পাড়ার কার্তিক পুজো
নমস্কার বন্ধুরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে আমি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আমার বাড়ির কার্তিক পুজোর গল্প শেয়ার করেছিলাম। আজকে শেয়ার করব আমাদের পাড়ার কার্তিক পুজোর গল্প। গত শনিবার অর্থাৎ কার্তিক মাসের ৩০ তারিখে কার্তিক পুজো ছিল ।প্রতিবছর একই দিনে কার্তিক পুজো হয়। কার্তিক পুজোতে আমাদের কৃষ্ণনগরে কোন ধুম হয় না। তবে পাড়া ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ছোট ছোট কার্তিক পুজো করে। একদমই ধুম হয় না এ কথা বললে ভুল হবে। তবে অন্যান্য পূজার মতো অতটাও গুরুত্ব দিয়ে করা হয় না। তবে কাটোয়াতে খুব ভালোভাবে অনেক বড় বড় কার্তিক পূজা করা হয়। এর সাথে সাথে কার্তিক লড়াই হয়। কখনো সেভাবে কাছ থেকে চোখে দেখিনি তবে শুনেছি।
আমি কৃষ্ণনগরে এত বছর এসেছি কিন্তু যে পাড়াতে থাকি সেই পাড়াতে কোনদিনই কার্তিক পুজো হতে দেখিনি। বারোয়ারিতে সব রকম পুজোয় করা হয়। কিন্তু এই বছর প্রথম দেখলাম কার্তিক পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। যেদিন ঠাকুর নিয়ে যাওয়া হয় সেই দিন আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে ঠাকুর নিয়ে যাচ্ছিল। বারোয়ারি বেশিরভাগ কাজকর্মই আমার মামা অর্থাৎ মামাশ্বশুরা করেন। বাড়ির সামনে দিয়ে যখন ঠাকুর নিয়ে যাচ্ছিল ।তখন মামাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথাকার ঠাকুর ।তখন মামা বললো আমাদের বারোয়ারীর ঠাকুর। মামাকে তখন জিজ্ঞেস করতেই মামা বলল এই বছর প্রথম আমরা কার্তিক পূজা করছি।
আসলে পাশে কোন এক জায়গাতে কার্তিক পুজো করত ।সেখানে সমস্যা হওয়ার কারণে বেশ কয়েক বছর পূজা বন্ধ ছিল। আবার এই বছর প্রথম শুরু করল। সমস্ত রকম আয়োজন করে বেশ ধুমধাম সহকারে কার্তিক পুজোর আয়োজন করেছিল। এই পুজোর পরের দিন আবার পাড়ার সকল মানুষকে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। আমি অবশ্য সেখানে খানিকক্ষণ অংশগ্রহণ করেছিলাম। সকলে মিলে যখন কিছু রান্না করছিল আমিও একটু হেল্প করছিলাম। এইসব কাজ করতে আমার বেশ ভালই লাগে। সময় সুযোগ পেলে আমি পুজোর সব কাজে অংশগ্রহণ করতে লেগে পড়ি।
পাড়ার সকলকেই নিমন্তন্ন করা হয়েছিল। সকলেই বেশ আনন্দ সহকারে খিচুড়ি খেতে এসেছিল। অল্প কয়েকজন সদস্য মিলে এইসব আয়োজন করেছিল। করার কোন পুজো হলে সবাই একসঙ্গে হয়ে আনন্দ করে এটা দেখে বেশ ভালই লাগে। আমাদের পাড়াতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পুজো করে খুবই আনন্দ উপভোগ করছিল। পরের দিন ছিল বিসর্জন। এবছরের ঠাকুরটাও বেশ বড়ই হয়েছিল। তবে এই বছরের খুব ইচ্ছে ছিল আমাদের কার্তিক পুজো দেখতে যাওয়ার। কোনদিন সেভাবে কার্তিক লড়াই দেখা হয়ে ওঠেনি। কার্তিক লড়াই নাকি দেখতে খুব ভালো লাগে। তাই ঠিক করেছিলাম আমরা দুজনে মিলে কার্তিক লড়াই দেখতে যাব।
কিন্তু বাড়িতে অসুবিধা থাকার কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। পাড়ার পুজোতেও সেভাবে আনন্দ করা হয়নি। কারণ একটা সপ্তাহ পুরো জগদ্ধাত্রী পুজোতেই কেটে গেছে। আবার বাড়িতেও পুজো ছিল। তাই পুজোর দিন সেভাবে পাড়ার পুজোতে অংশগ্রহণ করা হয়ে ওঠেনি।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Congratulations!!!
your post has been supported. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.
Curated By : @wirngo