মন থেকে বিশ্বাস করতে পারলে সব সম্ভব
মানুষের ২টি মন আছে। একটি সজাগ মন আরেকটি অবচেতন মন। এই অবচেতন মনের উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি তার নিজ গতিতে চলে। কিন্তু এর শক্তি প্রখর। আর আপনি যখন দুই মনেই বিশ্বাস করবেন কোন কিছু তখন সে জিনিসটা আপনার কাছে ধরা দিতে বাধ্য।
চেষ্টা সকল কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চেষ্টা না থাকলে, কোন কাজ একবার করে থেমে গেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না। কিন্তু এই চেষ্টার চেয়েও বড় যে জিনিসটা তা হচ্ছে বিশ্বাস। আপনি যদি মন থেকে বিশ্বাস না করেন যে আপনি পারবেন তাহলে আপনার শত চেষ্টাও বৃথা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিজের উপর আস্থা রাখতে পারলে কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
একটি প্রবাদ আছে, "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বুহুদূর''। মানে হচ্ছে কি হবে কি না হবে তার থেকে বড় বিষয় আপনি জিনিসটি বিশ্বাস করছেন কি না। এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে বিশ্বাসের জোরেই অনেক অসাধ্য সাধন হয়ে গেছে। আপনি বড় বড় মনিষীর জীবনী পড়লে বুঝতে পারবেন তারা কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলো। অন্য সবার আগে নিজের উপরে নিজের বিশ্বাস করাটা জরুরী।
মানুষ বলে মন থেকে কিছু চাইলে তা পাওয়া যায়। কিন্তু বিষয়টা এমন না যে চাইলেই পেয়ে যাবেন। সে অনুযায়ী আপনার কাজ করে যেতে হবে। পরিশ্রম, ধৈর্যের পাশাপাশি যে জিনিস আপনার সবচেয়ে বেশী দরকার তা হলো বিশ্বাস। আমার জীবনের একটি উদাহরণ দেই, ক্লাস ৭ এ থাকতে আমি একটি কোচিং এ ভর্তি হয়েছিলাম। আমি বরাবরই খুব ভালো ছাত্র ছিলাম না। এভারেজ ছাত্রের মধ্যে পড়তাম। তো কোন এক কারণে ক্লাস ৮ এ সেই কোচিং এ আমাকে আর ভর্তি নেয়নি। আমার আব্বুও গিয়েছিলো বলতে কিন্তু তারা আর নিতে চায়নি। তখনকার সময়ে সেটি ছিলো আমাদের শহরের বেস্ট কোচিং।
মন খারাপ করে বাসায় চলে এসেছিলাম। আব্বু ডেকে বলেছিলো যে একটা ভালো রেজাল্ট করতে পারলেই এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া সম্ভব। এরপর আমাকে বাসায় একজন টিচার রেখে দিয়েছিলো। আমাদের বাংলাদেশে ক্লাস ৮ এ পাবলিক পরীক্ষা হত তখন (জেএসসি)। সারা বছর শেষে ক্লাস ৮ এ আমার রেজাল্ট আসলো জিপিএ ৫। এটি অহংকার করার মতন কোন বিষয় না। কিন্তু আমি শুধু বোঝাতে চাচ্ছি ঐ কোচিং যদি আমাকে ভর্তি নিত তাহলে হয়তো এই কাজটি হত না। আমার ভেতরে জেদটা তৈরী হত না। আমি বিশ্বাস করেছিলাম মনে মনে যে আমার দ্বারা সম্ভব। কোচিং ছাড়াই সম্ভব। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছি। পরবর্তীতে আর সেই কোচিং এ আর যাওয়া হয়নি যদিও।
বৈজ্ঞানিক এক গবেষণায় দেখা গেছে আপনি ৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে যদি বিশ্বাস করেন যে আপনার ঘুম পরিপূর্ণ হয়েছে তাহলে আপনার আর ক্লান্ত লাগবে না। অনেক মানুষ আছে রোগে যতটা না কাহিল হয় তার চেয়ে বেশী টেনশনে কাহিল হয়ে পড়ে। এর ফলস্বরূপ রোগের বিস্তার আরও বেশী ঘটে। আবার অনেকে আছে মনের জোর দিয়েই সুস্থ হয়ে উঠে। আমাদের শারীরিক সুস্থতাও কিন্তু মানসিক সুস্থতার উপরে অনেকটা নির্ভর করে।
জীবনে যে কোন কাজের ক্ষেত্রে নিজের উপর আস্থা হারালে চলবে না। পরিস্থিতি সব সময় অনুকূলে থাকবে না এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও লেগে থাকতে হবে। তাই সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।
সত্যি ভাই আপনার পোস্টের টাইটেলটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
একজন মানুষের সবথেকে বড় শক্তি হলো আত্মবিশ্বাস। একজন মানুষ যদি নিজের ভিতর আত্মবিশ্বাস রেখে কোন কাজ করতে চায়। সেটা যেভাবেই হোক না কেন সম্ভব হবে।
আপনার পোস্ট পড়ে যাবো বুঝতে পারলাম আপনি তেমন ভালো ছাত্র ছিলেন না। যার কারণে আপনাকে কোচিং এ ভর্তি নেয়নি। এখান থেকে আপনার পড়াশুনার প্রতি একটা জেদ তৈরি হয়ে গেছিল। সেখান থেকে আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন। এটাই তো হলো নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস।
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার এই লাইনগুলো আমি পড়ছিলাম আর ক্লাস ফাইভ এর পরে আসা একটি গল্পের ভেতরে সেই লাইনগুলো আমার বারবার মনে পড়ছিল। এটা সবারই জানা দুটো লাইন সেটি হল চেষ্টার কোন বিকল্প নাই ।একবার না পারিলে দেখো শতবার কেন পারিবে না তাহা বড় বার বার।
নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকলে অবশ্যই সে সফল হবেই শুধু সময়ের অভাব ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞানমূলক একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
মানুষের মনের জোর একটা বিশাল ব্যাপার। অনেক কিছুই করা সম্ভব এই মনের জোড়ের দ্বারা। আমার পরিচিত এক ক্যান্সার রোগীকে ডাক্তার অনেকটাই আশা ছেড়ে দিয়েছিলো কারণ তার শরীর কোনো ওষুধই গ্রহণ করতে ছিল না। একদিন নাকি তার মনে হলো আমাকে বাঁচতে হবে। অনেক কিছু করার আছে আমার। তার পরের দিন থেকেই নাকি তার শরীরে ওষুধ কাজ করতে শুরু করলো।
আল্লাহর রহমতে সে সুস্থ আছে এখন অনেক বছর ধরে। এটা তার মনের জোর থেকেই হয়েছে।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।
ভাই, অনেক ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি। কারণ লেখাতে আপনি আত্মবিশ্বাসকে প্রাধান্য দিয়েছেন। পাশাপাশি আপনার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে নিজের প্রতি আস্থা থাকলে যে সব কিছু জয় করা সম্ভব সেটা তুলে ধরেছেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি শিক্ষনীয় বিষয় আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাই সত্যি যদি মন থেকে কাউকে বিশ্বাস করা যায় তাহলে সে হাজারো মিথ্যা বললেও সেটা বিশ্বাস মনে হয়।। আজকে আপনি খুবই শিক্ষনীয় একটি পোস্ট করেছেন ভাই পড়ে খুবই ভালো লাগলো।।