Better Life With Steem | | The Diary Game | | 10 November, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গতদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় গতকালকে একটু সকাল সকাল ঘুম ভেঙেছে। তবে সকালবেলা আপু ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙিয়েছে। কারণ আমি অনেকদিন পর বাসায় এসেছি। এজন্য আপু ছুটি নিয়ে বাসায় আসতেছে। আর হ্যাঁ! গ্রামের বাড়িতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার আনন্দটাই অন্যরকম। বিশেষ করে, শীতের সকালে কুয়াশা ভেজা সকাল দেখতে অন্যরকম লাগে।
যাইহোক, আপু নীলফামারী থেকে পার্বতীপুর আসার পর আমাকে ফোন দিয়েছিল তাকে নিয়ে আসার জন্য। পরে আমি তাড়াতাড়ি মোটরসাইকেলে আপুকে নিতে গেছিলাম। সত্যিই সকালবেলা গাড়ি চালিয়ে এতটাই ঠান্ডা লেগেছিল যা বলার মত নয়। শহরে এখনো অনেকটাই গরম আছে, অথচ গ্রামে প্রচুর শীত পড়েছে।আলহামদুলিল্লাহ আপুকে নিয়ে ভালোভাবে বাসায় চলে এসেছি।
বাসায় আসার পর তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে এক সঙ্গে গল্প করেছি।অনেকদিন পর পরিবারের সাথে সময় কাটানোর আনন্দটাই অন্যরকম। আর হ্যাঁ! আমাদের বাসায় তিনটা "ঘুঘু" পাখি আছে। পাখি তিনটা খাঁচার ভিতর রাখা ছিল। সত্যি পাখি জিনিসটি দেখতে অন্যরকম। যাইহোক, পরে মা আমাদের সবাইকে সকালের নাস্তা খেতে দিয়েছে। অনেকদিন পর মায়ের হাতের রান্না খেতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ।
নাস্তা খাওয়ার পর মা আমাকে এবং আপুকে ফুফুর বাসায় যেতে বলেছে। আপনাদের বিগত পোস্টেই বলেছি, আমার ফুফাতো বোন মারা গেছিল। কিন্তু আমি অনেক দূরে থাকার কারণে আসতে পারিনি। তাই আমিও ভাবলাম মা যেহেতু বলতেছে তাই ফুফুর বাসায় গিয়ে ফুফুর সাথে দেখা করব। পরে আপু এবং আমি দুজনে ফুফুর বাসায় গিয়েছিলাম। ফুফু আমাকে দেখা মাত্রই অনেক কান্না করেছে। কিন্তু কিছুই করার ছিল না,এটাই হয়তো বাস্তবতা।
মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত ফুপুর বাসায় থাকার পর আবারো বাসায় চলে এসেছি। পরে দুপুরে গোসল করব ঐ সময় মা আমাকে জাম্বুরা খেতে দিয়েছিল। আমাদের গ্রামের ভাষায় এটাকে জাম্বুরা বলা হয়। তবে এই জাম্বুরা কেনা নয়, আমাদের নিজের গাছের।
পরে তাড়াতাড়ি গোসল করে সবাই মিলে একসঙ্গে দুপুরে খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে বিকেলের দিকে একটু ঘুমিয়েছি। কারণ চাকরি জীবনে সেরকম ঘুমানোর সুযোগ হয় না। তাই বাসায় আসার পর বিকেল একটু ঘুমিয়েছি। সন্ধ্যার দিকে আমাদের পার্শ্ববর্তী স্কুলের মাঠে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে বড় ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি।
এর মাঝে চিন্তা করলাম আমার আগের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সবার সঙ্গে দেখা করে আসি। তাই বড় ভাইসহ আমার আগের প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি। সেখানে যাওয়া মাত্রই আমাকে দেখে সবাই অবাক হয়েছে। কারণ হঠাৎ করে গেলে অবাক হবে এটাই তো স্বাভাবিক। পরে প্রতিষ্ঠান মালিক ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করেছি। অনেকদিন পর আগের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল। পরে সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আবারো বাসায় চলে এসেছি।
বাসায় আসার পর মা আমাকে বলেছিল চাচার বাসায় রাতে দাওয়াত আছে। পরে আপু, মা এবং আমি তিনজনে মিলে রাতে চাচার বাসায় খেতে গিয়েছি। খাওয়া শেষ করে আসার সময় দেখলাম আকাশে অনেক সুন্দর চাঁদ উঠেছে। পরে চাঁদের একটা ছবি তুলেছি। আলহামদুলিল্লাহ গতকালকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছিল।
শীতের সময় সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না তবুও সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে অনেক ভালো লাগে এটা একদম ঠিক গ্রামে সকাল বেলা ঘুম থেকে শীতের সময় উঠলে অনেক আনন্দ অনুভব হয়।
এবং আপনি আপনার আপুকে নিয়ে আসার জন্য মোটর সাইকেলে গিয়েছিলেন সকালে শীতের সময় মোটর সাইকেল চালানো আসলে একটি কষ্ট দায়ক কারণ বাতাস গায়ে বসে যায় তার পাশা পাশি শীতের সময় ঠান্ডা অনেক অনুভব হয়েছে এটা বুঝতে পারছি যাই হোক আপনার দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর বাসায় এসে নিশ্চয়ই সবার সাথে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছেন। বাড়ির বাইরে থাকলে সব থেকে যেটা মিস করি আমরা সেটা হলো মায়ের হাতের রান্না।
তাই বাড়িতে আসলে মায়েরা আমাদের পছন্দের নানা পদের রান্না করে আমাদের জন্য। সত্যি বলতে, বাড়িতে পাখি পোষা বা খাচায় বন্দী করে রাখা আমি একটুও পছন্দ করি না।
পাখির জন্মই হয়েছে ডানা মেলে মুক্ত আকাশে ওরার জন্য। খাঁচায় বন্দী করে রেখে ওদের পরাধীন করে রাখতে আমি একটুও পছন্দ করি না। ভালো থাকবেন।