Better Life With Steem | | The Diary Game | | 19 January, 2025
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। গতকালকে পোস্ট লিখতে গিয়েও লিখতে পারিনি। হঠাৎ করে রাতে অনেক বেশি মাথা ব্যথা এবং ঠান্ডা লেগে ছিল। যাইহোক আপনাদের মাঝে এখন গত পরশুদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ অন্যান্য দিনের তুলনায় সেই দিনও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। সেদিন ডিউটি ছিল বিকেলবেলা, মানে তিনটার সময়। বিকেল ডিউটি হলে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বেশ খানিকটা সময় পাওয়া যায়। ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি।
আমি বাসায় যে ভাইয়ের সাথে রান্না করে খাই, ঐ ভাইসহ আমার বাজারে যাওয়ার কথা ছিল। তাই ফ্রেশ হয়ে দেরি না করে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আমাদের বাসা থেকে বাজার অনেকটাই কাছাকাছি। কিন্তু সেদিন ছোট বাজারে না গিয়ে একটু বড় বাজারে গিয়েছি।
বাজারে গিয়েছিলাম মূলত মাছ কেনার জন্য। আর হ্যাঁ! আপনাদের একটা কথা বলতেই ভুলে গেছি, চাঁদপুরে কিন্তু অনেক বেশি মাছ পাওয়া যায়। তার কারণ হচ্ছে চাঁদপুর নদী অঞ্চল। এখানে দেশি মাছ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। আর আমাদের উত্তরবঙ্গের থেকে এদিকের মাছের দামও তুলনামূলক অনেকটাই কম।
আমি তেমন একটা মাছ খাই না তবে একটানা মাংস খাওয়া যায় না। তাছাড়া বড় ভাই ও মাছ খাওয়ার কথা বলেছিল। এজন্যই মূলত মাছ কিনতে গিয়েছিলাম। অবশেষে দুজনে পছন্দ করে তেলাপিয়া মাছ কিনেছি। আমি তো বাজার দেখে পুরাই অবাক অনেক বড় বড় মাছ এবং ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এদিকে কিন্তু ইলিশ মাছের চাহিদা অনেক।
সাগর থেকে সরাসরি ট্রলারে করে ইলিশ মাছ নিয়ে এসে চাঁদপুরে বিক্রি করে। যাইহোক, বাজার শেষ করে সোজা বাসায় চলে এসেছি। এরপর প্রতিদিনের মতোই রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। রান্নাবান্না শেষ করে তাড়াতাড়ি গোসল করে খাবার খেয়েছি। ততক্ষণে অফিসে যাওয়ার সময় হয়ে গেছিল। এরপর ভাইসহ অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এর মাঝে খালা চা নাস্তা দিয়েছিল। পরে অবসর সময়ে বরিশাল বনাম চট্টগ্রামের খেলা দেখেছি। এবারের বিপিএল খেলা গুলো পুরোটাই অন্যরকম হচ্ছে। সেদিনের ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বরিশালেই জিতেছিল।
যাইহোক, খেলা দেখা শেষ করে অফিসের কিছু ডকুমেন্টের কাজ ছিল সেগুলো শেষ করেছি। কারণ দেখতে দেখতে মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, আবারও এই মাসের রিএজেন্টর হিসাব দিতে হবে। আর হ্যাঁ! বেশ কয়েকদিন থেকে আমার চোখগুলো হলুদ দেখা যাচ্ছে। ভাবছিলাম জন্ডিসের একটা টেস্ট করব। সেদিন ল্যাবের ভাইও বলেছিল। তাই অবহেলা না করে শেষ পর্যন্ত টেস্টটা করিয়েছি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমার জন্ডিস ছিল, কিন্তু খুব বেশি নয়। তারপরও যেটা ছিল অনেকটাই টেনশনে ছিলাম। পরে এই বিষয়ে আমি আমার আপুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এরপর মোটামুটি রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে বাসায় চলে এসেছি। এই পর্যন্তই ছিল।
Sort: Trending
Loading...