আমার হাতে তৈরী কাঁচ কলা দিয়ে রুই মাছের ঝোল
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনার প্রত্যেকে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন আর আজকের দিনটা নিশ্চই খুব ভালো কাটিয়েছেন।
আজ শুভ মহালয়া।তাই আমি শুরুতেই সকলকে মহালয়ার অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি আপনাদের সাথে কাল আমার মায়ের হাতের ডিম কারি রান্না শেয়ার করেছিলাম। আজ আর মায়ের হাতের নয়, আমার নিজের হাতের রান্না শেয়ার করতে চলেছি।
রান্না করতে আমার ভালোই লাগে। তবে সেটা সবসময় নয়। কোনো কোনো দিন মা আমায় রান্না করতে বললেও আমি করিনা। আবার কোনো কোনো দিন বারন করলেও আমি রান্না করি। সবটা আমার মুডের উপর নির্ভর করে।
আজকে অবশ্য আমি মায়ের কথা শুনে রান্না করছি। কারন আজকে মহালয়া। তাই সকাল থেকে মা একটু ব্যস্ত ছিলো। প্রতি বছরের মতো মা ঘুম থেকে উঠে সকালের কাজ গুছিয়ে, স্নান করে ,আমার মামাবাড়িতে গেছে। ওখানে একটা মন্দির আছে ওখানে যাবে।
তাই ভাবলাম আজকে দুপুরের জন্য আমিই মাছের ঝোল রান্না করি। যদিও আমি নিজের হাতের রান্না করে শেয়ার করেছি এটা আমার দিদি (@sampabiswas) দেখলেই বলবে আমাকেও তো একদিন খাওয়াতে পারিস। যদিও ও রুইমাছ খায় না।
যাইহোক,আমি কিভাবে কাঁচ কলা দিয়ে রুই মাছের ঝোল রান্না করলাম আপনাদের বলি।
উপকরণ:-
১. রুই মাছ- আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন।
২. কাঁচ কলা-আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে নেবেন।
৩. আদা-ছোটো এক টুকরো।
৪. গোটা জিরে-এক চা চামচ।
৫.গোটা ধনে-এক চা চামচ।
৬.শুকনো লংকা- স্বাদ অনুসারে
৭. টমেটো-পরিমান মতো।
৮. চিনি- পরিমাণ মতো।
৯. লবন ও হলুদ- পরিমাণ মতো।
১০. সর্ষের তেল- পরিমাণ মতো।
১১.ধনে পাতা- অল্প পরিমাণ।
প্রনালী:-
প্রথমে মাছ গুলো ছোটো ছোটো করে কেটে ধুয়ে নুন হলুদ মেখে রাখলাম।
তারপর মশলা গুলো মিক্সিতে বেটে নিলাম। শীলনোড়া আমি খুব একটা ব্যবহার করি না। ওটা মা করে। এরপরে ঔ মিশ্রনে আমি পরিমাণ মতো লবন ও হলুদ দিয়ে নিলাম।
তারপর কড়াই গরম করে, তাতে পরিমাণ মতো সর্ষের তেল দিয়ে মাছগুলো একটা একটা করে ভেজে নিলাম।
তারপর ওই তেলের মধ্যে জিরা তেজ পাতা ফোরোন দিয়ে কাঁচকলা ভেজে নিয়ে তাতে মশলা দিয়ে কশিয়ে নিলাম।
তার পর পরিমাণ মতো উষ্ণ গরম জল দিয়ে দিলাম।ঝোলটা ফুটে উঠেছে তখনই ভেজে রাখা মাছগুলো একটা একট করে দিয়ে দিলাম।
তারপর নামিয়ে উপর থেকে ধনেপাতা কুচিয়ে দিয়ে দিলাম।
এই ভাবে আমি কাঁচ কলা দিয়ে রুই মাছের ঝোল রান্না করলাম। মা কে এইভাবেই রান্না করতে দেখেছি, তাই এই ভাবেই করলাম। রান্নাটা মোটামুটি ভালোই হয়েছে।
পরের বার আমার দিদি এলে ওকে কিছু রান্না করে খাওয়াতে হবে।
উপকারিতা:-
আমরা জানি মাছ আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। রুই মাছ রোজ খেলে চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এই মাছে থাকা ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের বহু সমস্যাকে প্রতিহত করে। যাঁরা হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, তাঁরা রোজ এই মাছ খেলে সমস্যা কমতে পারে। এর মধ্যে কিছু উপাদান আছে যেগুলো হাড়ের সংযোগস্থল নমনীয় করে তোলে। আর কাঁচ কলা হল পটাশিয়ামের ভান্ডার, যা শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় তাই নয়, সারাদিন শরীরকে সক্রিয় রাখে। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি কোষের পুষ্টি জোগাতে কাজ করে। কাঁচ কলায় স্বাস্থ্যকর স্টার্চের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও রয়েছে। তাই প্রতিদিন মাছ খাওয়া খুব শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
এই ভাবে আমায় নিশ্চই আমার স্ত্রী কে রান্না করতে বলবো, কারণ এমনিতে কেউ খুব একটা কাঁচা কলা খেতে চায় না, জানিনা মাছের সাথে রান্না করলে নিশ্চই আমার মেয়ে খাবে বলে বিশ্বাস।
রান্নাটা আমি শুনেছি এবং সম্ভবত তোমার দিদির বাড়িতে গিয়ে খেয়েছি, আমার বেশি ভালো লাগে কলা পাতায় মাছের পাতুরি।
@sduttaskitchen ম্যাম একদিন আমাদের বাড়ি আসবেন আমি আপনাকে কলা পাতায় মাছের পাতুরি বানিয়ে খাওয়াবো। ভালো থাকবেন।