Mystery behind the double murder! যুগ্ম হত্যার রহস্য! (First part!)
দেশের নাম আকাশগঙ্গা! পাহাড়ের কোলে অবস্থিত প্রবাহমান গঙ্গা বাহিত হবার জন্য দেশের এই নামকরণ করা হয়েছে;
দেশের মানুষ বিশ্বাস করত স্বয়ং মহাদেব তৃষ্ণা মেটাতে আকাশ থেকে পর্বতের চূড়া হয়ে মা গঙ্গাকে ওই দেশে পাঠিয়েছেন।
সেই দেশের রাজা ছিল, দানী এবং দেশবাসীর এক্ প্রকার বন্ধু। দেশে শান্তি ছিল সর্বত্র বিরাজমান!
যে রাজ্যে রাজা স্বপরিবারে রাজত্ব করতেন তার নাম ছিল ডমরু গড়!
রাজার ছিল দুই কন্যা অলকানন্দা এবং অভিরুপা।
একদিন এই দুই রাজকন্যার ইচ্ছে হয়েছে নগর পরিদর্শনে বেরোবে।
রাজা গেছেন শিকারে, তাই রাণী অগত্যা অনুমতি দেয়, তবে অন্ধকার হবার আগেই তারা ফিরে আসবে এই কথা নিয়ে!
সঙ্গে কাউকেই নিয়ে তারা বের হয়নি, নিজের রাজ্যে ভয় কিসের? রানীর কথা এক্ প্রকার উপেক্ষা করেই তারা দুজনে বেরিয়ে গেলো নগর পরিদর্শনে!
খানিক পথ যাবার পর তাদের রথের চাকা চালকের অসাবধানতার কারণে এক গর্তে গিয়ে আটকে পড়ে!
মাঝ রাস্তায় এমন বিপদে পড়বে তারা বুঝতে পারেনি, এদিকে রাজকন্যাদের দেখে কেউ বিশেষ সামনে যাবার সাহস দেখাতে পারছে না!
(আকাশগঙ্গা) |
---|
এরপর গাড়ির চালক কে তারা বলেন তুমি দেখো কাছাকাছি কাউকে পাও কিনা? যে চাকা তুলতে সাহায্য করতে পারে।
চালকের উপরে আদেশ ছিল রানি মায়ের মেয়েদের একলা ফেলে যেনো কিছুতেই না যায়, ছদ্মবেশে শত্রু আক্রমণ করতে পারে!
না গিয়েও উপায় নেই! কি করবে আর কিভাবে সমস্যার সমাধান করবে ভাবতে ভাবতেই একজন সুপুরুষ এসে চালক কে বললেন, যদি আজ্ঞা হয়, তিনি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
দুই রাজকন্যা সঙ্গে সঙ্গে রথ থেকে নেমে দাড়িয়ে যুবককে সাহায্যের অনুরোধ করলো।
একদিকে যুবক রথের চাকা তোলার প্রয়াস করছে, অন্যদিকে চালক রথটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার।
বেশ খানিক পর তারা রথকে উপরে তুলতে সক্ষম হয়, এদিকে সন্ধ্যে ঘনিয়ে রাতের অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারদিক!
নিজেদের মহল পৌঁছনো কিছুতেই সম্ভব নয় সঙ্গে দুই রাজকন্যা রয়েছে।
চালক যুবকের থেকে জানতে চাইলো, কাছে কোনো সরাইখানা আছে কিনা!
উত্তরে যুবক বলল, জানি আপনাদের মহলে থাকার অভ্যেস, তবে যদি আজ রাতে এই গরীবের কুটিরে আশ্রয় নেন, তাহলে আমি এবং আমার মা ধন্য হবেন।
বাড়িতে মহিলার উপস্থিতি আছে জেনে, আর যুবক এত বড় বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে এই বিশ্বাসে তারা সঙ্গে যেতে সম্মত হয়।
ওই স্থান থেকে যুবকের বাড়ি খুব একটা দূরে নয়, তারা পৌঁছনোর সাথে সাথে ঘরের মধ্যে থেকে মাঝ বয়সী মহিলা বেরিয়ে এসে উপস্থিত!
সমস্ত ঘটনা শুনে যুবকের মা তাদের সসম্মানে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে বসতে দিলেন, এবং বললেন, আমরা গরীব মানুষ আমাদের বাড়িতে কখনো এদেশের রাজকন্যার পদধূলি পড়বে ভাবতেই পারিনি!
ঘরে তো বিশেষ কিছু নেই, ছেলেকে বলি বাজার থেকে কিছু নিয়ে আসতে আমরা যা খাই, সেসব আপনারা খেতে পারবে না!
(নগর পরিদর্শন) |
---|
তবে, মুশকিল বাজার এখান থেকে বেশ খানিক দূরে!
রাজকন্যারা চালক কে ডেকে বললেন রথে করে যুবককে বাজারে নিয়ে যেতে আর একটি স্বর্ণ মুদ্রা দিয়ে বললেন, 'এটি দিয়ে উনি যা কিনতে চায় কিনে নিয়ে এসো,' আমরা তো এখন একলা নেই, তাই অসুবিধা হবে না।
এরপর, বেশ খানিক বাদে রথ চালিয়ে যুবক ফিরে আসলো, কিন্তু চালক কোথায়?
রাজকন্যাদের যুবক জানালো, উনি মাঝ পথে নেমে গেছেন এক পরিচিত মানুষের দেখা পেয়ে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবেন।
এরপর, অনেক সময় কেটে গেছে দুই রাজকন্যা দুঃশ্চিন্তায় চালক তখনও ফেরেনি!
তাদেরকে যে ঘরে বসতে দিয়েছিল, এক্ রাজকন্যা দেখলো, সেই ঘরে আরেকটি দরজা আছে।
বসে বসে অনেকক্ষণ সময় পার করার পরে, কি ভেবে সেই দরজা খুলে কারোর ফিস্ ফিস্
করে কথা বলার শব্দ শুনতে পেলো!
যতই হোক রাজার মেয়ে বলে কথা, শৈশব থেকে সবদিক থেকেই পারদর্শী, তাই একটু একটু করে কাছে এগিয়ে কান পেতে শোনার চেষ্টা করলো কারা কথা বলছে!
যা শুনতে পেলো সেটা শুনে কিছু সময়ের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো, কিন্তু কথায় আছে বিপদে কখনো দিশেহারা হতে নেই।
সে গুটি গুটি পায়ে ফিরে এসে আরেক রাজকন্যাকে সবটা জানালো।
এর খানিক পর যুবকের মা তাদের খাবারের ব্যবস্থা শুরু করলেন, এবং তাদের খেতে দিতে দিতে বললেন, আপনাদের সোনার থালায় খাবার অভ্যেস এই কুটিরে মাটির থালায় খেতে আপনাদের আজ বড়ই কষ্টই হবে!
এক্ রাজকন্যা বললেন, আমরা এই সব খাবার নিজেরা খাবো বলে স্বর্ণ মুদ্রা ব্যয় করিনি, আপনারা ভালো মন্দ খেতে পান না, আজকে এইসব খাবার আপনারা খাবেন, আর আমরা বসে বসে দেখবো, এতেই আমাদের শান্তি।
আমাদের জন্য ফল আনতে বলেছিলাম, সেটুকু পেলেই আমাদের হবে।
মহিলা চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললেন, মা.. আমরা নিচু জাত, তাই বোধহয় আমার হাতের রান্না খেতে আপনারা কুণ্ঠা বোধ করছেন!
রাজকন্যা বললেন, এমন করে বলবেন না, তাহলে তো আপনার কুটিরে আশ্রয় নিতেই আসতাম না।
আপনারা মা, এবং ছেলেতে আমাদের সামনে বসে খান, আমরা দুবোন দেখে একটু শান্তি পাই।
কখনও কাউকে এভাবে দেখার সুযোগ পাই নি, আমরা আনন্দিত হবো।
রাজকন্যা অলকানন্দা দেখতে পেল, ক্ষণিকের মধ্যে মহিলার চোয়াল শক্ত হয়ে গেল, ছেলেকে ঘরে ডেকে সবটা জানালো, যুবক দুই রাজকন্যাকে অনুরোধ করলো, কিন্তু তারা খুব শান্ত কন্ঠে খাবার প্রত্যাহার করলো।
মুহুর্তের মধ্যে মহিলা এক্ রাজকন্যার উপরে ঝাপিয়ে পড়তে যেতে না যেতেই কোমর থেকে অভিরূপা ছুরি বার করে মহিলার কণ্ঠে ধরে, যুবককে বললো দরজা খোলো, আরেক রাজকন্যা অলকানন্দা চুলের ভিতর থেকে কৃপাণ বার করে যুবকের দিকে ধরলো, এবং আদেশ করলো রথের কাছে চলো।
গোটা দেশ দুই রাজকন্যার পারদর্শিতা সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল ছিল।
বাধ্য হয়ে দরজা খুলে যুবক তাদের রথের সামনে নিয়ে গেলো, এক্ মুহুর্ত দেরি না করে এক রাজকন্যা মহিলার গলায় ছুরি চালিয়ে দিল, আরেক রাজকন্যা কৃপাণ ভেদ করে দিলো যুবকের পেটে!
এরপর, দুই রাজকন্যা দেরি না করে নিজেরাই রথ চালিয়ে রাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন!
এখন প্রশ্ন, আপনাদের জন্য, উপকারী যুবককে উপকারের বিনিময় কেনো রাজকন্যা হত্যা করলো?
লুকিয়ে লুকিয়ে কি কথা রাজকন্যা শুনে ফেলেছিল?
*মন্তব্যের মাধ্যমে উত্তর দিতে ভুলবেন না, বাকি অংশ আরেকদিন লেখার মাধ্যমে তুলে ধরবার প্রয়াস করবো।
আজকে মাথায় এই ছোট গল্পটি এসেছিল যার প্রথম অংশ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
শত্রু যত শক্তিশালী হোক না কেন বুদ্ধির মার প্যাচে যে কোন শত্রুকে মোকাবেলা করা সম্ভব। মা ও তার শক্তিশালী ছেলে হেরে গেল রাজকন্যার কাছে।
মিষ্টি কথা বলে যারা কাছে টেনে নিয়ে পেটে ছুরি ঢুকায় তাদের শেষ অবনতি এমন মা ছেলের মতনই হয়। গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়তে ভালই লাগলো নিত্য নতুন গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করবেন এই কামনাই করি ভালো থাকবেন।
It seems like the story is quite interesting. but I have difficulty reading it even though I have used a translator. always success
গল্পটা পড়ে যতোটুকু মনে হচ্ছে, ঐ যুবক ও ওর মা দুজনে মিলে দুজন রাজকন্যাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করছিলেন, যেটা একজন রাজকন্যা আড়াল থেকে শুনে ফেলেছিলেন। যদিও যুবক ওনাদের উপকার করেছিলেন বলে, তার উপরে বিশ্বাস করেই রাতে যুবকের বাড়িতে তারা আশ্রয় নিয়েছিলো। কিন্তু যখন বাজার থেকে যুবকের সাথে রথের চালক বাড়িতে ফেরেনি, তখনই তাদের একটু সন্দেহ হয়েছিলো। পরবর্তীতে কান পেতে বোধহয় এটাই শুনেছিল যে, ঐ যুবক কোনোভাবে চালককে মেরে ফেলেছে এবং বাজার থেকে ফেরার সময় যে খাবার নিয়ে এসেছে, তার সাথে বিষ জাতীয় কিছু মিশিয়ে তার রাজকন্যাদের খাইয়ে মেরে ফেলার প্ল্যান করছ। ঠিক এই কারণেই যখন রাজকন্যারা খাবার খেতে রাজি হয়নি, তখন যুবকটি এবং তার মা দুজনেই রেগে গিয়েছিলেন এবং তাদের উপরে আক্রমণ করেছিলেন। তবে আদেও সত্যি ঘটনাটা কি সেটা জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।