বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাংলা ভাষার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে, চলুন শুরু করা যাক।
Source
বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের মুখের ভাষাকে মায়ের ভাষা বলে থাকি। আমাদের মায়ের মুখে শোনা কথাগুলো আমরা শিখে থাকি, কারন আমাদের মা সর্বপ্রথম আমাদের ভাষা শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
আমাদের বাংলা ভাষা অতি প্রাচীন ভাষা। আমাদের বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আমাদের ভাষাবিদ, পন্ডিত বর্গ নানা বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন।
আমাদের ভাষা অতি প্রাচীন হওয়ার সঠিক ভাবে উৎপত্তির সুস্পষ্ট বর্ণনা করা এবং ক্রমবিকাশের নির্দশন এখানো পাওয়া যায় নি। আমাদের সম্মুখে এ পর্যন্ত যা আবিস্কৃত হয়েছে তা অত্যন্ত সামান্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
Source
আমাদের প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় আমাদের মায়ের ভাষা অতি প্রাচীন। আজকের এই ভাষা অতীতে এরুপ ছিলো না। আমাদের ভাষাতত্ত্ববিদ মনীষীদের নানা বিষয় গবেষণা ও আবিস্কারের মাধ্যমে সামান্য সংক্ষিপ্ত বিষয়ের গুরুত্ব পাওয়া গিয়েছে।
আমাদের ভাষার উৎপত্তি কত সালে বা কখন এই ভাষায় প্রচলন শুরু হয়েছে। সঠিক ভাবে কোনো ভাষাবিদ এখন পর্যন্ত বলতে পারে নি, কেবল মাত্র ধারণা করা হয়েছে।
আমাদের কোনো কোনো ভাষাবিদের ধারণা সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি। আবার কোনো ভাষাবিদ বলেছেন এই সংস্কৃতি ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয় নি। কারো কারো ধারণা মতে অভিজাত শ্রেণির সাহিত্যের ভাষাছিলো সংস্কৃতি।
তৎকালীন সময়ে আমাদের এই অঞ্চল ছিল বঙ্গ ভূমির অধিনে। তৎকালীন সময়ে আমরা আজ যেরুপ বাংলা ভাষায় কথা বলছি,,, আমাদের ভাষা এরুপ ছিলো না।
আমাদের এই ভাষা আমাদের সবার পরিচয় বহন করে। মানুষ অন্য অন্য প্রাণী থেকে আলাদা হওয়ার কারন মানুষ মনের ভাব প্রকাশের জন্য ভাষা ব্যবহার করে। যা অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে নেই।
Source
তবে একটি কথা না বলেই নয়, মানব সভ্যতার আদিলগ্নে আমাদের ভাষা এখন যেমন আছে এরুপ ছিলো না। তারা মনের ভাবগুলো প্রকাশের জন্য নানা বিষয় নানা মাধ্যম আকার, ইঙ্গিত ব্যবহার করতেন।
তৎকালীন সময়ে আমাদের পূর্ব পুরুষ ইশারা, ইঙ্গিত এর মাধ্যমে তাদের সুখ, দুঃখ ইত্যাদি ইশারার মাধ্যমে উপস্থাপন করতেন।
কালের বিবর্তনে মানুর তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে মাধ্যম ব্যবহার করেন তার নাম হচ্ছে ভাষা। আমাদের এই ভাষা হচ্ছে অতি প্রাচীন একটি ভাষা যা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিভিন্ন ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপিত হয়েছে।
ভাষার মাধ্যমে আমাদের সব মনের দুঃখ, কষ্ট বেদনার বিষয় গুলো সবার মাঝে উপস্থাপন করতে পারি।
একমাত্র আমাদের মুখের ভাষার জন্য আমরা অন্য অন্য প্রাণী থেকে আলাদা। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
Source
মানুষের মনের ভাব প্রকাশের যে বৈশিষ্ট্য আছে, যা অন্য কোন প্রাণিকুলের মধ্য নেই। আমাদের ভাষা আমাদের কাছে শ্বাস-প্রশ্বাস এর মতোই সহজ ও স্বাভাবিক।
ব্যাকরণ এর ভাষায় আমাদের মাতৃভাষা সাথে শরীর ও মনের সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ভাষা কিন্তু জন্ম সূত্রে পাপ্ত হয় না। আমাদের জন্ম নেওয়ার পড়ে আমাদের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে বিভিন্ন ভাবে আমরা ভাষা আয়ত্ব করে থাকি।
আমাদের ভাষা গুলো আয়ত্ব করে নেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তা হলো আমাদের শ্রবণ শক্তি। আমাদের শ্রবন শক্তি এবং বাকশক্তি সমন্বয়ে আমাদের মায়ের ভাষাকে আয়ত্ব করতে পারি।
আপনারা একটু খেয়াল করবেন, প্রথমে কিন্তু আমরা মুখের মাধ্যমে সরাসরি ভাষা প্রকাশ করতে পারি না।
আমাদের ভাষা আসে মনের দিক থেকে, প্রথমে আমাদের মনের ভিতর কোনো বিষয় এর প্রতি আশা-আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয় পড়ে তা আমরা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি।
Source
আমাদের এই ভাষা আজ যেমন আছে অতীতে এমন ছিলো না। আমাদের ভাষা হচ্ছে বহমান নদীর পথ চলার মতোই অর্থাৎ নদী যেমন তার বাঁকে বাঁকে সামনের দিকে এগিয়ে চলে আমাদের ভাষা তেমনি অতীত থেকে নানা বিষয় এগিয়ে চলছে।
আমাদের এই মুখের ভাষা কবে কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে তার সঠিক তথ্য আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি।
তবে সভ্যতার ক্রমবিবর্তনে ভাষা পরিবর্তন হয়েছে।
আমাদের আদিবাসী যেভাবে নিজেদের উপস্থাপন করতো মাটির টালিতে খোদাই করে,গাছে আচঁর টেনে, বিভিন্ন দৃষ্টি বঙ্গী ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতো।
আমাদের বর্তমান টেকনোলজির যুগে ভাষা গুলো বেশ পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আচার-আচরণের পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাষাগুলো বেশ পরিবর্তন হয়েছে।
আমাদের এই মুখের ভাষা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখলে দেখতে পাবো রুপতাত্ত্বিক পরিবর্তন ধ্বনি তাত্ত্বিক পরিবর্তন।
আমাদের মাঝে ভাষার এই দুটি পরিবর্তন বেশ লক্ষ্য করা যায়। আশা করি এই দুটি পরিবর্তন সম্পর্কে সবাই সচেতন আছেন।
আমাদের অঞ্চল ভেদে একই ভাষার বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন উদাহরণ দিয়ে যদি বলি রংপুর অঞ্চলে একটি কথা বলে , বৃষ্টি আইছে বাহে মুই দৌড়ে বাড়ি গেনু।
Source
এই একই কথা আমরা যদি বলি, বৃষ্টি আসতে দেখে বাড়ি গেলাম। আবার একই কথা চট্টগ্রামবাসী বলেন বৃষ্টি আইতাছে দেখিয়া আমি এক দূরে বাড়ি আইলাম।
অর্থাৎ একই ভাষা আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করে সবার মাঝে উপস্থাপন করে থাকি।
বাংলা ভাষার যুগ বলতে আমরা সবাই জানি প্রাচীন যুগ, সন্ধি যুগ, মধ্যযুগ,এবং আধুনিক যুগ। আমরা সবাই এই চারটি যুগ সম্পর্কে অবগত আছি।
প্রিয় বন্ধুরা, আমার লেখার বিষয়বস্তু এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Thank you
নিঃসন্দেহে দারুন একটি শীর্ষক আপনি নির্বাচন করেছেন। তবে যেহেতু ভাষা সম্পর্কিত তথ্য, তাই আর একটু সূক্ষ্ম নজরে দেখলে বেশি ভালো হতো।
ভাষাতত্ত্ববিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, এই দুই জন বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত অধ্যয়ন করলে বাংলা ভাষা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া বাংলা ভাষার প্রাচীন যুগ ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু। সুতরাং এটাও সঠিক বলা যায় না যে কোনো উৎপত্তির সঠিক সময় নেই।
অবশ্যই দিদি, আমার সূক্ষ নজর রাখা উচিত ছিল। সামনে এরুপ আর হবে না ইনশাআল্লাহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য।