জ্ঞান অর্জন আমাদের ধন অর্জনের চেয়ে ও মহাত্তম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
হ্যালো বন্ধুরা,, আশা করি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। চলুন শুরু করা যাক।
আমাদের মানব জীবনে জ্ঞান ও ধন এই দুইটি অতিগুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা জ্ঞানার্জনের জন্য স্বদেশ হতে অন্য দেশে বা দেশের ভিতরেই জ্ঞানের সন্ধানে ফিরে তারাই হচ্ছে জ্ঞানী।
আর পক্ষান্তরে যারা ধন অর্জনের জন্য দেশে বিদেশে ভ্রমন করছেন বা সম্পত্তি তথা ধন আরোহন করছেন তারা হচ্ছেন ধনী। এখানে মনে রাখবেন জ্ঞান অর্জন একটি জিনিস। ধন অর্জন আরেকটি জিনিস। দুইটি একে-অপরের সাথে মিল থাকলে ও কাজ কিন্তু আলাদা আলাদা।
আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো জ্ঞান অর্জন মহত্তর না ধন অর্জন। আমরা অনেকেই শুধুমাত্র ধন অর্জন করার জন্য উঠেপড়ে লেগে থাকি। আজ আমি তাদের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করব। আশা করি তারা অনেক উপকৃত হবেন।
Source
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক লোক আছে যাদের কিনা সম্পত্তির অভাব নেই। কিন্তু তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞানের অভাব রয়ে গিয়েছে। জ্ঞানহীন মানুষের দিকে নজর রাখবেন তাদের অঢেল সম্পত্তি থাকা সত্বেও একসময় তারা সম্পদহীন হয়ে যায়।
অনেক সময় দেখতে পাবেন জ্ঞানহীন মানুষ সম্পদশালী হলে আমাদের সমাজের জন্য তথা দেশের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার দ্বারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পক্ষান্তরে জ্ঞানী লোক যদি সম্পদশালী হন তাহলে সেই সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। সম্পদ কোন পথে ব্যয় করলে দেশ ও সমাজের জন্য উন্নয়ন হবে। সমাজ ও একটি দেশকে উন্নয়নের জন্য সার্বিক ভূমিকা পালন করতে পারেন জ্ঞানী সম্পদশালী লোক।
Source
জ্ঞানীর হাতে সম্পদ দেওয়া হলে তিনি সুন্দরভাবে সেই সম্পদ খরচ করতে পারেন। কারণ জ্ঞানী লোক সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সর্বদা উন্নয়নের ভূমিকা রাখবেন।
কোন পথে সম্পদ ব্যয় করলে সম্পদ এর সদ্ব্য ব্যবহার করতে পারবেন এবং কোন পথে সম্পদ এর অসদ্ব ব্যবহার হবে একজন জ্ঞানী লোক অনেক ভালো ভাবে বুঝেন।
পক্ষান্তরে একজন ধনীকে সম্পদ এর ভান্ডার দেওয়া হলে ও তিনি সম্পদ এর সদ্ব্যবহার করতে পারবেন না। কারন তিনি জ্ঞানহীন।
আমরা সবাই জানি ধনী, জ্ঞানীর মর্ম কখনো বুঝতে চাইবে না। শুধুমাত্র ধনী আলোকৃত মনের অধিকারী নন। আর হবেন নি বা কেমন করে তার ভিতর জ্ঞানের বিকাশ নেই।
একজন সম্পদশালী জ্ঞানী লোক একটি সমাজকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। কিন্তু জ্ঞানহীন লোক সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতির কারন।
জ্ঞানী লোক ধন ও জ্ঞান দুটির সঠিক ও সদ্ব্য ব্যবহার করতে পারেন এবং দুটি তার জন্য কল্যানকর। জ্ঞানী লোক উভায় সঠিক ও উপযুক্ত ব্যবহার করে থাকেন।
সেজন্য বলে জ্ঞান অর্জন ধন অর্জনের চেয়ে মহাত্তর। আমরা সবাই জানি ধন ও জ্ঞান আমাদের সবার প্রয়োজন। একটি অপরটি ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে হয় আমার কাছে।
আমার কাছে মনে হয় ধনী এবং জ্ঞানী আমাদের উভায়ের প্রয়োজন রয়েছে। যদি উভায়ের মধ্যে তুলনা করা হয় তাহলে কিন্তু জ্ঞানী বা জ্ঞানার্জন বেশি দরকার।
আমাদের সমাজে জ্ঞানী লোকের কদর কিন্তু অনেক বেসি। আর আমাদের এই জ্ঞান অর্জন সাধারণত বিভিন্ন পদ্ধতি হতে আরোহন করতে পারি। প্রথম পদ্ধতি হলো বই পড়া,, বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।
এজন্য আমাদেরকে বিভিন্ন মণীষীর বই পড়া দরকার,,,এজন্য মণীষীগন বলেন একটি মাছির চর্তুদিকে চোখ বসানো থাকে। তেমনি জ্ঞানী লোকের অনেক অনেক চোখ আছে যার মাধ্যমে সারা বিশ্ব দেখতে পায়।
কথাটি ছোট হলেও এর পরিধি অনেক বড়। আমাদের মনের চোখ গুলো বাড়ানো বা কমানো সম্পূর্ণ আমাদের হাতে।
আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন জ্ঞানও বিজ্ঞান আয়ত্ত করা। আমরা জ্ঞান বিজ্ঞান আয়ত্ত করতে পারলে আমাদের মনের চোখ ততই বৃদ্ধি পাবে।
বই পড়ে আমরা ধনী গরিব সবাই জ্ঞান অর্জন করতে পারি। জ্ঞান অর্জন আমাদের আরো কয়েক ভাবে অর্জন করা সম্ভব তা হলো ভ্রমণ করে। ভ্রমণ আমাদের সবার করার সার্মথ্য না থাকলে ও বই পড়ে জ্ঞান অর্জনের সার্মথ্য সবার আছে।
Source
জ্ঞান অর্জনের জন্য আমাদের বই হলো চেষ্ঠ পন্থা। জ্ঞান অর্জন করতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
বই আমাদের সবার জীবনের জ্ঞানের ধারক এবং বাহক। বই আমাদের অধিকাংশ মানুষের নিঃসঙ্গ জীবনের সঙ্গি বা পরম বন্ধু।
আমাদের পৃথিবীর আনাবিল সৌন্দর্য এবং নানা নিদর্শন দেখে উপভোগ করার জন্য প্রয়োজন হলো জ্ঞান। জ্ঞানহীন মানুষ তার চার পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে না। কারণ তাদের মনের চোখ নেই।
কোনো কিছু সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞান। যার যত জ্ঞানের গভীরতা বেশি তার ততো পৃথিবীর আনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করার ক্ষমতা বেসি।
Source
আমাদের জ্ঞানের চোক্ষুকে উন্মোচিত করতে না পারলে আমাদের পক্ষে সুন্দর পৃথিবীর সুখ- সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব নয়।
আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই দুইটি করে চোখ মহান আল্লাহতায়ালা দিয়ে দিয়েছেন। আর আমাদের পাঠ্যজ্ঞান অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের অসংখ্য চোখ সৃষ্টি হয়।
Source
মানব জীবনের সব দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা যন্ত্রণা এড়ানোর প্রধান উপায় হলো মনের ভিতরে আপন ভুবন সৃষ্টি করা। যেন কঠিন বিপদের মাঝে নিজের আপন ভুবন মাঝে পরিত্রাণ এবং স্বস্তি লাভ করা যায়।
এজন্য আমাদের প্রয়োজন অধিক জ্ঞানের অধিকারী হওয়া। যেন কঠিন বিপদে স্বস্তি লাভ করা যায়।
Source
আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত যে আমাদের পার্থিব জীবন, ভালোবাসা, যৌবন, এবং ধন সম্পদ সবই কিন্তু নশ্বর বা একদিন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু জ্ঞান আমাদের সবার জন্য অবিনশ্বর না কেউ নিতে পারবে, না কেউ ভাগ চাইবে।
আমাদের ইসলাম ধর্মের সর্বপ্রথম বানী আল্লামা বিল কালাম অর্থ আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান দান করেছেন ''কলম এর মাধ্যমে '' যার বাহন হচ্ছে বই।
প্রিয় বন্ধুরা মনের মধ্যে আপন ভুবণ আমাদের সবার সৃষ্টি করতে হবে। যেন কঠিন বিপদের মাঝে নিজের আপন ভুবনে স্বস্তি লাভ করতে পারি। আর আপন ভুবন সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্ঞান।
বন্ধুরা আমার লেখা এখানে শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
একদমই ঠিক বলেছেন,, জ্ঞানী ব্যক্তি যেমন সমাজের ভালো কাজ করে! ঠিক তেমনি তিনি তার পরিবারের জন্য একজন,,, উত্তম মানুষ হিসেবে নির্বাচিত হন।
একজন জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে যেমন সমাজের দায়িত্ব দিলে! সে সমাজ অনেকটা উন্নতির শিখরে গিয়ে পৌঁছায়! ঠিক তেমনি দেশের একজন জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে,,, দেশের দায়িত্ব দিলে! সেই দেশটা অনেক উন্নত করে।
আপনার পোস্ট করতে গিয়ে নিজেকে অনেকটা ছোট মনে হচ্ছিল! মনে হচ্ছিল আমি কিছুই জানিনা! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,, এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু,,,পোস্ট পড়ে যর্থাযত মন্তব্য করার জন্য।