Better Life With Steem | | The Diary Game | | 30 June, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করব। আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যক্রম নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকালকে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি। আমাদের ধানগুলো নিয়ে খুব টেনশনের মাঝে আছি। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম প্রতিদিনের মতোই আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। রোদ উঠার কোন সম্ভাবনা ছিল না।
এদিকে ধানগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। অল্প কিছু ধান হলে তাও এতটা টেনশন হত না, অনেকগুলো ধান ছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যদি এরকম করে আমাদের কিছুই করার নেই। পরে ধানগুলো আমি বাড়ির বারান্দায় মিলিয়ে দিয়েছিলাম। যেন একটু হালকা হাওয়া বাতাস পায়।
এদিকে আমারও ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল। মা সকালের রান্না নিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকে। ধানের কাজগুলো শেষ করে আমি তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। নাস্তা করার ও সময় ছিল না।
আলহামদুলিল্লাহ আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সঠিক সময়ে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি।
গতকালকে সকালবেলা কোন ডাক্তার ছিল না, তাই খুব একটা কাজও ছিল না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে একজন রোগী ব্লাড দেওয়ার জন্য এসেছিল। যদিও রোগীর কোন ডোনার ছিল না। পরে আমাদের ফার্মেসির ভাই ব্লাড দেওয়ার জন্য সম্মতি জানিয়েছিল।
পরে রোগী এবং ডোনারের কাছ থেকে ব্লাড কালেকশন করে Cross Matching কাজ শুরু করেছিলাম। এই Cross Matching এমন একটি জিনিস, খুব সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবেই Cross Matching এর কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
এদিকে ফার্মেসির ভাই ব্লাড ডোনেট করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। পরে ব্লাড ব্যাগে ব্লাড কালেকশন করেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, এভাবে স্বার্থ ছাড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো আসলেই একটি মহৎ কাজ।
রোগীর লোক কয়েকদিন থেকে ব্লাড খোঁজাখুঁজি করেছিল। কিন্তু তারা অনেক চেষ্টার পরেও ব্লাড খুজে পাইনি। তাই আমাদের ফার্মেসীর ভাই নিজের সদিচ্ছায় ব্লাড দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ ব্লাড কালেকশন করার পর রোগীকে ব্লাড ব্যাগ লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এসব কাজ শেষ করতে কখন যে, দুপুর হয়ে গেছে বুঝতেই পারেনি।
সকালবেলা বাসায় নাস্তা করেও আসেনি। অনেক বেশি ক্ষুধা লেগেছিল। তাই বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি দুপুরের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। এর মাঝে একজন রোগী এসেছিল ডাক্তার দেখানোর জন্য। পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ডিউটি ডাক্তার রোগীকে দেখে পেসক্রিপশন করে দিয়েছিল।
প্রেসক্রিপশন দেখে রোগীকে সঠিকভাবে সব ওষুধ বুঝিয়ে দিয়েছি। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফার্মেসিতেই ছিলাম। কারণ ল্যাবে কোন কাজ ছিল না। পরে মোটামুটি রাত ৮:০০টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
বাসায় যাওয়ার পথে আমাদের স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। পরে সবাই মিলে হোটেলে গিয়ে ভাজাপোড়া খেয়েছিলাম। এদিকে আমাদের কমিউনিটির টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিল। তৎক্ষণাৎ বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন করেছিলাম। ক্লাস শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছি।
আসলে স্বার্থ ছাড়া মানুষকে ভালোবাসাটাই উত্তম এই ভাইটি যে ব্লাড ডোনেট করছে সেটা শুনে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে, কারণ আমারও অনেক ইচ্ছা হয় মানুষকে ব্লাড দিতে।
এর কারণে যদি কারো কখনো রক্তের প্রয়োজন হয় তখনই আমি তার কাছে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করি কিন্তু আজ পর্যন্ত এখনো কাউকে ব্লাড ডোনেট করা হয়নি ইনশাল্লাহ অবশ্যই একদিন দেব।
যাইহোক আজকে আপনার পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
কয়েকদিন থেকে রোগীর লোক ব্লাড খোঁজাখুঁজি করেছিল। কিন্তু তারা খোঁজাখুঁজি করার পরেও ব্লাড ম্যানেজ করতে পারিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের ফার্মেসীর ভাই নিজের সদিচ্ছায় ব্লাড ডোনেট করার জন্য আগ্রহী ছিল। আসলে এভাবে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো মহৎ একটি কাজ।
আপনিও ভাই এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিদিনের কাজ আপনার ল্যাবে গিয়ে উপস্থিত হওয়া এবং সেখানকার কাজ সম্পন্ন করা। আসলে ব্লাড সবসময় পাওয়া যায় না। আর আমাদের এক একজনের ব্লাড এর গ্রুপ এক এক রকম যার কারণে অনেক সময় সমস্যা হয়ে যায়। কিন্তু আপনার ল্যাবে থাকা সেই ভাই ওই রোগীকে ব্লাড দিয়েছে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। টিউটোরিয়াল ক্লাসে যুক্ত হতে আপনার অনেক বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। যেটা আমরা দেখতে পেয়েছিলাম ধন্যবাদ ব্যস্ততার মাঝেও আপনার মূল্যবান লেখা, আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।