নবমীর রাতে প্রতিমা দর্শন
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশা করছি আপনার প্রত্যেকে খুব ভালো আছেন। আপনাদের সকলকে জানাই শুভ বিজয়া দশমীর অনেক শুভেচ্ছা। আশাকরি আপনারা সকলে আত্মীয় পরিজনদের সাথে নিয়ে পুজো খুব ভালো কাটিয়েছেন।
আমার লেখার শুরুতেই জানাই আমি বিগত চার দিন ধরে আপনাদের সাথে আমার লেখা কোনো পোস্ট শেয়ার করতে পারিনি। তারজন্য কখনো রকম অজুহাত আমি দেখাবো না। শুধু এটুকু বলবো আমার এইরকম কাজের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।আগামী দিনে এইরকম কোনো ভুল না করার প্রানপন চেষ্টা আমি করবো।
যাইহোক, আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি দশমীর রাতে ঘুরতে বেরোনোর কথা। বাকি দিনগুলোতে পার্লরের কাজে ব্যস্ত থাকায় সেভাবে ঘোরা হয়নি। তাই নবমীতে আমি আর আমার বান্ধবী সোমা বেড়িয়ে পড়লাম।
আপনারা যেমন জানেন যে, আমি আর আমার বান্ধবী এক সাথেই সব জায়গায় ঘুরতে যাই তেমন পূজোতেও তাই সবজায়গায় এক সাথে যাওয়া। তবে আজ সকলের জন্য মন খারাপের দিন। পূজো পূজো করতে করতে পূজো শেষ হয়ে গেলো। যখন পূজো আসতে একমাস বাকি থাকে সকলেই তখন থেকেই দিন গোনা শুরু করে কিন্তু দেখুন পূজো দেখতে দেখতে কেটে গেলো। যদিও এখনো লক্ষ্মী পূজো এবং কালী পূজো বাকি আছে। কিন্তু যতোই অন্যান্য পূজো বাকি থাক বাঙালির শ্রেষ্ঠ পূজো কিন্তু দূর্গাপুজো।
বিজয়া দশমী মায়ের ঘরে ফিরে যাওয়ার দিন, এই চারদিন মা অনেক আনন্দ করে নিজের বাপের বাড়িতে। কিন্তু সময় আসলে মাকেও ফিরতে হয় শশুর বাড়িতে। তাই আমাদের জন্য বিজয়া দশমী মানেই মাকে বিদায় জানানোর পালা।
কাল আমার অনেক অনেক জায়গায় ঘুরেছি, মজা করেছি। আমি আর সোমা প্রথমে আমাদের পাড়ার পূজোটা দেখতে যাই। তারপর আশেপাশে পূজোর প্যান্ডেল দেখতে গেলাম। আমাদের পাড়ার মন্ডপ দেখার পর প্রথমে আমরা গেলাম, আমাদের বাড়ির পাশে একটি জায়গায় বিখ্যাত কেদারনাথ মন্দির বানানো হয়েছে সেখানে। কি সুন্দর বানিয়েছে প্যান্ডেলটা।
এতটাই সুন্দর যে সামনে থেকে দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনারা সকলেই ছবিটি দেখলে কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এতটাই ভীর ছিল যে ভেতরে ঢোকার সুযোগ পাইনি। এরপর একটি রাস্তায় তিনটি পূজো হয়, সেগুলো প্রত্যেকটি দেখলাম।দুজনে মিলে ছবি তুললাম।
তবে বিশেষ কিছু খাওয়ার দাওয়া করিনি বললেই চলে। কারন এই সময় বাইরের কিছুই আমরা খাই না। কাল অনেক মজা করার মধ্যেও আমি ভীষন মিস করছিলাম বিশালকে।কারন অনেক বছর হয়ে গেছে একসাথে পূজো দেখিনা লাস্ট একসাথে পূজো ছিল ২০১৮ তে। তারপর আর পুজো একসাথে কাটানো হয়নি। তবে আশা করছি সামনের বছর একসাথে পূজো কাটাবো।
সত্যি দেখতে দেখতে পুজো কেটে গেলো। আবার এক বছরের অপেক্ষা। আগামী পুজো গুলোও খুব ভালো কাটুক আপনাদের।
সকলে খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।
বাবা তুমি দেখছি প্রচুর ঘুরেছো পুজোতে, সেই জন্যই ভাবছিলাম লেখা পাচ্ছি না কেনো, কালো জামাতে বেশ মানিয়েছে তোমাকে।
@baishakhi88 দিদি শুভ বিজয়া, না একদম ঘুরতে পারি নি। একদিনেই বাড়ির আশেপাশে ঘুরেছি। আমার বাড়ির কাছে কটা পূজো মন্ডপ গুলিতে গেছি।ভালো থাকবেন।
প্রতিটি প্যান্ডেল খুব সুন্দর, আপনার প্যান্ডেল সংখ্যা দেখে মনে হচ্ছে না যে, আপনি একদিনের জন্য পুজোতে বাড়িতে ছিলেন। ভালো আনন্দ করে কাটান, এই সময়টা খুব মূল্যবান।
@pulook স্যার শুভ বিজয়া, আমার পাড়ার একটি পূজো মন্ডপ ছিল। আর আমার বাড়ির কাছেই এক রাস্তাতে তিনটি পূজো হয় পর পর তাই আর বেশি দুর যেতে হয় নি। ভালো থাকবেন।
পুজোয় কতটা ঘুরেছ তার প্রমাণ তোমার ছবিতেই পাওয়া যাচ্ছে। আশাকরি এইবার একটু কাজে মন দেবে, তোমার দিদির পোস্ট টপ পোস্টে সিলেক্ট হয়েছে, ভালো কাজ করলে উন্নতি করা যায়।