5 guidelines.
Your post is upvoted using the @steemcurator08 account by @frafiomatale. Continue making quality content for more support.
অসংখ্য ধন্যবাদ @steemcurator08 ও @frafiomatale আমার লেখা পোস্টকে সাপোর্ট করার জন্য 🙏.
লোভ সামলানো সত্যি দায়, বিশেষ করে কোনো রান্নার সাথে যখন মায়ের নাম যোগ করা থাকে, সব সন্তানদের কাছেই মায়ের হাতের রান্না শ্রেষ্ঠ।
@sduttaskitchen ম্যাম আমার মায়ের হাতের রান্না নিশ্চয়ই আপনাকে একদিন খাওয়াবো। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আমি ভীষন খুশি হয়েছি আপনার লেখাটি সন্মানিত হবার জন্য। ভালো থাকবেন।