Better Life With Steem | | The Diary Game | | 07 November, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় আজকে একটু দেরিতেই ঘুম ভেঙেছে। কারণ সকালবেলা কাজের চাপ ছিল না এজন্য কেউ আমাকে ঘুম থেকে ডাকেনি। যাইহোক, যখন ঘুম থেকে উঠেছি তখন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট বেজেছিল। পরে হাত মুখে পানি দিয়ে সোজা ল্যাবে গিয়েছি।
ল্যাবে যাওয়া মাত্র দেখি আমার সহকারী বড় ভাই আমার আগেই চলে এসেছে। পরে কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করে রিপোর্ট দিয়েছি। গতকালকে ভালোই বৃষ্টি হয়েছিল, তারপর থেকে আবহাওয়া মেঘলা ছিল। কিন্তু আজকে সকালবেলা থেকে যে রোদ উঠেছিল যা বলার মত নয়। আমার সবথেকে একটা বাজে অভ্যাস হলো আমি রাতেরবেলা তেমন একটা খাই না। এজন্য সকালবেলা খুব ক্ষুধা লাগে।
আমার বাকি সহকারীরা আসার পর রুমে গিয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। তারপর বাইরের দোকান থেকে রুটি কলা নিয়ে এসেছি। ভাবলাম বাইরে বসে খাওয়ার থেকে ল্যাবে বসে খাওয়াটাই সবথেকে উত্তম হবে। আজকে আমার একজন সহকারী আপু আসেনি। একজন সরকারি না আসা মানে কাজের অনেকটা চাপ বেড়ে যাওয়া। এর মাঝে দেখলাম হরমানের কিছু ডিভাইস শেষ হয়ে গেছে। তাই লকার থেকে হরমোনের ডিভাইস নিয়ে এসেছি।
আমাদের ল্যাবে যেসব রিএজেন্ট এবং ডিভাইস থাকে এগুলো বাদেও স্টক রুমের লকারে সব সময় রিএজেন্ট মজুদ করা থাকে। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত বেশ কাজের মধ্যে ছিলাম। বর্তমানে শুধু আমাদের নিজের হাসপাতাল না, মাঝে মাঝে আমাদের মালিকের অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়েও কাজ করে দিতে হয়। মানে সব মিলিয়ে ভালোই ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করি।
দুপুরের দিকে খাওয়ার সময় হলে হোটেল থেকে খাবার নিয়ে এসেছি। পরে রুমে এসে দুই ভাইসহ একসঙ্গে খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করার পর প্রতিদিনের মধ্যে শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। আর হ্যাঁ! আজকে যদিও বা অনেক রোদ ছিল, কিন্তু অনেকটাই ঠান্ডা ছিল। মোটামুটি বিকেল ৪টা নাগাদ আবারও ল্যাবে গিয়েছি।
বর্তমানে বিকেলবেলা কাজের তেমন চাপ থাকে না। ঐ যে বলেছিলাম আমাদের গাইনি ম্যাম ছুটিতে আছেন। কিন্তু তারপরও গাইনি ডাক্তারের রোগী ছাড়াও কিছু বাইরের কাজ আসে। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাকি সময় কাজের মধ্যেই ছিলাম। আর সত্যি কথা বলতে কি, আমার কাজ করতে খুবই ভালো লাগে। কারণ আমার কাছে মনে হয়, কাজের মাঝে থাকলে সময়টা খুব সুন্দর ভাবে চলে যায়।
সন্ধ্যার দিকে সব কাজ শেষ করে বড় ভাইসহ হোটেলে নাস্তা খেতে গিয়েছি। তবে আজকে অন্য কিছু না খেয়ে আমার পছন্দের হালিম খেয়েছিলাম। যদিও আমাদের ওদিকের মত স্বাদ পাইনা, তবে ভালই লাগে। পরে নাস্তা খাওয়া শেষ করে লঞ্চঘাটে গিয়ে আড্ডা দিয়েছি।
তবে আজকে খুব খারাপ লেগেছে কারণ আজকেই লঞ্চঘাটে শেষ আড্ডা দেওয়া। কারণ বিগত পোস্টে বলেছি, আমার অন্য এক জায়গায় চাকরি হয়েছে। তাই কালকে আমি এখান থেকে সবকিছু নিয়ে একেবারেই চলে যাব। আসলে এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে চলে যাওয়ার সময় খুবই খারাপ লাগে। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ। পরে আবারো হসপিটালে এসে প্রতিদিনের মধ্যেই পোস্ট লিখতে বসেছি।
লঞ্চঘাট কখনো স্বচক্ষে দেখি নি, তাই লঞ্চঘাটে বসে আড্ডা দেওয়াটা কতখানি রোমাঞ্চকর হতে পারে সে বিষয়ে ধারণা না থাকলেও, আপনার শেয়ার করা ছবি দেখে মনে হলো রাতের বেলায় এই লঞ্চ ঘাটের সৌন্দর্য্য থাকে অন্যরকম।
কাজের ক্ষেত্রে বদলি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় বটে, তবে একটি জায়গায় বেশ কিছুদিন কাজ করলে সেই জায়গায় আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। তাই নতুন কোনো জায়গায় যেতে হবে এই বিষয়টি ভাবলেই একটা খারাপ লাগা নিজের ভিতরে কাজ করে। তবে সেই নতুন জায়গায় আরও কিছু নতুন অভিজ্ঞতা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করি সেই অভিজ্ঞতা গুলিও আপনার পোস্টের মাধ্যমে পড়ার সুযোগ পাবো।
ব্যস্ততম দিন পার করার পর সন্ধ্যা বেলায় এমন সুন্দর পরিবেশে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে মন ভালো হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে এইরকম ভাবেই আপনার আগামী দিনগুলো সুন্দরভাবে কেটে যাক, দূর থেকে এতটুকুই প্রার্থনা রইলো। ভালো থাকবেন।
সত্যি কথা বলতে কি, আমিও এর আগে কখনো লঞ্চঘাটে বসে আড্ডা দেইনি। এদিকে চাকরিতে আসার পর আমি সর্বপ্রথম এই লঞ্চঘাটে আড্ডা দিচ্ছি। আসলেই লঞ্চঘাটা আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তটা একদম অন্যরকম।
পরিচয় তো একটা জায়গা থেকে পরিবর্তন হওয়া আসলেই অনেক কষ্টকর। কিন্তু এটা স্বাভাবিক কিছুই করার নেই।
ইনশাআল্লাহ নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন।
বৃষ্টি হওয়ার পরে যখন রোদ আসে তখন সেই রোদে গিয়ে দাঁড়ানো একদম সম্ভব হয় না। কারণ তখন রোদের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। যাই হোক আমিও রাতে খুব বেশি খেতে পারি না তাই আমারও সকালে অনেক বেশি ক্ষুদা লাগে আপনারও ক্ষুদা লাগে এটা বুঝতে পারি। আপনি বাইরে থেকে রুটি এবং কলা নিয়ে এসে খেয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগলো আমি মাঝে মধ্যে রুটি খেয়ে থাকি। আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে ভালো লাগলো ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।