বরশি দিয়ে পুটি মাছ ধরার কিছু সুন্দর মুহূর্ত।
আমাদের বাংলাদেশে পুটি মাছ সকলেই চেনে। এই মাছের আরো অন্য নাম থাকতে পারে। এটি একটি ছোট, সুস্বাদু মাছ। আমাদের সকলের কাছে এই মাছটি খুবই পছন্দের নাও হতে পারে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এই মাছ। পুটি মাছের দেহ সাধারণত চ্যাপ্টা এবং গোলাকার, আকৃতির হয়ে থাকে। সাধারণত দেখা যায় এই মাছগুলো ছোট ছোট পুকুরে আটকা পড়ে যায়। যেখানে আর দ্বিতীয় বার বন্যা হয় না ঐসব পুকুরে এই মাছগুলো আটকা পড়ে যায় এবং সেখান থেকে আমরা বরশি দিয়ে এই মাছগুলো ধরি।
পুটি মাছের পিঠের রঙ গাঢ় সবুজ বা বাদামী হয়ে থাকে, পেটের অংশ সাদা। কিছু কিছু মাছের দেখা যায় পিঠের অংশে লাল আবার কিছু কিছু মাছের দেখা যায় পিঠের অংশে সাদা। এদের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে রঙের ভিন্নতা দেখা যায়।তবে এই পুটি মাছের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। আমার দেখা দুই থেকে তিন প্রজাতির পুঁটি আমি দেখেছি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির গুটি মাছ পাওয়া যায় বাংলাদেশে।
পুটিমাছ সাধারণত শান্ত নদী বা পুকুরের পানি বাস করে।তবে মাছগুলো পুকুরে বেশি লালন পালন করা হয় না। সাধারণত বদ্ধ পানিতে এই মাছগুলো বেশি দেখা যায়। মাছের প্রধান খাদ্য হিসেবে জলজ পাতা, ক্ষুদ্র জিনিসপত্র এবং ছোট শর্করা খায়। ছাড়ো পুটি মাছ বিভিন্ন প্রকারের খাবার খেয়ে থাকে। তবে আমরা পুটি মাছ কিভাবে ধরেছি শুনবেন! আমরা প্রথমে ময়দা পানি দিয়ে ভিজিয়ে সুন্দরভাবে গোলাকৃত খাবার তৈরি করেছে। সেই খাবার বরশির মাথায় অল্প করে দিয়েছি। এই খাবার খাওয়ার সাথে সাথে মাছগুলো বরশিতে আটকা পড়ে যায়।
পুটি মাছ বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। পুটিমাছের স্বাদ খুবই জনপ্রিয়, এবং এটি সাধারণত ভাজা বা ঝোল করে রান্না করা হয়।তবে এই খাবারগুলো আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর জনপ্রিয়। কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে পুটি মাছ ভাজি। আমি এই মাছগুলো সাজানো মত ভেজে রান্না করতে বলি আমাদের বাড়িতে।
এ-ই মাছ ধরার আরো বিভিন্ন কৌশল আছে যেগুলো আমরা অবলম্বন করে এই মাছ ধরতে পারি। নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে পারি। বিশেষ করে নদী বা পুকুরে বেশি কার্যকর। টানা জালের মাধ্যমে আমরা এই মাছ ধরতে পারি। আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে বরশি দিয়ে পুটি মাছ ধরা। কোন ঝামেলা নেই শুধু বরশি ফেলো আর মাছ তোলো। যখন বড়শিতে মাছ ধরে তখন আমাদের খুবই ভালো লাগে।
পুটি মাছ ধরার আরো একটি বিশেষ কৌশল রয়েছে সেটা হচ্ছে আলোর ব্যবহার করে। রাতের বেলা আলোর মাধ্যমে পুটি মাছ ধরা যায়।আপনাদের কাছে হয়তোবা এই কৌশলটি একটু অন্যরকম লাগবে। আজকের মত এই পর্যন্তই। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ।
কয়েকদিন ধরে দেখছি ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বরশি দিয়ে পুটি মাছ ধরছে, আমরাও ছোটবেলায় অনেক মাছ ধরেছি, এখনো বরশি দিয়ে মাছ ধরার ইচ্ছা করে, কিন্তু সময় হয়ে ওঠে না, আপনি বরশি দিয়ে পুটি মাছ ধরার খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন, পুটি মাছের ছবিগুলো অনেক বেশী সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ছোট ছেলেদের সাথে আমিও মাছ ধারায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। খুবই ভালো লাগে মাছ গুলো ধরতে।
এখন বর্ষার সময় চারিদিকে পুকুর ডোবা জলে ভর্তি হয়ে থাকে। এই সময় বরশি দিয়ে মাছ ধরতে বেশ ভালই লাগে ।আমাদের এখানেও ছোট ছোট ছেলেরা ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে যায়। পুটি মাছ নিয়ে সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখা সত্যিই খুব মনোমুগ্ধকর ছিল! পুঁটি মাছ ধরার অভিজ্ঞতা ও সুন্দর মুহূর্তগুলো খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। গ্রামীণ পরিবেশে পুঁটি মাছ ধরা যে কতটা আনন্দদায়ক হতে পারে, তা আপনার লেখা থেকেই বোঝা যায়। বিশেষ করে বরশি দিয়ে মাছ ধরার পদ্ধতি এবং আলোর ব্যবহার করে মাছ ধরার কৌশল শেয়ার করা ছিল বেশ আকর্ষণীয়। আপনার আগামি পোস্টগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।