"বিপিএল" 'রংপুর রাইডার্স' বনাম 'ফরচুন বরিশালের' খেলার রিভিউ
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে বিপিএলের রংপুর রাইডার্স বনাম ফরচুন বরিশালের দুর্দান্ত খেলার রিভিউ শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক:
আজকে দুপুরে "বিপিএল" রংপুর বনাম বরিশালের খেলা ছিল। আর আপনারা হয়তো জানেন, আমার নিজের জন্মস্থান রংপুর। রংপুরের খেলা না দেখে কি আর থাকা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় একটা কাজের ব্যস্ততার জন্য সম্পূর্ণ খেলাটা দেখতে পারিনি। শেষের অংশটুকু দেখার সুযোগ হয়েছিল।
কিন্তু শেষের খেলা দেখে যা মজা পেয়েছি একদম বলার মত নয়। সত্যি এরকম খেলা দেখতে পাবো কখনোই আশা করিনি। আমি যখন খেলা দেখা শুরু করি তখন রংপুর ব্যাটিংয়ে ছিল। বরিশাল রংপুরকে টার্গেট দিয়েছিল ১৯৮ রান। বিপিএলে ১৯৮ রান কিন্তু অনেক বেশি টার্গেট। কিন্তু শেষের দিকে রংপুরের ব্যাটিংয়ের অবস্থা খুব খারাপ ছিল।
আমি যখন রংপুরের খেলা দেখি তখন রংপুরের রান ছিল ১২৭। তখন রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৭১ রান। তখন ব্যাটিংয়ে ছিল খুশদিল এবং ইফতিখার। দুজনের খেলাই একদম দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু ৩০ বলে ৭১ রানও অনেকটা চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল। তারপরও অনেকটা আশা নিয়ে ছিলাম।
কিন্তু ইফতিখার ৪৮ রান করে আউট হয়ে যায়। খুব খারাপ লেগেছিল দুই রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনি। আবারো খুশদিলও ৪৮ রানে আউট হয়ে যায়। তখন মনটা একদম খারাপ হয়ে গেছিল। দুজন প্লেয়ার হাফ সেঞ্চুরি করতে পারিনি।
তবে খুশদিল এবং ইফতিখার পুরো ম্যাচটা বের করে দিয়েছিল। যদিও দুজনেই আউট হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ভালো একটা টার্গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। পরে খুশদিল আউট হয়ে যাওয়ার পর মেহেদী এবং সাইফুদ্দিন পর পর দুই বলে আউট হয়ে যায়। পরে রংপুরের পক্ষে জয়লাভ করা একদম অসাধ্য হয়ে যায়।
যখন একের পর এক উইকেট পড়ে যায়, তখন আমি নিজে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারণ ঐ মুহূর্তে রংপুরের পক্ষে ম্যাচ জয়লাভ করা একদম অসম্ভব। শেষ মুহূর্তে ব্যাটিং এ নেমেছিল নুরুল হাসান সোহান। সোহান যে এরকম খেলা দেখাবে সবারই ধারণার বাইরে ছিল। বিশেষ করে, শেষ ছয় বলে ২৬ রান নেওয়া সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
তখন ঐ মুহূর্তে আমি আশা করছিলাম, যদি প্রথম দুই বলে দুইটা বাউন্ডারি নিতে পারে তাহলে ম্যাচটা আশা করা যায়। যেই কথা সেই কাজ, নুরুল হাসান সোহান প্রথম বলেই ছয় নিয়েছিল। দ্বিতীয় বলে আবারও চার নিয়েছে। এভাবে পাঁচ বলে পাঁচটা বাউন্ডারি নেওয়ার পর পুরো খেলাটা একদম ঘুরে দিয়েছে। শেষ এক বলে দুই রান লাগতো।
কিন্তু সোহান শেষ বলেও ছয় মেরে পুরো খেলার ফিনিশিং দিয়েছে। তখন ঐ মুহূর্তে কি পরিমান যে ভালো লেগেছিল যা বলার মত নয়। বলতে গেলে, একটা অসম্ভব ম্যাচ জয়লাভ করেছে। রংপুর রাইডার্স পরপর ছয় ম্যাচে ছয়টায় জয়লাভ করেছে। এটা সবথেকে বড় আনন্দের বিষয় ছিল।
ক্রিকেট আমার প্রিয় একটা খেলা তবে বিয়ের আগে যতটা গুরুত্ব সহকারে খেলাটা উপভোগ করতাম এবং যত রাত হোক না কেন জেগে খেলা দেখার চেষ্টা করতাম বিয়ের পর থেকে সেই জিনিসটা কেমন যেন অবহেলায় পরিণত হয়ে গেছে আমার প্রিয় খেলাটাকে এখন অনেক বেশি মিস করি কিন্তু দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। পরপর ৬ বার রংপুর জিতেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ বিপিএল খেলার রিভিউ এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
রংপুর বনাম বরিশালের খেলাটা অনেক তৃপ্তি পেয়েছি ভাই শেষের ওভার দেখার মত হয়েছে যেটা অনেকের কল্পনার বাইরে ছিলো ৷
খেলা হলে এমনই খেলা হওয়া দরকার যেটা দর্শক ও অনেক মজা এবং আনন্দ করতে পারবে ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷