Better Life With Steem | | The Diary Game | | 29 October, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। বাস্তবতা খুব বড় একটি জিনিস। মানুষ কল্পনাতে যেটা আশা করে বাস্তবে সেটা পায় না। আবার খুব কম সংখ্যক মানুষ সেটা পায়। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
প্রতিদিনের মতো আজকে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। যখন ঘুম থেকে উঠেছি তখন ঘড়িতে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠার কারণ হলো একজন ইমারজেন্সি রোগী এসেছিল। তাড়াতাড়ি ল্যাবে গিয়ে ব্লাড টেস্ট করে সেই রোগীর রিপোর্ট দিয়েছি।
সকালবেলার আবহাওয়া মোটামুটি ঠান্ডা ছিল। ভাবছিলাম সারাদিন হয়তো আবহাওয়া ঠান্ডা থাকবে। কিন্তু না আমার ধারণা ভুল, বেলা বাড়ার সাথে সাথে গরমের তাপমাত্রা ও বাড়তে শুরু করে। অথচ আমাদের উত্তরবঙ্গে মোটামুটি শীতের আভাস পড়ে গেছে। মোটামুটি সকাল ১০টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছি। পরে আমার সহকারীরা আসার পর আমি রুমে চলে এসেছি।
রুমে আসার পর তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। পরে হোটেলে গিয়ে সকালের নাস্তা খেয়েছিলাম। নাস্তা খাওয়া শেষ করে আজকে আর ল্যাবে যাইনি, সরাসরি রুমে এসেছি। কারণ খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি। এজন্য খুব ঘুম পেয়েছিল, তাই রুমে এসে আবারো ঘুমিয়েছি।
পরে দুপুর ১২টার দিকে ঘুম থেকে উঠে ল্যাবে গিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমার যে সহকারী আপুর বাবা অসুস্থ ছিল, সেই আপু আজকে ডিউটিতে এসেছে। পরে সবাই মিলে একটি সেলফি তুলেছিলাম। আসলে সবাই মিলে এভাবে কাজ করতে বেশ ভালই লাগে।
দুপুরে খাওয়ার সময় হলে প্রতিদিনের মত বড় ভাইয়ের জন্য হোটেল থেকে খাবার আনতে গিয়েছিলাম। পরে রুমে এসে দুইজনে একসঙ্গে খেয়েছি।খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই কিছুক্ষণ শুয়ে রেস্ট করেছি।
আমি যে প্রতিষ্ঠানে আছি এইখানে সকালবেলা আর বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত বেশ ভালোই কাজ হয়। দুপুরবেলা কাজের চাপ কম থাকে, এজন্য প্রতিদিন রেস্ট করতে পারি। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে আমাদের পাশের প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানের রিসিপশনে সবার সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করেছি। নতুন প্রতিষ্ঠান তেমন একটা রোগীর চাপ ছিল না।
পরে আবারো আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসে প্রতিদিনের মতোই কাজ শুরু করেছিলাম। বিকেলে কাজের চাপ একটু বেশিই থাকে। কোন দিক দিয়ে রাত হয়ে যায় বুঝতেই পারিনা। পরে সব কাজ শেষ করে প্রতিদিনের মতই বড় ভাইয়ের সাথে লঞ্চঘাটে ঘুরতে গেছিলাম। তবে আজকে লঞ্চের নিচে না বসে লঞ্চের ছাদে উঠে আড্ডা দিয়েছি।
এরকম খোলা আকাশে লঞ্চের উপরে বসে আড্ডা দিতে কার না ভালো লাগে। পরে সেখান থেকে আবারও হোটেলে গিয়ে নাস্তা করেছি। তবে আজকে খিচুড়ি বা রুটি না খেয়ে হালিম খেয়েছিলাম। হালিমটা বেশ মজারই ছিল। যদিও মজার ছিল, কিন্তু আমাদের উত্তরবঙ্গের মতো তেমন একটা স্বাদ পাই না। পরে আবারো রুমে এসে প্রতিদিনের মতোই পোস্ট লিখতে বসেছি।
Sort: Trending
Loading...