ছোট কবিতা: আমার বড় ইচ্ছে করে
আমার বড় ইচ্ছে করে
আকাশ কালো, বাতাস ঝড়ো, ঝুমঝুমাঝুম বৃষ্টি
একটু ভয়, একটু মজা, কি অপরূপ সৃষ্টি
বৃষ্টিভেজা শৈশব আর কাদাঁমাটি মাখতে
আমার বড় ইচ্ছে করে তোমার সাথে থাকতে।
হাড় কাঁপানো শীতের রাতে, ভাপ উঠানো পিঠা
খেঁজুর রসে মাতলো দেশ, মুখটি হলো মিঠা।
শিশিরভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটতে
আমার বড় ইচ্ছে করে তোমার সাথে থাকতে।
নতুন রূপে, নতুন প্রাণে বসন্ত এলো বুঝি
রঙিন হলো বৃক্ষ সকল, প্রিয় ফুলটি খুঁজি
ঐ বোধহয় গলা উঁচিয়ে উঠলো কোকিল ডাকতে
আমার বড় ইচ্ছে করে তোমার সাথে থাকতে।
আমি কোন কবি নই। আমার কবিতা লেখার কোন অভ্যাসও নেই। কিন্ত আজ হঠাৎ কেন যেন মনে হলো প্রকৃতি নিয়ে একটি কবিতা লেখাই যায়। আজকে আমাদের এখানে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে ঘরে বসে বসে কয়েক লাইন কবিতা লিখে ফেললাম। আমি আগেই বলেছি প্রকৃতি নিয়ে আমার ভালো লাগার কথা।
আমার এই কবিতায় মূলত ৩টি ঋতুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটিই আমার খুব পছন্দের। আমি যে ঋতুর পরিবর্তনের মধ্যে আমার ভালোলাগাগুলো খুঁজে পাই তারই একটি ছোট বহিঃপ্রকাশ। বর্ষার সময় বৃষ্টির যে প্রভাব দেখা যায়। একটু পর পরই আকাশ কালো করে মেঘ হয় এবং ঝুমঝুম বৃষ্টি। অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। তখন বাইরে গিয়ে কাজ করা যদিও অনেক কষ্টসাধ্য কিন্তু যারা ঘরে থাকেন তাদের জন্য খুবই উপভোগ্য। অথবা যারা বৃষ্টিতে ভিজতে পছন্দ করেন তাদের জন্য তো কথাই নেই। ছোট বেলায় ইচ্ছে মতন ভিজতাম। চোখ লাল করে বাসায় আসতাম। তেমন কিছুই হত না। কিন্তু এখন একটু ভিজলেই যেন জ্বর চলে আসে।
পরের অংশে শীতকালের একটি ব্যাখ্যা আছে। শীতকালের কথা শুনলেই সর্বপ্রথম আমার মাথায় যে কথাটি আসে তা হলো পিঠা। বাঙালির ঐতিহ্যে কত রকম মুখোরচক পিঠা যে রয়েছে তার হিসাব নেই। আর তাছাড়া এটি আমার প্রিয় ঋতুও বটে। গরমকাল আমার ভালো লাগে না। শীত কালের আরেকটি অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে খেঁজুরের রস। একটি অমৃত পানীয়। বছরে খুবই কম সময়ের জন্য আমাদের মাঝে থাকে শীতকাল। কিন্তু এর আনন্দটা অনেক বেশী।
সর্বশেষে যে ঋতুর কথা বলেছি তা হলো বসন্তকাল। শীতের শেষে এটি আমাদের মাঝে আসে। প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটে। গাছে নতুন পাতা আসে। ফুল ফোটে। শীত আর গরমের মাঝামাঝি এই সময়টার আবওহাওয়াও ভালো থাকে। না বেশী শীত না বেশী গরম। অতিথি পাখিরা যারা তীব্র শীতের কারণে আমাদের দেশে এসেছিল তারা তাদের দেশে ফিরে যায়। বসন্তের সাথে যে পাখিটির নাম অতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তা হলো কোকিল। সুকন্ঠী এই পাখিটি ডাকলেই বোঝা যায় বসন্ত এসে গেছে।
৬ ঋতুর দেশ বাংলাদেশ হলেও ধীরে ধীরে এর ঋতু বৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এখন আর সব ঋতু বোঝা যায় না। বর্ষাকালের বৃষ্টি হয় শীতকালে। গরমের মাত্রা হয়ে যায় অসহনীয়। আমাদের আবাস্থল পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও আমাদের। তাই যার যার অবস্থান থেকে এ বিষয়ে কাজ করা উচিত।
অসাধারণ হয়েছে আপনার এই ছোট্ট কবিতাটি কবিতার মাঝে অনেক কিছু বোঝার আছে। যাইহোক আপনার তিনটে ঋতু ভালো লাগে এটা আপনার পোস্টে আপনি উল্লেখ করেছেন এবং আমরা জানতে পেরে আসলে আনন্দিত। বর্ষাকাল কমবেশি অনেক মানুষ পছন্দ করে আবার অনেক মানুষ পছন্দ করে না। এটা তাদের নিজস্ব ভালোলাগা এবং এটা ঠিক যে বর্ষাকালে আকাশের রং কালো হয়ে আসে এটি অনেক মানুষ উপভোগ করে এবং পছন্দ করে।
যাই হোক আপনার ভালো লাগা আপনার বড় ইচ্ছে করে ছোট্ট একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রথমেই বলবো আপনার লেখা কবিতাটি খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি কবিতাটি লেখার মাধ্যমে একদম বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। কবিতায় আপনি পছন্দের তিনটি ঋতুর কথা উল্লেখ করেছেন।
আসলে ছোটবেলায় পুকুরে বা নদীতে গোসল করতে গেলে বা বৃষ্টিতে চোখ লাল করে বাসায় ফিরতাম। কিন্তু এখন একটু ভিজলেই জ্বর চলে আসে।
শীতকাল কম বেশি সবাই পছন্দ করলেও বর্ষাকাল সবাই পছন্দ করে না। বিশেষ করে যে মানুষেরা ক্ষেতে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে বর্ষাকালে কাজ করা একটু কষ্ট হয়ে যায়।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।