Better Life with Steem|| The Diary Game|| 12th June 2024
সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। চলে আসলাম আপনাদের সাথে ডাইরি গেম শেয়ার করার জন্য। তাহলে শুরু করা যাক।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পরিবারের অনেক দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে। ছোটবেলায় সকল কাজে আব্বু-আম্মু যেরকম সাহায্য করত বড় হয়ে সব দায়িত্ব নিজেরই নিতে হয়। এটি প্রকৃতির নিয়ম। এক জেনারেশন যাবে অন্য এক জেনারেশন আসবে।
আমি গত একটা পোস্টে শেয়ার করেছিলাম আমার ছোট ভাইয়ের ভোটার আইডি কার্ড বাড়ানোর জন্য সাভার গিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের জন্য সেটি সম্ভব হয়নি। তাই সেদিন চিড়িয়াখানায় ঘুরে এসেছি। আজ আবার গিয়েছিলাম কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠি সাতটার সময়। আম্মু বলল যত তাড়াতাড়ি যাব ততই ভালো। এরপরে রোদ উঠে যাবে। আর আগে আগে কাজ মিটিয়ে ফেললে ঝামেলা কম হবে।
দ্রুত দুই ভাই রেডি হয়ে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। প্রথমে বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রিক্সায় যেতে হয়। আজকে বাসে বেশি ভিড় ছিল না। সামনের দিকে সিট পেয়েছি। মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে সাভার পর্যন্ত যেতে ঠিক কাটায় কাটায় এক ঘন্টাই লাগে। ঠিক দশটার সময় পৌঁছালাম সাভারে। বাস থেকে যেখানে নামি নির্বাচন অফিস তার পাশেই। তো সরাসরি চলে গেলাম সেখানে।
কাগজপত্র জমা দেয়ার পর ওখানকার লোক জানালো কাউন্সিলর এর কাছ থেকে সই নিয়ে আসতে হবে। যদিও কাউন্সিলরের অফিস বেশি দূরে নয় তাই চলে গেলাম সেখানে। তার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো। এগারোটার সময় কাউন্সিলর আসলেন এবং সবকিছু দেখে আমাদের কাগজের সই করে দিলেন।
আবার নির্বাচন অফিসে গেলাম কাগজ জমা দেওয়ার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ এবার সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আমরা কাগজ জমা দিতে সক্ষম হলাম। মনের মধ্যে খুব ভালো লাগছিল। এরপর জমিজমার বিষয়ক কিছু কাজ ছিল। সব কাজ শেষ করতে করতে মোটামুটি ১.০০ বেজে যায়। দোকান থেকে হালকা পাতলা নাস্তা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেই।
সাভার থেকে মানিকগঞ্জ আসার পথে নবীনগর পরে। সেখানে বাংলাদেশের অন্যতম স্থাপনা স্মৃতিসৌধ অবস্থিত। অনেকদিন হয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া হয় না। আমি আর আমার ছোট ভাই ঠিক করলাম খুব শীঘ্রই একবার স্মৃতিসৌধ ঘুরতে যাব। স্মৃতিসৌধের পাশ দিয়ে আসার সময় একটা ছবি তুলে নিলাম।
বাসায় আসতে আসতে প্রায় আড়াইটা বেজে গেল। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল। মাথা ধরেছিল ক্ষুধার জ্বালায়। খুব দ্রুত গোসল সেরে নিই। তারপর ভাত খেতে বসি। খাওয়ার পড়েও দেখি মাথা ব্যথা যাচ্ছে না।
তাই একটু শুয়ে থাকি এবং ঘুমিয়ে যাই। ঘুম ভাঙে আম্মুর ডাকে সন্ধ্যা ৭টার সময়। উঠে ফেশ হয়ে একগ্লাস শরবত খাই। তারপর পড়তে বসি। টানা অনেকক্ষণ পড়ার পর রাতের খাবার খেয়ে পোস্ট লিখতে বসে গেলাম। এখন যদিও আবার ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে কিন্তু দিনে এত ঘুমিয়েছি আর ঘুম আসবে কি না জানিনা। এভাবেই আমার দিনটি কেটে গেলো।
হ্যা আপনার বিগত পোস্টে পড়েছিলাম যে ভাইয়ের ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য সাভারে গিয়েছিলেন। আপনার মা একদম ঠিক বলেছেন, যেকোনো কাজে সময় হাতে নিয়ে সকাল সকাল যাওয়াই উত্তম। আর তাছাড়া বাইরে প্রচন্ড রোদ তাই সকাল সকাল বাসা থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো ভালো। রোদের মধ্যে অনেকটা পথ গিয়েছিলেন এজন্য হয়ত মাথা ধরেছিলো। যাই হোক, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বড় ভাই হিসাবে আপনার দায়িত্ব ছিল ছোটো ভাইয়ের ভোটার কার্ড তৈরি করতে নিয়ে যাওয়া। সেই দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। এ কথাটা আপনি ঠিক বলেছেন, একটা বয়সের পর আমাদের দায়িত্ব আমাদের নিতে হয়। তার পাশাপাশি বাবা মায়ের দায়িত্ব ও সংসারের দায়িত্বও এসে পরে। আজকাল রৌদ্রের যে তাপ, তাতে বাইরে বেড়োনোই কষ্টকর। আর বাইরে বেরোনোর জন্যই আপনার মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছিল, নিজের অভিজ্ঞতার থেকেই বললাম। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন।