Better Life with Steem|| The Diary Game|| 17th June 2024||যেমন কাটলো আমার ঈদ
আমরা বেশীরভাগ ঈদই নানীবাড়ি করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম। ঈদের নামাজ এখানে ছিলো সকাল ৯.০০ টায়। কিন্তু বাংলাদেশ বনাম নেপালের খেলা ছিল ভোর ৫.৩০ থেকে। তাই এলার্মে ঘুম থেকে উঠে। মোবাইলেই খেলা দেখা শুরু করি। খেলা নিয়ে তো এর আগে পোস্ট দিয়েছিই যে বাংলাদেশ দল কীভাবে আমাদের ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিলো।
এর মধ্যেই ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিয়েছিলাম নামাযের জন্য। ঈদগাহ মাঠ বাসা থেকে বেশী দূরে না। তাই একটু দেরী করেই বের হয়েছি। দলে দলে অনেক মানুষ যাচ্ছিল আমাদের সাথে। চারিদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ। ঈদগাহে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই নামায শুরু হয়ে গেলো। নামায শেষ করে নানার কবর জিয়ারত করে বাসায় আসি। নানীরা কোরবানী দিচ্ছে অন্যজায়গায়। তাই তেমন কোন কাজ নেই। বাসায় এসেই ফ্রেশ হয়ে খেতে বসে গেলাম।
সকালে ছিলো খিচুড়ি। যেটা আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার। সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করলে আরও ভালো লাগে। খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। শুয়ে শুয়ে স্টিমিটে কিছু কমেন্ট করেছি। তারপর কখন যে ঘুমিয়ে গেছি টের পাইনি। ঘুম থেকে উঠেছি ১.০০ টার সময়। উঠে ফ্রেশ হয়ে দেখি আম্মু আর নানী মিলে। দুপুরের জন্য মজার মজার খাবার রান্না করেছে। এর মধ্যে যেখানে কোরবানী দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে মাংস চলে এসেছিল। খাবার দেখেই যেন ক্ষুধাটা আবার নাড়া দিয়ে উঠলো। একটু পরে আবার খেতে বসলাম। ঈদে খাওয়াটা একটু বেশীই হয়। এরপর আমার ছোট ভাই বললো ওর কোন বন্ধু আসবে তাই ওকে শহরে নামায় দিয়ে আসতে। মামার মোটরসাইকেল নিয়ে চলে গেলাম ওকে নামিয়ে দিতে।
বাসায় আসার পর ঠিক হয় যে একটু ঘুরতে যাবো। আমি, আম্মু এবং আমার এক কাজিন মিলে। কিন্তু এই গরমে যেতে ইচ্ছা করছিল না। তাই ৫ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। তারপর নতুন জামা কাপড় পড়ে আমরা বাইরে ঘুরতে যাই। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে গরমে ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু যখন একটু ধান ক্ষেতের কাছে গিয়েছিলাম তখন ঠান্ডা বাতাসে শরীর জুড়িয়ে গিয়েছিলো।
ফেরার পথে সফট ড্রিংস কিনে খেতে খেতে বাসায় আসি। এসে সব আত্মীয় স্বজন মিলে এক রুমে বসে গল্প করতে থাকি। এত ভালো লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো যেনো এই গল্প শেষ না হয়। কিন্তু সবাই দেখলাম খুব টায়ার্ড তাই তাড়াতাড়িই যার যার ঘরে চলে গেল। আর যেহেতু গ্রামের বাড়ি সবার তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস। আমিও তারপর রাতের খাবার খাই। একটু জর্দাও খেয়েছিলাম। যদিও আমার মিষ্টি জিনিস খুব বেশী পছন্দ না। এর পর শুয়ে পড়ি। অনেক সকালে উঠার কারণে শুয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে যাই। এভাবেই কেটে যায় আমার ঈদের দিন।
ঠিক বলেছেন ভাই আমরা কোরবানি করি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। খিচুড়ি আমারও অনেক প্রিয়, নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত করা খুবই উত্তম একটি কাজ, কবর জিয়ারত করে কবরবাসীদের জন্য দোয়া করাটা অনেক ভালো ব্যাপার এটা আপনি করেছেন।
ঈদের মধ্যে এক ঘুমে দুপুর একটা উঠে আপনার মা এবং নানী খুব সুস্বাদু খাবার তৈরি করে। ঈদের দিন নতুন জামা কাপড় পড়ার সময় হয়ে ওঠেনি। এবং ঘোরাফেরা করার সময় বের করতে পারি নাই। কাজ করতে করতে ঈদের দিন টা পার হয়ে যায়।
আপনি অনেক সুন্দর ঈদ উদযাপন করেছেন সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ঈদের দিনগুলো সুন্দরভাবে উদযাপন করবেন
ঈদের সময় সবাই চায় তার প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাতে। আপনি আপনার নানী বাড়ি তে ঈদ উৎযাপন করে থাকেন এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। বাংলাদেশের ম্যাচ তো ছিলো তবে দেখা হয় নি। যতটুকু বুঝলাম আপনি নিয়মিতই বাংলাদেশের ম্যাচ দেখেন। আজ আম্মুকে সাথে নিয়ে গ্রামের পাশ দিয়ে ঘুরেছিলেন, আশা করি সবাই মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
খুব সাধারনের মধ্যেও বেশ কিছুটা অসাধারণ কেটেছে ঈদের দিন। ঈদের দিনটিই এমন, যা মনের মধ্যে এমনিতেই অনেক আনন্দ জাগিয়ে তোলে। আপনি তো দেখছি খেলা দেখার বড়ো ভক্ত, একেবারে এলার্ম দিয়ে রেখেছেন। যাইহোক, খাওয়া দাওয়া, অল্প ঘোরাঘুরি আর আত্মীয়দের সাথে কাটানো অনেক ভালো মুহুর্তের সাক্ষী ছিলো দিনটি। এমন ভালো কাটুক আগামী সব ঈদের দিনগুলো। ভালো থাকবেন।
#cub5050 হ্যাশট্যাগটি সঠিক হয়নি। অনুরোধ করবো সঠিক ভাবে লেখার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি কমেন্ট করার জন্য। ঠিক করে দিয়েছি।
মোটামুটি ঈদের দিনটা আপনি খুব সুন্দর ভাবেই উদযাপন করেছেন। ঈদের নামাজ পড়ে এসে ঘুমিয়েছেন। আসলে কোরবানির ঈদের সময় এমনিতেই অনেক কাজ থাকে। আপনি শান্তির ঘুম ঘুমিয়েছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। ভালো ভালো খাবার দেখলে খিদে এমনিতেই বেড়ে যায়। তার সাথে আবার আপনি আপনার পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। ধন্যবাদ ঈদের দিনে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।