Better Life with Steem|| The Diary Game|| 15th June 2024
ঈদ প্রায় চলে এসেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বছরের দুটি ঈদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কালকে নানী বাড়ি যাবো বলে ভেবেছি। আগে যখন দূরে থাকতাম তখন ঈদের এক সপ্তাহ আগে চলে যেতাম নানী বাসায়। এখন কাছে চলে এসেছি। তাই যে কোন সময় যাওয়া যায়।
আজকে সকালে ঘুম ভাঙলো ৯.৩০ এর দিকে। উঠে কিছুক্ষণ মোবাইল চালানোর পর ফ্রেশ হয়ে নিলাম। একটু পরে আম্মু খেতে ডাক দিল। আজকে সকালের নাস্তায় ছিল রুটি, ঢেড়স ভাজি এবং কলা। আমার ঢেড়স ভাজি মোটামোটি ভালোই লাগে। তাই তৃপ্তি করে খেলাম। একটু পড়ে আম্মু বললো কাল তো নানী বাড়ি চলে যাবো তাই একটু বাজার করে নিয়ে আসতে।
যেই কথা সেই কাজ। বাজারের লিস্ট করে দিল আম্মু। বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের বাসা থেকে বাজারে যাওয়ার রাস্তাটায় কাজ চলছে। তাই রিকসায় গেলে ঘুরে যেতে হবে। সেখানে ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা দিতে হবে তাই ভাবলাম হেঁটেই যাই। আসার সময় রিকসায় আসবো। বাজারে গিয়ে দেখলাম প্রচুর ভীড়। যেহেতু ঈদের বাজার তাই মানুষের ভীড়ও অনেক। মুদি দোকানে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সিরিয়াল পাওয়া গেল। ঈদ মানেই রান্না- বান্নার বড় একটা বিষয় আছে। সেজন্য দরকার মসলা। তাই মুদি দোকান গুলোতে প্রচুর ভীড়।
বাজার শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিব। রিকসা ভাড়া করতে গিয়ে বিরম্বনায় পড়তে হলো। রাস্তার কাজ চলছে বলে কেউ ঘুরে যেতে রাজী নয়। ৫০ টাকা ভাড়ার কথা বলেও রাজী করানো গেল না। অগত্যা হেঁটেই রওনা দিলাম। বাসায় এসে বুঝতে পারলাম এটি মোটেই কাজের ডিসিশন ছিল না। এতগুলো বাজার এই গরমের মধ্যে হেঁটে নিয়ে আসা উচিত হয়নি। খুব কষ্ট হচ্ছিল। প্রায় ৩০ মিনিটা ফ্যানের নীচে বিশ্রাম নিলাম। এরপর একটু ভালো লাগছিল।
১টা বেজে গিয়েছিল। তাই গোসল সেরে নিলাম। আম্মু খেতে দিল। দুপুরের খাবার শেষে একটু বিশ্রাম নিয়ে কমিউনিটির পোস্ট গুলোতে কমেন্ট করছিলাম। বিকালের দিকে ছাদে চলে গেলাম। গিয়েই দেখি একটি সুন্দর পাখি তারে বসে আছে। আমি জানি কাছে গেলেই উড়ে যাবে তাই দূর থেকেই ছবি তুলে নিলাম। দিনে কমপক্ষে একবার ছাদে না গেলে আমার মনই বসে না কোথাও। ছাদে বসে ঠান্ডা বাতাস খেতে খুবই ভালো লাগে।
একটু পড়ে মাগরিবের আযান দিয়ে দিল।বাসায় এসে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর একটু টুকটুকের সাথে খেলা করছিলাম। আজকে ওকে সাবান, শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়েছে আম্মু। বাইরে গেলেই ময়লার মধ্যে গড়াগড়ি করে নোংরা হয়ে যায়। আজকে তাকে খুবই পরিষ্কার দেখাচ্ছিল। সাথে সাথে শরীর দিয়ে শ্যাম্পুর গন্ধও আসছিল। একটু পর আম্মু সন্ধ্যার নাস্তা দিল। আখের গুড়ের শরবত এবং মুড়ি মাখানো। খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে। সেগুলো খেয়ে পোস্ট লিখতে বসে গেলাম। একটু পড়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো। এভাবেই কেটে গেল আমার আজকের সারাদিন।
ভাই আপনাকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ঈদ মুবারক। এবারে ঈদ যেহেতু নানি বাড়িতে করবেন তাই সকাল সকাল বাজারে গিয়েছিলেন। বাজারে যেতে আপনাকে বেশ বিরম্বনায় পরতে হয়েছিলো। কেননা রাস্তার কাজ চলছে। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছিলেন।
যেহেতু ঈদের মৌসুম চলছে তাই বাজারে অনেক ভীর ছিলো। আপনার ছবিতে সেটি স্পষ্ট। ঈদে বাজার করা সত্যি চ্যলেঞ্জিং একটি ব্যপার। আমিও প্রতিবার ঈদের বাজার করতে গিয়ে হাপিয়ে উঠি। এই গরমে তো আরো বেশি চ্যলেঞ্জিং হবে আমার মনে হয়। আপনার লিখা পড়ে সেটি বুজলাম।
যাইহোক আসার সময় বাজার নিয়ে হেঁটেই এসেছিলেন। আপনার জন্য এটি বেশ কষ্টকর হয়েছে । ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার ঢেঁড়স ভাজি ভালো লাগে তবে আমার কাছে সব থেকে আলু ভাজি ভালো লাগে। আজ মায়ের লিস্ট নিয়ে বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজার করা অনেক কষ্ট সাধ্য একটা কাজ কিন্তু ছেলে যখন হয়েছি বাজার তো সারাজীবন করতেই হবে।
আপনার বিড়ালটা তো মহা সুখে ঘুম দিচ্ছে মনে হচ্ছে তার মতো সুখি আর কেউ নয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।