Better Life With Steem | | The Diary Game | | 25 June, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও মোবাইলের এ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙেছে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা যেন একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। একটা কথা আছে না, মানুষ হলো অভ্যাসের দাস। একজন মানুষ প্রতিদিন একই কাজ করলে বা একই নিয়মে চললে সেটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়।
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। আমাদের বাড়িতে কয়েকটি হাড়িভাঙ্গা আমের গাছ আছে। যদিও হাড়িভাঙ্গা আম পুরোপুরি পাকা শুরু হয়নি। কিন্তু তারপরও দেখা যায়, প্রতিদিন দু- একটা আম পাকে। পরে গাছে উঠে আমি দুটি পাকা আম পেরেছিলাম।
এদিকে আমার ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল। তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। মা রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিল। শুধু আমার মা নয়, আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই বাড়িতে সকালবেলা মায়েরা ব্যস্ত থাকে।
সকালবেলা গাছ থেকে আম পেরেছিলাম, সেগুলো মা কেটে দিয়েছিল । সত্যি গাছের টাটকা আমের স্বাদ একদম অন্যরকম। আম খাওয়া শেষ করে, রেডি হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি।
ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। সকালবেলা ল্যাবে তেমন কাজ ছিল না পরে বাকি সময় ফার্মেসিতে ছিলাম। বলতে গেলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ফার্মেসি সবথেকে বেশি চলে। আবার ল্যাব কম চলে এমনটাও না।
যেদিন বাইরে থেকে ডাক্তার আসে সেইদিন ল্যাবের কাজ অনেক বেশি হয়। সকালবেলা শুধু আম খেয়েছিলাম এজন্য আবারও হালকা ক্ষুধা লেগেছিল। পরে সামনের হোটেলে গিয়ে গরম গরম পুড়ি খেয়েছি।
অবসর সময়ে বসে থাকলে সময় যেন যেতেই চায়না। আবার কাজে মগ্ন থাকলে, সময় কোন দিক দিয়ে চলে যায় টেরও পাওয়া যায় না। ফার্মেসিতে কাজ করতে কখন যে দুপুর হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। যাইহোক, দুপুরের দিকে খাবার খেয়েছি।
খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই শুয়ে করেছি। এর মাঝেই আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছিলাম। সেই সাথে বন্ধুদের পোস্টে কিছু কমেন্ট করেছি। মোটামুটি বিকেল পর্যন্ত বেশ ভালই রোদ ছিল। আর গরমের কথা কি আর বলি। একদম অত্যাধিক পরিমাণে গরম ছিল।
গতকালকে বিকেলবেলা ডাক্তার আসার কথা ছিল। মোটামুটি বিকেল ৫:০০টা নাগাদ ডাক্তার এসেছিল। ডাক্তার আসার পর রোগী দেখা শুরু করে। এদিকে আমারও ল্যাবের কাজ শুরু হয়। তবে গতকালকে এক্সরে অনেক বেশি হয়েছে।
ডাক্তার মোটামুটি রাত ৮:০০টার দিকে চলে গিয়েছিল। পরে আমি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করেছি। ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
বাসায় যাওয়ার পথে স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। পরে মোটামুটি রাত 9 টার দিকে বাসায় চলে গিয়েছি। বাসায় গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে মা শুয়ে টিভি দেখেছিল। আর আমি মোবাইলে নাটক দেখেছি। পরে মোটামুটি ঘুমানোর সময় হয়ে গেলে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
আপনার সারাদিনের সকল কাজকর্ম বিষয়টি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আপনার এই গল্পের ভিতরে সবচেয়ে যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটা হল আপনার নিজের গাছ থেকে টাটকা আম পেড়ে খাওয়ার এই বিষয়টা। আসলে গাছের টাটকা আম পেড়ে খেলে অনেকটাই মজা লাগে যেটা হয়তো আমরা অনেকে বুঝি না কিন্তু গাছের টাটকা আমি যে কতটা মজা সেটা শুধু যারা খেয়েছে তারাই জানে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সারা দিনের সকল বিষয়ে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটি আম হলো হাড়িভাঙ্গা আম। এই হাড়িভাঙ্গা আম আমাদের বাসায় তিনটি গাছ আছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন, যার বাসায় আম গাছ আছে। তারাই বুঝে গাছ থেকে টাকা পেড়ে খাওয়ার মজা ঠিক কতখানি। সত্যিই টাটকা আম খাওয়া স্বাদ একদম অন্যরকম।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া যে আপনি আমার এই কমেন্টটি পড়েছিলেন এবং তার অনেক সুন্দর একটি রিপ্লাই আমাকে দিয়েছেন, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি আল্লাহ হাফেজ।
আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপনার পোস্ট পড়ে আজ নতুন একটি আমের নাম জানতে পারলাম। আমি এই সর্বপ্রথম হাড়িভাঙ্গা আমের নাম শুনেছি। যাই হোক আপনার পোষ্ট পরিদর্শন করে নতুন কিছু জানতে পেরে খুবই আনন্দিত আমি।
ভাই আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান সব থেকে জনপ্রিয় আম হল হাঁড়িভাঙ্গা। বর্তমানে বাংলাদেশে এই আমের ব্যবসাহিদা রয়েছে। এমনকি রাজশাহী তো এই হাড়িভাঙ্গা আম দিয়ে একদম সেরা।
যাক, আপনি আমার পোস্ট পড়ে এই আমের নাম জানতে পেরেছেন। আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
হারি ভাঙ্গা আম খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।। আর বাসায় যদি আমের কাজ থাকে তাহলে আম কিনতে হয় না।।। প্রতিদিনের মতো আজকেও ল্যাবে গিয়েছিলাম আসলে প্রতিদিন একই রকম কাজ হবে না এটাই স্বাভাবিক।। ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আমাদের উত্তরবঙ্গে তো ভাই হাড়িভাঙ্গা আম একদম সেরা। অন্যান্য আমার থেকে হাড়িভাঙ্গা আমি স্বাদ একদম অন্যরকম। আমাদের বাসায়ও বেশ কয়েকটি হাড়িভাঙ্গা আম গাছ রয়েছে। বাড়িতে আমগাছ থাকলে আর কিনে খেতে হয় না
ঠিকই বলেছেন ভাই প্রতিদিন তো আর সমানভাবে ভাবে কাজ হয় না।
আমার পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
এটা একদম সঠিক বলেছেন উত্তরবঙ্গে মানুষ হাড়িভাঙ্গা আম খেতে অনেক পছন্দ করে।। আমাদের বাসায় হাড়িভাঙ্গা আম রয়েছে।। জেনে ভালো লাগলো আপনাদের বাসায়ও হাড়িভাঙ্গা আম গাছ রয়েছে।।
হাড়িভঙ্গা আম, আমাদের বাড়িতে অনেক আম গাছ রয়েছে তবে হাড়িভাঙ্গা আম গাছে নেই। খেতে নিশ্চয়ই খুব মিষ্টি। কিছু কিছু আম আছে যেগুলোর গায়ের রং কাচা থাকলেও ভিতরে পেকে যায়। আপনি যে নাটকটা দেখছেন এর কিছুটা অংশ ফেসবুকে সামনে এসেছিলো তবে পুরোটা দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমাদের উত্তরবঙ্গে বেশিরভাগ বাড়িতেই হাড়িভাঙ্গা আম গাছ রয়েছে। কারণ আমাদের উত্তরবঙ্গে হাড়িভাঙ্গা আম সেরা। হ্যাঁ ভাই অন্যান্য আমের থেকে হাড়িভাঙ্গা আমের স্বাদ একদম অন্যরকম। হাড়িভাঙ্গা গ্রামের উপরটা কাচার মত দেখালেও ভিতরটা কিন্তু লাল থাকে।
আমি প্রায় সময় এরকম ডিউটি থেকে বাসায় গিয়ে রাতে নাটক দেখি। নাটক দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
একদমই ঠিক বলেছেন সকালবেলা প্রত্যেকের মা অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে। আমরা নিজেরাও অনেক বেশি ব্যস্ত থাকি। রান্নাবান্না এবং নাস্তা তৈরি করার কাজ নিয়ে। এটা একেবারেই ঠিক কাজ করার সময় সময়টা কখন চলে যায়, সেটা আমরা টের পাইনা। আবার যখন আমরা বসে থাকি তখন আমাদের অতিরিক্ত সময় বেশি ব্যয় হয়ে বলে, আমরা মনে করি। আপনি নাটক দেখছেন এবং আপনার মা টিভি দেখছেন খুব সুন্দর পরিবার। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমারও ঠিক তাই মনে হয়, প্রত্যেক মায়েরাই বা নারীরা সকালবেলা রান্নাবান্নার কাছে বেশি ব্যস্ত থাকে। এটা আপনি একজন নারী হয়ে আমার থেকে আরো বেশি ভালো জানেন। সকালবেলা কাজ করতে কখন যে সময় চলে যায় বুঝতেই পারা যায় না।
রাতের বেলা প্রায় সময় এরকম করি। আমি ল্যাপটপে নাটক দেখি আর মা টিভি দেখে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।