Better Life With Steem | | The Diary Game | | 20 October, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আপনার হয়তো অনেকেই জানেন আমি খুব খারাপ অবস্থার মাঝে দিন পার করতেছি। যাইহোক, তারপরেও আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করি। আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকাল আট'টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছিলাম। আগে বাসায় থাকাকালীন প্রতিদিন মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠতাম। কিন্তু এখন পুরোটাই ভিন্ন রকম চিত্র। আমি গত কালকের পোস্টে বলেছিলাম এদিকের অনেক রোগী সকালবেলা ডাক্তারের কাছে আসে।
আর সকাল বেলা ডাক্তাররা কিছু ব্লাড টেস্ট দেয়। এজন্য ঘুম থেকে উঠা মাত্রই ল্যাবে গিয়ে আগে সর্বপ্রথম সব টেস্ট করে রিপোর্ট দিয়েছি। পরে বাইরে বের হয়ে দেখলাম বেশ ভালই রোদ উঠেছে। যদিও বর্তমান শীতের আভাস পড়তেছে। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে দেখি এখনো বেশ ভালোই গরম আছে।
সকাল দশটা পর্যন্ত একটানা কাজ করার পর এসিস্টেন্টরা চলে এসেছিল। পরে আমি রুমে গিয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। আর হ্যাঁ! একটা কথা, আমাদের উত্তরবঙ্গের থেকে দক্ষিণাঞ্চলে পানি ততটা ভালো নয়। কিন্তু কি আর করার। যাইহোক, গোসল করে ফ্রেশ হয়ে হোটেলে গিয়ে নাস্তা খেয়েছি। নাস্তা খাওয়া শেষ করে আবারো ল্যাবে এসেছিলাম।
গত কয়েকদিন থেকে ল্যাবে কয়েকটা মেশিন সমস্যার কারণে খুব ঝামেলার মাঝে দিন পার করতেছি। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত একটানা ল্যাবে কাজ করেছিলাম। কাজের মাঝে ল্যাবের এক আপু বাইরে গিয়ে আমার জন্য ঝাল মুড়ি নিয়ে এসেছিল। পরে দুজনে ঝাল মুড়ি খেয়েছি।
দুপুরে খাওয়ার সময় হলে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই এক ঘন্টা শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। কারণ আমাদের হসপিটালে দুপুরবেলা কাজের চাপ একটু কমই থাকে। বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠে আবারো ল্যাবে গিয়েছি।
বিকেলবেলা আমাদের হসপিটালে একজন গাইনি সার্জন চেম্বার করেন। মোটামুটি ভালই রোগী হয়। বিকেলে কাজ করার মাঝে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল একদম টের পাইনি। মোটামুটি সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছি। কাজ শেষ করার পর ফ্রেশ হয়ে এক বড় ভাইসহ বাইরে গিয়েছিলাম।
বাইরে হাঁটাহাঁটি করার সময় হঠাৎ চিন্তা হলো আমার একটা টি-শার্ট কেনা দরকার। অবশ্য গত কয়েকদিন থেকে চিন্তা করতেছি একটা টি-শার্ট কেনা লাগবে। তাই আজকেই মার্কেটে গিয়ে একটি টি-শার্ট কিনেছিলাম। জানিনা টি-শার্ট টা দেখতে কেমন হয়েছে।
পরে মার্কেট থেকে বের হয়ে আমাদের সেই পরিচিত লঞ্চঘাটে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে বেশ আড্ডা দিয়েছি। সত্যি কথা বলতে কি, সন্ধ্যার পর এরকম লঞ্চের উপর নিরিবিলি পরিবেশে আড্ডা দিতে বেশ ভালই লাগে। আর সবথেকে বড় কথা সারাদিন একটানা ডিউটি করার পর বাইরে একটু আড্ডা দিলে মনটা ফ্রেশ থাকে।
পরে আবারো হসপিটালে এসে ল্যাবে কিছু কাজ করেছিলাম। এর মাঝে আমাদের কমিউনিটির সম্পা দিদির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছিলাম। অনেকদিন পর দিদির সাথে কথা বলে বেশ ভালই লেগেছিল। পরে রুমে এসে প্রতিদিনের মতো পোস্ট লিখতে বসেছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল
এই পোস্টটি @philhughes এর মাধ্যমে টিম 5 দ্বারা আপভোট/সমর্থিত হয়েছে। আমাদের দল সম্প্রদায়ে যোগ করে এমন সামগ্রী সমর্থন করে৷
Thank you.
প্রতিদিনের কাজের মধ্যে আপনাকে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। তবে বন্ধুদের সহযোগিতা এবং আড্ডা দিয়ে মনটাকে যেভাবে ফ্রেশ রেখেছেন, তা দারুণ। নতুন টি-শার্ট কেনার সিদ্ধান্তটাও বেশ মজার! আশা করি সেটা আপনাকে ভালো দেখাবে।
সবর্প্রথম কথা হল ভাই ভালো-মন্দ নিয়েই আমাদের জীবন। জীবনে চলার পথে অনেক কষ্ট এবং অনেক বিপদ আসবে। এসব কিছু মানিয়ে নিয়ে চলার নামে হচ্ছে জীবন।
ঠিকই বলেছেন ভাই এত কাজের মাঝে বাইরে একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে মনটা ফ্রেশ থাকে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।