আজ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান
প্রিয়,
বন্ধুরা,
আশাকরি আপনার সকলেই খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আর আজকের দিনটা সুখময় কাটিয়েছেন।
গতকাল আমারা আসাম এসে পৌঁছেছি, সেটা তো আপনারা সকলেই জানেন।কাকির ভাইয়ের আজ বিয়ে। আজকে সকালে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান।
সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে আয়োজন। আমি ও সকাল বেলায় ৮টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে গেছি।তারপর সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিয়েছি।কেন জানি না কোনো নতুন জায়গায় আসলে আমার ঠিক করে ঘুম হয় না। একটু অসুবিধা হয়।আমার আবার একটু ঠান্ডা লাগার অসুবিধা আছে তাই আমি সকালবেলা স্নান করতে একটু সমস্যা হয়।
কাল রাতে খুব একটা ভালো ঘুম হয় নি বলেই তাড়াতাড়ি উঠে পরেছিলাম সকালে।আজ এমনিতেই সকাল থেকেই অনুষ্ঠান, বিয়ের বাড়ি বলে কথা তাই সকাল থেকে গান বাজছে। তাই ঘুম ভেঙে গেছে।
তারপর ঘুম থেকে উঠে এসে, হাত মুখ ধুয়ে তারপর সকালের খাবার খেয়ে নিয়েছি। এরপর সকাল সকাল স্নান করে নিয়েছি।কারন স্নান না করে কোনো রকম কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগাদান করা যায় না। আপনার তো জানেন বাঙালির অনেক রকম নিয়ম আছে।
সকাল সকাল স্নান করতে একটু অসুবিধা হয় কিন্তু তাও করতে হয়েছে।স্নান করে তারপর রেডি হয়ে নিয়েছি। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সকলেই হলুদ রঙের জামা কাপড় পরছে। এখন অনেক রকমের নতুন নতুন জিনিস মানুষ শিখেছে সময়ের সাথে সাথে। এই যেমন সকলেই হলুদ রঙের জামা পড়বে কেউ আবার হলুদ রঙের শাড়ি।
যাই হোক আমি,মা আর দিদি সবাই হলুদ রঙের জামা কাপড় পড়েছি। এরপর কাকিদের বাড়ির কাছে একটা শিব মন্দির আছে সেখানেই গিয়েছিলাম জল ভোড়তে।কাকি বললো যে শিব মন্দিরটা অনেক পুরনো এবং এখানে সবাই জল ভরতেই আসে বা এখানে ঠাকরটাও অনেক জাগ্রত। এখানের লোকজন অনেক মানে। আর জল ভরতে যাওয়ার সময় সবাই অনেক মজা করেই গেছি।
সকলেই নাচ করতে করতে গিয়েছিল। সকলেই অনেক মজা করছিল।আমি, মা আর দিদি আমারা আমাদের মতো পিছনে হাটতে হাটতে গল্প করতে গিয়েছিলাম।কারন মা খুব একটা জোরে হাটতে পারে না। তাই মায়ের সাথেই ছিলাম।
তারপর শিব মন্দিরে গিয়ে জল ভরা হল। সকলে মিলে অনেক ছবি তুললাম। কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে জায়গাটা একটু ঘুড়ে দেখলাম।এরপর আবারও সকলে মিলে নাচ করতে করতে আসলো আর আমরা পিছনে গল্প করতে করতে।
আজ আমাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো আমাকে জানাবেন।
আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভ রাএি।
অনেকক্ষণ ধরে ভাবছিলাম কোনো মন্তব্য এখানে করবো কিনা? তারপর নিজের কাজের ক্ষতির কথা ভেবে করতে হলো, যাইহোক আনন্দে কাটান আপনার দিনগুলি।
আমি ভেবেছিলাম তোমরা ঘুরতে যাচ্ছ, এখন দেখলাম তোমরা বিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে গিয়েছ। ভালো লাগলো তোমার সদ্য বিবাহিত স্বামীর ছবি আর তার পাশে তোমার গলায় পড়া মালা দেখে তোমার দিদির লেখায়।
অনেক ভালো সময় কাটিয়েছো সকলে ভালো লাগলো দেখে।