Better Life With Steem | | The Diary Game | | 19 October, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো এবং খারাপের মধ্যে আছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করি। আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
প্রথমে বলতে চাই, এভাবে দীর্ঘদিন পর আপনাদের মাঝে যে ফিরে আসবো তা কখনো ভাবিনি। আসলে একটা কথা আছে না, মানুষের জীবনে কখন কি'রকম পরিস্থিতি আসবে তা বলা সম্ভব নয়। ঠিক আমার জীবনেও অনেক কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও এখন সুস্থ আছি। এজন্য আল্লাহ তালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
তবে মানুষের জীবনে কিছু কিছু স্মৃতি এবং দুর্ঘটনা থাকে যেগুলো থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। জীবনে কিছু স্মৃতি এবং ঘটনা থাকে যেগুলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলা সম্ভব নয়। আমার জীবনেও সে রকমটাই হয়েছে। তবে অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে ফিরে এসে বেশ ভালই লাগলো।
আমি আগে আমার বাড়ির পাশের উপজেলায় চাকরি করতাম। সেটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন। কিন্তু কিছু পরিস্থিতির কারণে আমি এখন বাড়ির বাইরে থাকি। যাইহোক, আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় একটি প্রাইভেট হসপিটালের প্যাথলজিতে কর্মরত আছি। আগের থেকে এখন আমার দৈনিক রুটিনটা পরিবর্তন হয়েছে।
আজকে ঠিক সকাল আট'টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছিলাম। কারণ এদিকে কিছু ডাক্তার আছে সকালবেলা ব্লাড টেস্ট দেয়। ঘুম থেকে উঠেই ল্যাবে গিয়ে কিছু টেস্ট ছিল সেগুলোর রিপোর্ট করেছি। পরে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। সকালবেলার আবহাওয়া মোটামুটি বেশ ভালই লাগে। তারপর আবারো ল্যাবে এসে বাকি কাজ সম্পন্ন করেছিলাম।
মোটামুটি সকাল দশটা নাগাদ আমার ল্যাবের দুইজন assistant চলে এসেছিল। এর আগে আমি যেখানে চাকরি করেছিলাম সেখানে সবকিছু আমি একাই করেছি। কিন্তু এইখানে আমি ছাড়াও দুইজন এসিস্ট্যান্ট আছে। তারা সব সময় আমার যেকোন কাজে সহায়তা করে। যাইহোক, এসিস্টেন্ট আসার পর আমি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি। পরে হোটেলে গিয়ে চা নাস্তা খেয়েছিলাম।
তবে আমাদের উত্তরবঙ্গের থেকে এদিকে জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই বেশি। নাস্তা খাওয়া শেষ করে আবারো ল্যাবে এসেছিলাম। তারপর নিজের কাজে বেশ ব্যস্তই ছিলাম। এর মাঝে দুপুরবেলা একজন রোগীর ডেঙ্গু টেস্ট পজিটিভ পেয়েছিলাম। বর্তমানে অনেক রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনাদের সবাইকে বলবো নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক থাকবেন।
দুপুরে খাওয়ার সময় হলে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। কারণ দুপুর বেলা কাজের একটু চাপ কমই থাকে। আবারো মোটামুটি বিকেল চারটা নাগাদ সরকারি হাসপাতালের ভিতরে হাঁটাহাঁটি করেছি। পরে আবারো এসে ল্যাবে কাজ শুরু করেছিলাম। বিকেলবেলা কাজ শুরু হলে মোটামুটি একটানা সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কাজ হয়। সব মিলিয়ে আমিও এখন নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি। সন্ধ্যা সাত'টার দিকে সব কাজ শেষ করে বাইরে নাস্তা খেতে গিয়েছিলাম।
আমি যে জায়গায় থাকি এদিকে খুব কাছাকাছি একটি লঞ্চঘাট আছে। নাস্তা খাওয়া শেষ করে এক বড় ভাই মিলে লঞ্চঘাটে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছিলাম। পরে মোটামুটি রাত আটটা নাগাদ রুমে এসে পোস্ট লেখা শুরু করেছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আবারও সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।
সর্বপ্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই অনেক দিন পর হলেও আমাদের মাঝে ফিরে আসার কারনে। আশা করি ভালো আছেন। মানুষের জীবনের রং ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। পরিস্থিতি সব সময় এক রকম থাকে না। পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শেখায় তাই তো আমি সব সময় বলি পরিস্থিতি হলো সব থেকে বড় শিক্ষক। জীবনে যতই খারাপ পরিস্থিতি আসুক না কেন আমাদের সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আশা করি, এখন থেকে আমাদের সাথে নিয়মিত যুক্ত থাকবেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।