আমার বাবা - আমার ছোট্ট বেলার বন্ধু
(আমার বাবা)
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলে খুব ভালো আছেন।
গতকাল আমি আপনাদের সাথে আমার মায়ের আর আমার সম্পর্কের কথা শেয়ার করেছিলাম। তাই আজকে ভাবলাম আমি আপনাদের জানাবো আমার বাবার সাথে আমার দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্কের কথা।
আমাদের সবার জীবনে বাবা হলো বটগাছের মতো। যে গাছের ছায়ায় আমরা সকলে নিশ্চিতে জীবন কাটাতে পারি। বটগাছের মতই বাবা আমাদের পরিবারকে, জীবনের অনেক ঝড় ঝাপটা থেকে আগলে রাখেন। সকলের মতো আমার ও আমার মায়ের জীবনে, বাবা আমাদের বটগাছ। সব রকম প্রতিকূলতা থেকে আমাদের রক্ষা করেন তিনি।
সত্যি বলতে এমন অনেক বাচ্চা দেখেছি যারা ছোটো থেকে বাবাকে খুব ভয় পায়। তবে আমি কোনোদিন আমার বাবাকে ভয় পাইনি। ছোটো বেলায় মা যতটা রাগি ছিলো, বাবা ঠিক ততটাই বন্ধু ছিলো। মায়ের কাছে বকা শোনা, মার খাওয়া থেকে বাবা যে আমাকে কতবার বাচিয়েছে তা গুনে শেষ করা যাবে না।
আমার বাবার নাম শৈলেন বিশ্বাস। তিনি সামান্য কাঠের কাজ করেন। কিন্তু বাবা হিসাবে দায়িত্ব পালনে এখনো পর্যন্ত তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। আমার ঠাকুরদা বাবা যখন অনেক ছোটো, তখন মারা গেছেন। তাই আমার বাবা কোনোদিন সেই ভাবে নিজের বাবার আদর পায়নি। সেই কারণে সে বাবা হয়ে নিজের সন্তানকে অনেক অনেক আদর করে।
ছোটো বেলা থেকে এখনও পর্যন্ত আমার সব ছোটো আবদার আমি বাবার কাছেই করি। বড় হতে হতে বুঝেছি আমার বাবা কত কষ্ট করেছেন, ছোটো থেকে আমাদের একটু ভালো রাখার জন্য। বাবা এখনও কষ্ট করেন। কারন তার মাথায় এখন একটাই চিন্তা আমাকে বিয়ে দিতে হবে। আমি বাবাকে বুঝিয়ে বলেছি আমি একটা চাকরি পেয়ে তবেই বিয়ে করবো। কিন্তু সে তো বাবা, তার চিন্তা হবে এটাই স্বাভাবিক।
(বাবার সাথে আমি)
আমার বাবার একটাই সমস্যা, হঠাৎ করেই সে রেগে যায়, চিৎকার করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আমার মা খুবই শান্ত। তাই যখনই মা ঠান্ডা মাথায় উত্তর দেয়,আমার বাবার রাগও কমে যায়। দুজনে বাচ্চাদের মতো এই ঝগড়া করলো, তো এই মিল হয়ে গেলো।
কখনো কখনো আমার মনে হয়, আমি বড় হচ্ছি, আর বাবা ও মা ছোটো হচ্ছে। কিন্তু এটাই আমার বাবা। আমি আমার বাবার মতো হয়েছি। সবসময় হাসতে, অন্যকে হাসাতে, সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে, সবার সাথে গল্প করতে আমার ভালো লাগে। আমার মা আবার বেশ চুপচাপ থাকে।
মা বরাবর একটু শান্ত স্বভাবের।
ছোটো বেলায় মা কে ভয় পেলেও এখন মা বন্ধু হয়ে গেছে আর বাবা তো ছোটো বেলা থেকেই বন্ধু ছিলো। তাই বলতে পারেন আমাদের সংসারে আর্থিক অনটন থাকলেও, ভালোবাসার কোনো অভাব নেই। কষ্টের মাঝেও কি ভাবে হাসতে হয়,এটা আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি।
সবশেষে একটাই কথা ঠাকুরকে বলতে চাই, তুমি আমার বাবা ও মা কে সুস্থ রেখো। আর আমাকে এইটুকু সামর্থ্য দিও,আমি যেন ওনাদের শেষজীবনে ভালোভাবে রাখতে পারি। আজকে এখানেই শেষ করলাম। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
*To every child, their father is like a shadow overhead. Our fathers love us no less than our mothers, but fathers' love remains unexpressed most of the time.
We would like to appreciate your presence and activities towards the community. Our community also like to inspire you to participate in the engagement by visiting others post and make insightful comments .
Regards
@sampabiswas(Moderator)
Incredible India
আমি নিজেও এক কন্যা সন্তানের পিতা, কাজেই আপনার লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো, মেয়েরা সবসময় প্রাধান্য পায়, যেটা পাওয়া উচিত কিন্তু একটি সন্তানের বড় হবার পিছনে পিতার অবদান নেহাত কম নয়।
আপনি ঠিক বলেছেন @pulookস্যার। আমাদের বড়ো হয়ে ওঠার পিছনে বাবার ভূমিকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।