আসাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে

(আসার সময় একটি নদীর দৃশ্য)

প্রিয়,
বন্ধুরা,

আশা করছি আপনারা প্রত্যেকেই ভালো আছেন, এবং সুস্থ আছেন, আজকে আপনাদের দিনটা ভালোই কাটিয়েছেন।

০২.১২.২০২২ তারিখ আমাদের আসাম থেকে বাড়ি ফেরার দিন ছিল। এবং আমাদের ট্রেনের সময় হল দুপুর ৩.২৫ নাগাদ।আর ট্রেন ছিল নিউ বঙ্গেগাঁও থেকে,আর নিউ বঙ্গেগাঁও থেকে একটা স্টেশ আগে বালুগাঁও, যেখানে দিপা কাকির বাপের বাড়ি ও কাকির ছোটো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে গিয়েছিলাম।

(আমি আর দিদি)

যথারীতি সকাল সকাল ঘুম ভেঙে যায়, কারন একটা চিন্তা থাকে, যে কখন উঠবো, সব ঠিক করে নিতে পারবো তো আর কোনো অসুবিধা হবে না তো। যাইহোক সবার আগে ঘুম ভেঙে যায়।এরপর ঘুম থেকে উঠে যা যা জিনিস পএ বাকি ছিল গোছাতে সে গুলো একে একে গোছাতে শুরু করলাম।

এরপর জামাকাপড় গোছানো শেষ করে, মা দেখলাম আমার আর দিদির জন্য ভাত আলু সিদ্ধ দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে এসছে। তারপর দিদি হাত দিয়ে খেতে শুরু করলো আর মা আমাকে খায়িয়ে দিল।

তারপর খেতে খেতে কিছু জামাকাপড় গুছিয়ে সোজা স্নান করতে তলে গেলাম। একে একে আমরা সকলেই স্নান করে নিলাম। স্নান করে রেড়ি হয়ে হালকা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।এরপর সবাইকে বলে বেড়িয়ে পড়লাম।

(নিউ বঙ্গেগাঁও যাওয়ার সময় রাস্তার পাশ দিয়ে পাহাড়ের দেখা পাওয়া)

আমাদের কাকির ছোটো ভাই দীপেন্দু মামা চারচাকা গাড়িতে করে নিউ বঙ্গেগাঁও স্টেশনে ছাড়তে গেলো। আমরা সকলেই উঠে পড়লাম গাড়িতে।স্টেশনে যাওয়ার সময় চারিদিকে খুব সুন্দর পাহড় আরও কতো সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম।

তারপর আমরা স্টেশনে পৌঁছে গেলাম, যাওয়ার পরে পরেই স্টেশনে ট্রেন চলে আসে।এরপর উঠে পড়লাম সবাই কিন্তু দিদির সিট আমাদের থেকে আলাদা তাই পরে কথা বলে শেষ পর্যন্ত ঠিক হল বাবা যাবে ওই সিটে রাতে ঘুমানোর জন্য।

(রাতের অন্ধকারে পাহাড়ের সুন্দর্য)

ট্রেনের উঠে পড়লাম সব ব্যগপএ রেখে দিলাম। অবশেষে একদম সঠিক টাইমে ট্রেন ছেড়ে দিল। এরপর আমি আমার সিটে এসে বসলাম। তারপর উঠে দেখি ফোনে কোনো রকম কোনো নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট কাজ করছে না। তাই একটু ঘুমিয়ে নিলাম।

এরপর রাতের খাবারের জন্য মালদাহ স্টেশনে থেকে নেমে আমি আর দিদি কিছু খাবার কিনে আনলাম। আর বাবাকে কিছু খাবার দিয়ে আসলাম। কারন বাবা দিদির সিটেচলে গেছে আগে থেকেই।

তারপর খাওয়া দাওয়া করে এক ঘুম দিয়ে হাওড়া স্টেশন। এরপর বাবা ডেকে দিল যে উঠে পর চলে এসছে হাওড়া স্টেশন। তারপর ট্রেন থেকে নেমে সোজা হাওড়া স্টেশনের বাইরে এসে ট্যাক্সি ভাড়া করে নিলাম।

এরপর ট্যাক্সি করে শিয়ালদহ স্টেশন চলে আসলাম। স্টেশনে ঢুকতেই দেখি ৭.১২ বনগাঁও লোকাল দাড়িয়ে আছে বাবাকে বললাম টিকিটটা কেটে নিয়ে আসো, আর আমি জায়গা খুঁজে ব্যাগ গুলো ঠিক করে গুছিয়ে ফেলি।এর সাথে একটা জিনিস হলো দিদি আমাদের সাথে বনগাঁও লোকালে যাবে না। কারন ও দওপুকুর লোকালে গেলে সুবিধা হয়।

(সকালের হাওড়া ব্রিজ)

তারপর আমি আমি মা গল্প করতে করতে চলেই আসলাম হাবড়া।বাবা ছিল জেনারেলে তাই আমাদের মধ্যে তেম ভাবে আসার গল্প হয়ে উঠে নি। যাইহোক বেশ ভালো ভাবেই আমার বাড়িত পৌঁছে গেলাম।

আদ এখানেই ইতি টানলাম। আমাদের আসাম থেকে বাড়িতে আসার কথা আপনাদের কেমন লাগলো আমাকে অবশ্যই জানাবেন।

আপনারা সকলেই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।