Better Life With Steem | | The Diary Game | | 22 June, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। নতুন একটা দিন মানেই নতুন কিছুর শুরু। প্রতিটা দিনই আমাদের সবাইকে নতুন কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। আর সেখান থেকেই আমরা নতুন কিছু শিখতে পারি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় গতকালকেও এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙেছে। যদিও ঈদের কয়েক দিন একটু দেরিতেই ঘুম থেকে উঠতাম। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেছে। তাই আবারও নিত্য দিনের মতো সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হয়।
কারণ ঐ যে একটা কথা বলেছি না, দায়িত্বের কাছে আমি আটকে গেছি। কিন্তু এই দায়িত্বকে আমি খুবই সম্মান করি। কারণ বেকার হয়ে জীবনযাপন করার থেকে, কষ্ট করে দুই টাকা উপার্জন করা ভালো। এতে সমাজেও নিজের সম্মান বজায় থাকে।
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। কয়েকদিন আগে সকালবেলা বেশ বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এখন আবারো সকালবেলায় অনেক রোদ উঠে। এদিকে মা সকালের নাস্তা খাওয়ার জন্য রুটি বানিয়েছিল। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে গরুর মাংসের ঝোল দিয়ে রুটি খেয়েছি। সত্যিই এরকম গরুর মাংসের ঝোল দিয়ে রুটি খাওয়ার স্বাদ একদম অন্যরকম।
আলহামদুলিল্লাহ নাস্তা খাওয়া শেষ করেই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। গতকালকে যাওয়ার পথে আমার ল্যাপটপ সাথে নিয়েছিলাম। কারন আমার এক বন্ধু তার কিছু কাজের জন্য আমার কাছ থেকে ল্যাপটপটা চেয়েছিল। তাই ডিউটিতে যাওয়ার পথে ল্যাপটপটা তাকে দিব, এজন্য সাথে নিয়েছি। রাস্তায় তার সাথে দেখা করে ল্যাপটপ দিয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। গতকালকে ল্যাবে সকালবেলা তেমন কাজ ছিল না। এদিকে একজন রোগী এসেছিল স্যালাইন দেওয়ার জন্য। অনেক আগেই আমি বলেছি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব রোগীকে ইনজেকশন বা স্যালাইন আমি দিয়ে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবে রোগীকে স্যালাইন লাগিয়ে দিয়েছি।
শুক্রবারের দিনে অনেক কাজ ছিল। রোগীর টেস্টের লিস্ট গুলো নোট খাতায় তোলার সুযোগ হয়নি। তাই গতকালকে সেগুলো নোট খাতায় তুলেছিলাম। আপনারা হয়তো ভাবছেন টেস্টের লিস্টগুলো নোট খাতায় তোলার কি আছে।
কিন্তু এগুলো নোট খাতায় তোলা আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরবর্তীতে কোন রোগী আবারও ফেরত এসে রিপোর্ট চেয়ে থাকে। সেই সাথে কোন সমস্যা হলে আমরা নোট খাতা দেখে সমস্যা সমাধান করে থাকি।
পরে মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত অবসর সময় কাটিয়েছি। গতকালকে আমাদের বাড়ির পাশেই এক চাচার বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত ছিল। তাই বাড়ি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছি, দুপুরবেলা ডিউটি থেকে আবারও বাসায় গিয়ে সবাই মিলে একসাথে দাওয়াত খাব। তাই দুপুরের দিকে ডিউটি থেকে আবারো বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
বাসায় যাওয়ার পর সবাই মিলে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ খাবারের আয়োজন খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে পরিমাণ গরম ছিল, খাওয়ার ইচ্ছে করছিল না। যাইহোক, দাওয়াত খেয়ে বাসায় একটু রেস্ট করে আবারো ডিউটিতে এসেছিলাম।
বিকেলের দিকে একজন রোগী প্রসাব টেস্ট করার জন্য এসেছিল। সত্যি আমার জীবনে এরকম ইনফেকশন এর রোগী কখনো দেখিনি। রোগীটির প্রসাবে অনেক বেশি ইনফেকশন ছিল, যা বলার মত নয়। যারা রিপোর্ট সম্পর্কে জানেন তারা হয়তো রিপোর্টটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
মোটামুটি রাত ৮টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় যাওয়ার পথে আমাদের এলাকার বাজারে একটু কাজ ছিল সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কাজ বলতে আমার মোবাইল চার্জ দেওয়া মাল্টিপ্লাগের পিছনের ঢাকনাটা ভেঙে গিয়েছিল। তাই দোকান থেকে নতুন একটা কিনে নিয়েছি। পরে বাজারে আরো কিছু কাজ ছিল, সেগুলো শেষ করে বাসায় চলে গিয়েছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদেরকে এত সুন্দর একটি অল্প উপহার দেওয়ার জন্য। সেই সাথে আপনাকে অনুরোধ করব। আমাদেরকে প্রতিদিন নিত্য নতুন গল্প উপহার দেয়ার জন্য। যাতে করে আমরা আপনার লেখা থেকে কিছু শিখতে পারি। ও মানুষও কিছু শিক্ষা নিতে পারে, কিছু শিখতে পারে। এবং আমরা অনুপ্রেরণা পেয়ে আমরাও কিছু লিখতে পারি। ধন্যবাদ ভাই।
সবাই নিজ নিজ পেশায় দায়িত্বের কাছে বাঁধা পড়ে। আপনিও তেমনই। সঠিক ভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারলে সকলের কাছ থেকে সম্মান পাওয়া যায়। একদমই তাই বেকার থাকার চেয়ে কষ্ট করে অল্প কিছু রোজগার করা ভালো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রুটি আর মাংস দিয়ে সকালের নাস্তা করেছিলেন তারপর ল্যাবের চলে গিয়েছিলেন। না ভাইয়া, রিপোর্ট সম্পর্কে আমি জানি না তবে এটুকু বুঝলাম যে রোগিটা বেশ গুরুতর ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছেও তাই মনে হয়, কারণ ঘরে বেকার বসে না থেকে সৎ পথে ২ টাকা উপার্জন করার মাঝে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়। এতে সমাজেও সম্মান বাড়ে।
আসলেই গরুর মাংস দিয়ে রুটি খেতে একদম অন্যরকম স্বাদ লাগে।
যদিও আপনি রিপোর্টটি ধরতে পারেননি কিন্তু আসলে রোগের অবস্থা অনেক সিরিয়াস ছিল।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
এখন বেকার মানুষদের কোনো মূল্য নেই সমাজে কেউ মূল্যায়ন করতে চায় না। তাই নিজে যদি কিছু অন্তত কিছু করা যায় তাহলে সেটা সম্মানের। নিজে চেষ্টা করলে সব কিছু করা সম্ভব। নিজে কিছু ইনকাম করলে মনের ভিতরও ভালো লাগা কাজ করে। মাংস দিয়ে রুটি সত্যি ভালো লাগে খেতে। আসলে কোনো বিষয়ে পড়াশুনা না করলে সেটা সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। ভালো থাকবেন।
যারা সমাজে বেকার এবং নিজের পরিবারের বেকার হয়ে বসে থাকে। তারা হয়তো ভাবে বসে থেকে খাইলে হয়তো ভালোভাবে দিন চলে যাবে। কিন্তু আসলে তা নয়, বেকার মানুষকে সমাজের মানুষ, মানুষ বলে মূল্যায়ন করে না। এর থেকে আমার কাছে মনে হয়, সৎ পথে উপার্জন করায় সবথেকে ভালো বিষয়।
আমার কমেন্টের সুন্দর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আসলে আপনি তো আর বসে বসে রোজগার করছে না অবশ্যই আপনি কিছু করে কিছু অর্থ উপার্জন করছেন, এবং আপনার সারাদিনের এই সকল বিষয়কে আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন যেটা অনেক ভালো ছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
আমার কাছে মনে হয় অসৎ পথে হাজার টাকা উপার্জন করা থেকে, সৎ পথে দুই টাকা উপার্জন করার মাঝে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
এজন্য আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি উপার্জন করার।
আমার সারাদিনের কার্যক্রম আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনিও ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি আমার এই কমেন্টটি পড়েছেন এবং এত সুন্দর ভাবে আপনি আমার এই কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য, অবশ্যই আমাদের সৎ করতে ইনকাম করতে হবে, অসৎ পথে ইনকাম করা আছে সৎ পথে এক টাকা ইনকাম করা শান্তি বেশি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি ।
ঈদের ছুটি শেষ তাই আবারও নিজের কর্ম শুরু হয়ে গেল।। দায়িত্ব অনেক বড় একটা জিনিস দায়িত্ব নিয়ে যদি দায়িত্ব মত কাজ না করা যায় তাহলে সে দায়িত্ব না নেয় ভালো।। কোথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা তাই বেকার না থাকে কোন কাজে নিয়োজিত থাকায় বুদ্ধিমানের কাজ।।
অনেকদিন ঈদের ছুটি কাটানোর পরে আবারো কর্মস্থলে ফিরে যেতে অনেকটাই খারাপ লেগেছিল। কারণ ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক বেশি আনন্দ ছিল। ঠিকই বলেছেন ভাই, দায়িত্বের কাছে মানুষ বন্দী হয়ে গেছে। তবে এই দায়িত্বের মূল্য কেউ দিতে পারে। আবার কেউ দিতে পারে না।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।