উপস্থিত বক্তৃতা কিভাবে দিতে হয়।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বক্তৃতা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
Source
প্রিয় বন্ধুরা বক্তৃতা দিতে আমরা সবাই পছন্দ করি এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই বক্তৃতা আমরা কিভাবে শুরু করবো এই বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমরা অনেকেই ধারণা রাখি না।
Source
বক্তৃতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগে আমাদের সূক্ষ্মভাবে ধারণা নিতে হবে। বক্তৃতা হলো আমাদের কোন বিষয়বস্তু সম্পর্কে শ্রুতি মধুর নিয়ম মেনে স্বাবলম্বী ভাষাকে বক্তৃতা বলে।
কোন বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য দিতে হলে সে বিষয় সম্পর্কে আগে অবগত থাকতে হবে। তাহলে আমাদের বক্তব্য অনেক সুন্দর হবে আশা করি।
আমাদের কোন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাগত দর্শক ও শ্রোতাদের সম্মুখে কোন বিষয়বস্তু নিয়ে সবার মাঝে আলোচনা করাকে আমরা ভাষণ বা বক্তৃতা বলে থাকি।
আমরা যারা বক্তব্য সবার মাঝে উপস্থাপন করি,,তারা সব সময় চায় শ্রোতাদের আকৃষ্ট করে তুলতে তার দিকে যেন নজর থাকে এবং তার বক্তব্য যেন সবাই সুন্দরভাবে শ্রবণ করে।
Source
আমাদের প্রয়োজন শুদ্ধভাবে ভাষার শ্রুতি মধুর কন্ঠে শ্রোতার মাঝে উপস্থাপন করা। আমাদের বক্তা হতে হলে বিশেষ গুণের অধিকারী হতে হবে।
সুন্দর এবং গুছিয়ে কথা বলার অধিকারী হতে হবে। সবার মাঝে কথা বলতে পারাটা ও বিশেষ গুন। এমন অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে যারা দশের ভিতর কথা বলতে পারে না,,,
শুধু মাত্র শিক্ষিত মানুষ হলে যে একজন সু-বক্তা হতে পারবে বিষয়টি এমন নয়। এমন অনেক মানুষ আছে যারা শ্রুতি মধুর কন্ঠে প্রতিধ্বনিত করে তোলে শ্রোতাদের।
শ্রোতারা ও দারুণভাবে বক্তার কথা গুলো শ্রবণ করে। কারণ তারা অনেক সুন্দর ও শ্রুতি মধুর কন্ঠে অনেক জ্ঞানমূলক কথা সবার মাঝে উপস্থাপন করে থাকে।
Source
আমাদের বক্তা হতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও শ্রুতি মধুর কন্ঠে শুদ্ধ ভাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
আমাদের বক্তৃতার মাঝে অনেক ইতিহাস, হাসি, ঠ্যাট্রা, দুঃখ বেদনা অর্থাৎ আমাদের সব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
আমার জীবনের এক বাস্তব বিষয় আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আমি যখন স্কুল লাইফ থেকে ইন্সটিটিউট লাইফে পা রাখলাম তখন সময় আমার অনেক ভালোই যাচ্ছিল।
ইন্সটিটিউট লাইফ বেস কিছু দিন পার করার পর, শুরু হলো আমাদের ব্যবহারিক ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা।
প্রথম ব্যবহারিক পরীক্ষায় আমাদেরকে প্রতিষ্ঠানের সমস্ত গাছ-গাছালি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিষয়ে আমাদেরকে শিখিয়ে দিলেন এবং প্র্যাকটিক্যাল করিয়ে নিলেন।
যথারীতিতে পরের সপ্তাহ আমাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায়, উপস্থিতি বক্তৃতা সবাইকে দেওয়ার জন্য আহ্বান করলে আমাদের ইনস্টিটিউটের শিক্ষক।
সবাইকে দিতে হবে উপস্থিতি বক্তৃতা বাধ্যতামূলক, আমি উপস্থিতি বক্তৃতা এর আগে কখনো দেইনি। আমাদের বক্তৃতার সময় ছিল জাস্ট ফাইভ মিনিট।
আমি এর আগে কখনো কোনদিন বক্তব্য দেইনি। কিন্তু আমাকে সর্বপ্রথম আমাদের ইনস্টিটিউটে বক্তব্য দিতে হচ্ছে সবার মাঝে।
এই বক্তব্য ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন একটি মুহূর্তের মধ্যে একটি। সবার মাঝে বক্তব্য দিতে পারাটা যে কতটা কঠিন,, তা আমি সেই মুহূর্তে হারে হারে টের পেয়েছিলাম।
আমার বক্তব্য সময় ছিল জাস্ট ফাইভ মিনিট। আমার বক্তব্যের বিষয়টি ছিল নিজের সম্পর্কে কিছু বলা। কিন্তু আমি নিজের সম্পর্কে মাত্র তিন মিনিট ও বলতে পারলাম না সবার মাঝে।
আমার কাছে সেই মুহূর্তটি কতটা কষ্টের ছিল তা আমি বলে কিংবা লিখে আপনাদের মাঝে শেষ করতে পারবো না। তবে সেদিন থেকে কিছু যেত মনের ভিতর তৈরি হয়েছিল। আমি আর কিছু হতে পারি বা না পারি বক্তব্যটা সবার মাঝে দেওয়া আমাকে শিখতেই হবে।
আমাদের বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে বেশি। যেমন শ্রোতা, বক্তা, নির্দিষ্ট বিষয় বা সময়।
Source
বক্তৃতা দিতে হলে শ্রোতার উদ্দেশ্যে কি বক্তৃতা দেবো। সে বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ শ্রোতার যদি ভালো না লাগে সে বিষয়টি, সেজন্য শ্রোতার মন অনেক সময় বুঝে নিতে হবে। এমন কিছু তাদের উদ্দেশ্য বলতে হবে যেন তাদের উপকারে আসে।
আর বক্তার উচিত হবে নিজের ভাষাকে স্পষ্টভাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে হবে। অনেক সময় আমরা আঞ্চলিক ভাষা প্রবেশ করাই আমাদের আলোচনার ভিতর এজন্য অনেক শ্রোতা বুঝতে পারেনা।
বক্তব্য দেওয়ার সময় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো নির্দিষ্ট বিষয় ও সময় নির্ধারণ করা। নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর আলোচনা করলে সেই আলোচনা অবশ্যই ভালো হবে বলে আশা করি। আর সময়ের প্রতি গুরুত্ব রেখে আলোচনা করতে হবে।
কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে শ্রোতার কাছে গ্রহণ যোগ্য করে তোলা এবং ইস্যু কোন পদক্ষেপের পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থন করাই বক্তৃতার মুখ্য উদ্দেশ্য হতে হবে।
আর বক্তৃতার ভাষা সহজ, সাবলীল হওয়া আবশ্যক এ বিষয়গুলো খেয়াল রেখে আমাদের বক্তৃতা দেওয়া উচিত।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বক্তার বক্তব্যর শুরু শেষ অত্যন্ত চমৎকার বা আকর্ষণীয় হতে হবে।
বক্তব্যের বিষয়বস্তু বিভিন্ন অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশ আকর্ষণীয় হতে হবে। এই বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
বক্তার নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে যাতে শ্রোতার ধৈর্য চ্যুতি না ঘটে। বক্তার শুরুর সাথে শেষের মিল থাকতে হবে। আমাদের উচ্চারণের দৃষ্টিভঙ্গি বিশুদ্ধ এবং স্পষ্ট হতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা আমার লেখার বিষয়বস্তু এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
Un gusto leerte amigo con este tema tan interesante como es cómo prepararlo para un discurso pienso que tal vez con el tiempo se pierde el miedo escénico o una pequeña sensación de nerviosismo especialmente en el estómago pero el realizar varias técnicas como las mencionaste son muy buenas pues te ayuda a tener el control de la situación y de esta forma tendrás confianza en ti mismo, gracias por tus valiosas palabras.
Muchas gracias por tu bonito comentario. Y sí, al principio no podía dar ningún discurso delante de la gente.
Alhamdulillah, ahora puedo decir cualquier cosa delante de la gente. Muchas gracias y mantente saludable.
Amigo nos has dejado a través de tu publicación uno tips muy buena que podemos implementar al momento de dar un discurso pero te confieso no es fácil hablar delante de mucha gente pero si tenemos claro de lo que vamos a decir en el proceso del discurso uno se va sintiendo como más confianza y los nervios van fluyendo. Gracias por compartir. Saludos y bendiciones.🤗
Thank you so much, ❤️