Better Life With Steem | | The Diary Game | | 23 October, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো এবং খারাপের মধ্যে আছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করি। আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আপনাদের মাঝে গতদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো গতকালকেও সকাল আট'টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঐ যে আগের পোস্টে বলেছি এদিকের ডাক্তাররা সকালবেলা রোগী দেখেন। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছিলাম। তবে সকালবেলার আবহাওয়াটা অনেক ঠান্ডা ছিল।
আগের দিন রাতে মায়ের কাছে শুনেছিলাম আমাদের উত্তরবঙ্গে নাকি ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্যই হয়তো দক্ষিণ অঞ্চলের আবহাওয়া খারাপ ছিল। সকালের কাজগুলো শেষ করে বাইরে বের হয়ে দেখি আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। সকালবেলা এরকম ঠান্ডা আবহাওয়া দেখে মনটা অনেক ভালো গেছিল।মোটামুটি সকাল ১০টা পর্যন্ত একটানা কাজ করে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়েছি।
আগের দিন রাতেই চিন্তা করেছিলাম সকালের কাজ শেষ করে সেলুনে গিয়ে চুল কাটাবো। তাই ফ্রেশ হয়ে সেলুনে গিয়েছিলাম চুল কাটার জন্য। তবে একটা বিষয় ভালো লেগেছে, কারণ সেলুনে যাওয়া মাত্রই সিরিয়াল পেয়েছিলাম। তবে হঠাৎ এরকম অচেনা জায়গায় আবার অচেনা মানুষের কাছে চুল কাটাতে একটু সংকোচবোধ মনে হয়।
আমার মনে হয়, শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়। প্রতিটা ছেলেরাই হঠাৎ অন্য জায়গায় গিয়ে চুল কাটাতে একটু সংকোচ মনে করে। যাইহোক, চুল কাটানো শেষ করে সেই লঞ্চঘাটে গিয়ে এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে বসে ছিলাম। পরে আবারও সেখান থেকে রুমে এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি।
ফ্রেশ হওয়ার পর সকালের নাস্তা খেয়েছিলাম। এদিকে চাকরিতে জয়েন করার পর থেকে আমার সকালের নাস্তা খাওয়ার অভ্যাসটা অনেক দেরিতে হয়েছে। যাইহোক, নাস্তা খাওয়া শেষ করে আবারো ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। এর মাঝে আমার এক পরিচিত বন্ধুর ছোট ভাই আমাদের কলেজে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল।
পরে তার রোল নম্বর নিয়ে আমি রেজাল্ট বের করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সে কুড়িগ্রাম IHT চান্স পেয়েছে। পরে আবারও দুপুরের খাওয়া শেষ করে ল্যাবে কাজ করেছিলাম। বিকেলের দিকে কাজের বেশ ভালোই চাপ ছিল। কাজের ফাঁকে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছিল বুঝতেই পারিনি। মোটামুটি সন্ধ্যা সাত'টা পর্যন্ত কাজ শেষ করে বড় ভাইদের সাথে বাইরে বের হয়েছি।
সত্যি কথা বলতে কি, সারাদিন ডিউটি করার পর সন্ধ্যার পর একটু বাইরে হাটাহাটি করলে অনেক ভালো লাগে। বড় ভাইদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে হোটেলে নাস্তা খেয়েছি। পরে আবারো হসপিটালে এসে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। আসলে সারাদিন বসে থাকতে থাকতে একদম অস্বস্তি এসেছিল।
তাই আবারও রাতের বেলা সরকারি হসপিটালের দিকে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা হসপিটালের পরিবেশটা বেশ ভালই লাগে। কারণ আমাদের ঐ দিকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থেকে এদিকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনেক পরিষ্কার। বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আবারো রুমে এসে প্রতিদিনের মতো পোস্ট লিখতে বসেছিলাম। এই পর্যন্তই ছিল।
ঘূর্ণিঝড় ডানা আঘাত এনেছিলো উপকূল অঞ্চলে তাই হটাৎ আবহাওয়া অনেকটা পরিবর্তন হয়েছিলো। তবে ঠান্ডা আবহাওয়া আমারও অনেক পছন্দের। একদম ঠিক বলেছেন ভাই, সেলুনে গিয়ে সাধারণত অনেক সময় যাবত সিরিয়াল দিতে হয় তবে আপনি বেশ ভাগ্যবান তাই হয়ত তাড়াতাড়ি কাজ করতে পেরেছিলেন। আপনার ছোটভাই কলেজে পছন্দের সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।